না বাড়ানোর সুপারিশ করবে ট্যারিফ কমিশন-সয়াবিনের দাম বাড়ানোর অজুহাত ব্যবসায়ীদের
সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে এখন যুক্তি দেখাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এ জন্য তাঁরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে সয়াবিন তেলের দাম গত ১০ দিন আগে থেকে লিটারে ১০-১২ টাকা বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা একবার তা স্বীকার করছেন, একই টেবিলে বসে আবার তা অস্বীকারও করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম মোটেও বাড়ানো হয়নি। গত জুলাইয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিলগেটে
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম মোটেও বাড়ানো হয়নি। গত জুলাইয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিলগেটে
দর ছিল ১০৫ টাকা লিটার। গত বুধবারও তাঁরা ১০৬ টাকা দরেই সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন। আবার মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার মান পড়ে যাওয়াকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য কারণ হিসেবে তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, ব্যাংকগুলো নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি সুদ নিচ্ছে। এতে তাঁদের প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে খরচ বেশি পড়ছে।
মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সয়াবিন তেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছে সরকার, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হবে নতুন দর, আর বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে আগামী রোববার নির্ধারণ করা হবে।
সর্বশেষ গতকাল সকালে সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ট্যারিফ কমিশন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) পরিচালক মো. হেলালউদ্দিনসহ এস আলম, টিকে, সিটি, মেঘনা, এসএ অয়েল ও প্রাইম এডিবল অয়েলের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ট্রানজিট নিয়ে তখন আরেকটি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।
সয়াবিন তেল নিয়ে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে এর সারসংক্ষেপ নিয়ে গতকাল বিকেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও বসেন মজিবুর রহমান। দুটি বৈঠক শেষে তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো বিবৃতি দেওয়ার জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত নই। তবে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। সে ভিত্তিতে আগামীকাল (রোববার বুঝিয়েছেন) একটি সুপারিশ তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এটা ঠিক যে সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এটি হচ্ছে দুই কারণে—মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার মান পড়ে যাওয়া এবং ব্যাংক সুদের বাড়তি হার।
ব্যাখ্যা করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আসলে ডলারের তুলনায় অল্প দিনেই টাকার মান কমে গেছে ৯ শতাংশ। ফলে আগে যাঁরা ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিলেন, তাঁদের বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো নির্ধারিত ১২ শতাংশের বেশি এমন কিছু চার্জ আরোপ করছে, যাতে প্রকৃত সুদের হার পড়ছে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ।’
মজিবুর রহমান বলেন, সয়াবিন তেলের কোনো সংকট নেই। এখনো দুই লাখ টনের মতো মজুদ রয়েছে। গত সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের কারণে পামতেলের তুলনায় হঠাৎ সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে গেছে। কয়েক দিন পরই গ্রামের দিকে পামতেলের চাহিদা বেড়ে যাবে, তখন সংকটও কেটে যাবে।
মজিবুর রহমান বলেন, সুপারিশটি এমনভাবে করা হবে, যাতে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম আর না বাড়ে। এ জন্য বিকল্প কোনো উপায় বের করা হবে। এ সময় দাম না বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।
সুদের হার ১২ শতাংশের বেশি নিচ্ছে কোন কোন ব্যাংক, জানতে চাইলে উপস্থিত ব্যবসায়ীদেরই সেই জবাব দিতে বলেন চেয়ারম্যান। ব্যবসায়ীরা তখন কিছুক্ষণ চুপ থেকে ব্যাংকগুলো যে বেশি সুদ নিচ্ছে, এই অভিযোগ থেকে তাঁরা সরে আসেন।
তিন মাস আগে থেকেই বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দর প্রতি টনে ১০০ ডলার করে কমেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২৪ থেকে ১২৮ টাকা লিটার দরে।
মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সয়াবিন তেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছে সরকার, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হবে নতুন দর, আর বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে আগামী রোববার নির্ধারণ করা হবে।
সর্বশেষ গতকাল সকালে সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ট্যারিফ কমিশন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) পরিচালক মো. হেলালউদ্দিনসহ এস আলম, টিকে, সিটি, মেঘনা, এসএ অয়েল ও প্রাইম এডিবল অয়েলের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ট্রানজিট নিয়ে তখন আরেকটি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।
সয়াবিন তেল নিয়ে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে এর সারসংক্ষেপ নিয়ে গতকাল বিকেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও বসেন মজিবুর রহমান। দুটি বৈঠক শেষে তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো বিবৃতি দেওয়ার জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত নই। তবে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। সে ভিত্তিতে আগামীকাল (রোববার বুঝিয়েছেন) একটি সুপারিশ তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এটা ঠিক যে সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এটি হচ্ছে দুই কারণে—মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার মান পড়ে যাওয়া এবং ব্যাংক সুদের বাড়তি হার।
ব্যাখ্যা করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আসলে ডলারের তুলনায় অল্প দিনেই টাকার মান কমে গেছে ৯ শতাংশ। ফলে আগে যাঁরা ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিলেন, তাঁদের বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো নির্ধারিত ১২ শতাংশের বেশি এমন কিছু চার্জ আরোপ করছে, যাতে প্রকৃত সুদের হার পড়ছে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ।’
মজিবুর রহমান বলেন, সয়াবিন তেলের কোনো সংকট নেই। এখনো দুই লাখ টনের মতো মজুদ রয়েছে। গত সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের কারণে পামতেলের তুলনায় হঠাৎ সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে গেছে। কয়েক দিন পরই গ্রামের দিকে পামতেলের চাহিদা বেড়ে যাবে, তখন সংকটও কেটে যাবে।
মজিবুর রহমান বলেন, সুপারিশটি এমনভাবে করা হবে, যাতে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম আর না বাড়ে। এ জন্য বিকল্প কোনো উপায় বের করা হবে। এ সময় দাম না বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।
সুদের হার ১২ শতাংশের বেশি নিচ্ছে কোন কোন ব্যাংক, জানতে চাইলে উপস্থিত ব্যবসায়ীদেরই সেই জবাব দিতে বলেন চেয়ারম্যান। ব্যবসায়ীরা তখন কিছুক্ষণ চুপ থেকে ব্যাংকগুলো যে বেশি সুদ নিচ্ছে, এই অভিযোগ থেকে তাঁরা সরে আসেন।
তিন মাস আগে থেকেই বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দর প্রতি টনে ১০০ ডলার করে কমেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২৪ থেকে ১২৮ টাকা লিটার দরে।
No comments