ভেঙে দেওয়া অবৈধ ইটভাটা আবার চালু
বরিশালে পরিবেশ আইন অমান্য করে ড্রাম চিমনি ব্যবহার, অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো এবং অনুমোদন না থাকার অভিযোগে ভেঙে দেওয়া দুটি ইটভাটা আবার চালু করা হয়েছে। এই ইটভাটা দুটি হলো মুনা ব্রিকস ও এসবিআই। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর দুই প্রান্তে বাবুগঞ্জ ও উজিরপুরে এই ইটভাটা দুটি গড়ে তোলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুগঞ্জ এলাকায় সেতুর পাশে মুনা ব্রিকসে
আবার ড্রাম চিমনি ব্যবহার এবং কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ চলছে। একইভাবে সেতুর অপর প্রান্তে উজিরপুর অংশে এসবিআই ব্রিকসেও ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুর দুই প্রান্তে বাবুগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলার ওই দুটি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেই। এ ছাড়া ড্রাম চিমনি ব্যবহার এবং কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে ৮ ডিসেম্বর অভিযান চালিয়ে ইটভাটা দুটির চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ কাঠ, দুই লাখ ২৫ হাজার কাঁচা ইট ও একটি ড্রাম চিমনি জব্দ করা হয়। দুটি ইটভাটার মালিককে ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি ইটভাটার মালিক আবার ইট পোড়ানোর জন্য ড্রাম চিমনি নির্মাণ করেন। বাবুগঞ্জ এলাকার আবদুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ভেঙে দেওয়ার পরদিনই মুনা ব্রিকস আবার ইট পোড়ার জন্য ড্রাম চিমনি বসায়।
এদিকে ওই সেতুর সংলগ্ন এবং ১১ হাজার কিলোভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে ইটভাটা হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যুৎ লাইন ও সেতু। বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, ১১ হাজার কিলোভোল্টসম্পন্ন লাইনের কাছাকাছি ইটভাটা করা ঠিক হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।
মুনা ব্রিকসের মালিক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাটার ড্রাম চিমনি পরিবেশ অধিদপ্তর ভেঙে দিয়েছে। পরে আর অনুমতি নিইনি। যতদিন পারি চোরা-চাপটা চালাই। তারপর জিকজাক করব। জিকজাক হলে তো আর কাঠ পোড়াতে পারব না।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক মো. নাজমুল হক বলেন, ‘১২০ ফুট উঁচু জিকজাক চিমনি ছাড়া কোনো ইটভাটাকে অনুমোদন দেওয়া হয় না। ওই ইটভাটা দুটি অবৈধভাবে করা হয়েছে। তাই আমরা তা ভেঙে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম, তাঁরা আবার ওই ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমরা আবার সেগুলো ভেঙে দেব।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি ইটভাটার মালিক আবার ইট পোড়ানোর জন্য ড্রাম চিমনি নির্মাণ করেন। বাবুগঞ্জ এলাকার আবদুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ভেঙে দেওয়ার পরদিনই মুনা ব্রিকস আবার ইট পোড়ার জন্য ড্রাম চিমনি বসায়।
এদিকে ওই সেতুর সংলগ্ন এবং ১১ হাজার কিলোভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে ইটভাটা হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যুৎ লাইন ও সেতু। বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, ১১ হাজার কিলোভোল্টসম্পন্ন লাইনের কাছাকাছি ইটভাটা করা ঠিক হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।
মুনা ব্রিকসের মালিক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাটার ড্রাম চিমনি পরিবেশ অধিদপ্তর ভেঙে দিয়েছে। পরে আর অনুমতি নিইনি। যতদিন পারি চোরা-চাপটা চালাই। তারপর জিকজাক করব। জিকজাক হলে তো আর কাঠ পোড়াতে পারব না।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক মো. নাজমুল হক বলেন, ‘১২০ ফুট উঁচু জিকজাক চিমনি ছাড়া কোনো ইটভাটাকে অনুমোদন দেওয়া হয় না। ওই ইটভাটা দুটি অবৈধভাবে করা হয়েছে। তাই আমরা তা ভেঙে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম, তাঁরা আবার ওই ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমরা আবার সেগুলো ভেঙে দেব।’
No comments