নতুন বছরের কামনা by শাহীন হাসনাত
আর মাত্র একদিন বাকি। শনিবার দিবাগত রাতে শুরু হবে নতুন বছর। আমাদের জীবন থেকে ঝরে পড়বে আরও একটি বছর। নানা পরিকল্পনা, আশা-নিরাশা, পাওয়া-না পাওয়াসহ নানাবিধ দুর্ঘটনা, সুখ-দুঃখ ও আলোচনা-সমালোচনায় ঠাসা বিগত সময়গুলো আমরা অতিবাহিত করেছি। ২০১১ সালের বিদায়লগ্নে প্রত্যাশা করছি আগামী দিনগুলো গতবারের তুলনায় ভালোভাবে কাটানোর। মানুষ মাত্রই এই প্রত্যাশা করছে।
আগামীকাল রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে। নতুন বছরকে বরণ করা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়; থাকতেও পারে না। আমরা মনে করি, নতুন বছরকে নতুন চেতনায় গ্রহণ করতে হলে আত্মসমালোচনার কোনো বিকল্প নেই। অথচ এই সময় আত্মসমালোচনার পরিবর্তে আত্মবিস্মৃতির দৃষ্টান্তই প্রকটভাবে দেখা যায়। ফলে দেখা যায়, বর্ষবরণের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষের অসংযত আচরণ। বেশ কয়েক বছর যাবৎ ৩১ ডিসেম্বরের রাতে কোনো না কোনো অঘটন ঘটেই চলছে। আমরা মনে-প্রাণে কামনা করি এবার তেমন কোনো অঘটন ঘটবে না।
পৃথিবীর সব জাতিরই নিজস্ব একটা ঐতিহ্য আছে। তারা এ ঐতিহ্য রক্ষা ও অনুসরণ করার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করে। একইভাবে মুসলমানরাও তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য রক্ষা ও অনুসরণের চেষ্টা করে। যদিও ইসলামে আনন্দ-উৎসবের প্রকৃতি ও ধরন ভিন্ন। ইসলামে এ জাতীয় মুহূর্তে আনন্দ-উৎসব বলে কিছু নেই। তাই ইসলাম বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, অন্য সব কাজের মতোই নতুন বছরের শুরুতে আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করবে। বিগত দিনের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আগামী দিনগুলো পরিপূর্ণভাবে ইসলামী বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করবে।
মুসলমানের জন্য একমাত্র আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগি করা জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি ও প্রকৃতির দাবি। সুতরাং এটাই বাস্তবতা যে, একমাত্র আল্লাহতায়ালাই সর্বশক্তিমান, গোটা বিশ্বজাহানের ব্যবস্থাপক, শাসক, প্রতিপালক, সংরক্ষণকারী, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা, তিনিই সব ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি। কাজেই ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর। যে কোনো প্রয়োজনে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। দোয়া করতে হবে শুধু তাঁরই কাছে।
হাদিসে যেহেতু 'দোয়া সব ইবাদতের প্রাণ' বলে ঘোষিত হয়েছে, তাই দোয়া করতে হবে অন্য সবকিছুর মতো নতুন বছরেও। দোয়া প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'তোমাদের রব বলেন, আমাকে ডাকো আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।'-সূরা মুমিন : ৬০
হাদিসে আছে, 'হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানের জিনিস আর কিছুই নেই।'
তাই মুসলমান হিসেবে, নতুন বছরে নিজেকে শুধরানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে। সুখী, সমৃদ্ধ, শালীন দেশ ও সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে। আশা করি, দেশের যুবক শ্রেণী এ বিষয়ে সচেতন হবে।
পৃথিবীর সব জাতিরই নিজস্ব একটা ঐতিহ্য আছে। তারা এ ঐতিহ্য রক্ষা ও অনুসরণ করার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করে। একইভাবে মুসলমানরাও তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য রক্ষা ও অনুসরণের চেষ্টা করে। যদিও ইসলামে আনন্দ-উৎসবের প্রকৃতি ও ধরন ভিন্ন। ইসলামে এ জাতীয় মুহূর্তে আনন্দ-উৎসব বলে কিছু নেই। তাই ইসলাম বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, অন্য সব কাজের মতোই নতুন বছরের শুরুতে আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করবে। বিগত দিনের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আগামী দিনগুলো পরিপূর্ণভাবে ইসলামী বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করবে।
মুসলমানের জন্য একমাত্র আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগি করা জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি ও প্রকৃতির দাবি। সুতরাং এটাই বাস্তবতা যে, একমাত্র আল্লাহতায়ালাই সর্বশক্তিমান, গোটা বিশ্বজাহানের ব্যবস্থাপক, শাসক, প্রতিপালক, সংরক্ষণকারী, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা, তিনিই সব ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি। কাজেই ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর। যে কোনো প্রয়োজনে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। দোয়া করতে হবে শুধু তাঁরই কাছে।
হাদিসে যেহেতু 'দোয়া সব ইবাদতের প্রাণ' বলে ঘোষিত হয়েছে, তাই দোয়া করতে হবে অন্য সবকিছুর মতো নতুন বছরেও। দোয়া প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'তোমাদের রব বলেন, আমাকে ডাকো আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।'-সূরা মুমিন : ৬০
হাদিসে আছে, 'হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানের জিনিস আর কিছুই নেই।'
তাই মুসলমান হিসেবে, নতুন বছরে নিজেকে শুধরানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে। সুখী, সমৃদ্ধ, শালীন দেশ ও সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে। আশা করি, দেশের যুবক শ্রেণী এ বিষয়ে সচেতন হবে।
No comments