এই নগরীর দিনরাত্রিঃ নগরীতে রক্তপাত by রেজোয়ান সিদ্দিক
নগরীতে রক্তপাতের কত যে উপলক্ষ্য রহিয়াছে, তাহা কহিয়া শেষ করা যাইবে বলিয়া মনে হয় না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-সংঘর্ষে রক্তপাত। ব্যবসায়িক স্বার্থের দ্বন্দ্বে রক্তপাত। ডাকাতের গুলি, ছিনতাইকারীর ছুরিতে রক্তপাত। পেশাদার খুনিরাও রক্ত ঝরাইতেছে। ক্রসফায়ার, এনকাউন্টারের বাহানা তুলিয়া পুলিশ-র্যাব বিনা বিচারে নাগরিকদের খুন করিতেছে। এছাড়া নানা কারণে পুলিশের সঙ্গে বিবাদ করিতে যাইয়া নিরীহ মানুষদের প্রাণ যাইতেছে।
জিম্মিকারীরা মানুষ অপহরণ করিয়া টাকা চাহিতেছে। টাকা না দিতে পারিলে নিষ্কম্প হাতে জিম্মি ব্যক্তিকে গুলি করিয়া লাশ বানাইয়া দিতেছে। এমন দিন নাই, পত্রিকার পাতা খুলিলে রক্ত ঝরানোর ছবি ছাপা হইতেছে না। টিভি খুলিলে মানুষের রক্তাক্ত ছবি দেখা যাইতেছে না। এসব দেখিয়া এই নগরীকে কখনও কখনও বাঁচিবার জন্য বড়ই বিপজ্জনক স্থান বলিয়া মনে হইতেছে। পুত্র পিতার গলায়, স্বামী স্ত্রীর গলায়, বন্ব্দু বন্ব্দুর গলায় ছুরি ঠাসিয়া ধরিতেছে।তাহার পরও প্রতিদিন নগরীতে ভিড় করিয়া মানুষ আসিতেছে। মানুষ বাড়িতেছে। মানুষ যত বাড়িতেছে, তত বেশি করিয়া রক্ত ঝরিতেছে। আমরা প্রত্যেকেই এই বলিয়া সান্ত্বনা লাভ করিবার চেষ্টা করিতেছি যে, যাহা অপরের বেলায় ঘটিয়াছে, আমার বেলায় তাহা কিছুতেই ঘটিবে না; কিন্তু যেদিন রক্ত ঝরানোঅলারা যমদূতের মতো আমার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইতেছে, সেদিন অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকিতেছে না। কাহার কাছে যাইব? ক্রমে ক্রমে র্যাব-পুলিশকেও বিপজ্জনক বলিয়া মনে হইতেছে।
যে সকল নারী-পুরুষ গ্রাম হইতে ভাগ্যের সন্ব্দানে নগরীতে আসিয়া বস্তিতে বা পথের পাশে বসতি গড়িতেছে, তাহাদের সকলকে দিবার মতো কাজ নগরীতে এখন আর নাই। নবাগত পুরুষেরা ঠেলা বা রিকশা চালাইতেছে। কেহ কেহ হকার বা ফেরিঅলা হইতেছে। কেহ বা রাস্তার উপর পলিথিনের ব্যাগ বিছাইয়া পান-বিড়ির দোকান দিতেছে। মেয়েরা গার্মেন্ট-এ কাজ লইতেছে। সেখানে বেতন অতি সামান্য; কিন্তু এখন তাহারা বাসার মাতারী হওয়ার চাইতে গর্বিত শ্রমিক হওয়াটাকে প্রাধান্য দিতেছে। বুয়ার চেয়েও সেখানে বেতন কম হইলেও এই কাজে তাহাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়িয়াছে। বুয়ার কাজ চব্বিশ ঘণ্টা। ফলে এই কাজকে তাহারা দাসত্বের সমতুল্য মনে করিতেছে। গার্মেন্ট-এ চাকরির হিসাব ঘণ্টা বাঁধিয়া। নির্দিষ্ট ঘণ্টার পর ওভারটাইমের ব্যবস্থা রহিয়াছে। ফলে নারীরা শ্রমিকের মর্যাদা পাইয়াছে। ইহাও কম বড় কথা নহে।
মালিকেরা-শ্রমিকেরা মিলিয়া বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পকে বস্লত্ চাঙ্গা করিয়া তুলিয়াছে। বিশ্বের বড় বড় পণ্ডিতেরা বলিয়াছিলেন, কোটা পদ্ধতি উঠিয়া গেলে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের বারোটা বাজিয়া যাইবে; কিন্তু দেখা গেল, বারোটা তো বাজেইনি, যাহারা এইসব ফুটানির কথা বলিয়াছে, তাহারাই বাংলাদেশের কাছে হারিয়া যাইতেছে। ইহাও কি সহ্য করা যায়? তাই বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে নাশকতার আমদানি হইয়াছে। পরাজিতরা পিছন হইতে ছোরা মারিবার চেষ্টা করিতেছে। ইহারই ফলে গার্মেন্ট-এ রক্তপাত শুরু হইয়াছে।
ইহা আর কিছুতেই থামিতেছে না। ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে রক্তপাত হইলে তাহা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা যায়; কিন্তু গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে টঙ্গীর এক গার্মেন্ট কারখানায় রক্ত ঝরিয়াছে। তাহা প্রতিহত করা যায় নাই। ইহাতে তিনজন নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়াছে, যাহারা কোনোক্রমেই ভাবেন নাই যে, বিনা কারণে তাহাদের প্রাণ দিতে হইবে। নগরীতে এইসব নাগরিক ভাগ্য পরিবর্তন করিয়া উন্নততর জীবন-যাপনের আশায় আসিয়া হাজির হইয়াছিল। তাহারা আত্মবলিদান করিতে আসে নাই। তবে কেন এইভাবে পুলিশ তাহাদের গুলি করিয়া খুন করিল? এইসব প্রশ্নের জবাব দিবার কেহ নাই। জবাব চাহিলে বিপদের আশঙ্কাই বেশি। তাই বলিয়া কি সকল নাগরিক বেশি দিন চুপ করিয়া থাকিবে?
নাগরিকের মরিবার কষ্ট
নগরীর কোনো নাগরিকই ভাবেন না যে, তিনি কোনোদিন মরিবেন না। মরিতে হইবেই। এই পৃথিবীতে কোনো কিছুরই গ্যারান্টি নাই। কেহ ভাবিল সে ডাক্তার হইবে, আসলে সে দারোয়ান হইল। কেহ ভাবিল সে ইঞ্জিনিয়ার হইবে, আসলে সে রাজমিস্ত্রি হইল। কেহ ভাবিল সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হইবে, বাস্তবে দেখা গেল সে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও হইতে পারিল না। যাহা হইতে চাই, যাহা করিতে চাই, নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রে তাহার কোনো গ্যারান্টি নাই; কিন্তু যাহা চাই না, তাহা মৃত্যু; কিন্তু তাহার শতভাগ গ্যারান্টি রহিয়াছে যে, আজ হউক, কল্য হউক, মৃত্যু হইবেই।
শত্রু এড়াইবার পথ রহিয়াছে, জেল-জুলুম এড়াইবার পথ রহিয়াছে, মৃত্যুদণ্ড এড়াইবার পথ রহিয়াছে; কিন্তু মৃত্যু এড়াইবার কোনো পথ খোলা নাই। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করিয়া দিতে পারেন। ইহাতে তাহার গলায় ফাঁস পরাইয়া মৃত্যুকূপে ফেলিয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হইল না; কিন্তু তিনিও মৃত্যুকে এড়াইয়া যাইতে পারিবেন না। রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় জবরদস্তি মৃত্যু থেকে তিনি হয়তো রেহাই পাইলেন; কিন্তু মরিতে তাহাকে হইবেই। যতই আকাগ্ধক্ষা থাকুক ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে।’
কোনো কোনো নাগরিক চিন্তা করেন, মরিবার পরে কী হইবে? কোথায় তাহার কবর হইবে? কিংবা তাহার চিতাভষ্ম কোন নদীতে ফেলা হইবে। কেহ কেহ এইসব কথা আগাম বলিয়া যান। কেহ কেহ কিছুই ভাবেন না। আর অতি সাধারণ মানুষের মৃত্যু ভাবনা নেই বলিলেই চলে। তাহারা কেবলই টিকিয়া থাকিবার কথা ভাবেন। কীভাবে বাঁচিয়া থাকা যায়, সে পথের অনুসন্ব্দান করেন। মরিয়া গেলে কোথায় তাহার কবর হইবে, কে তাহার সত্কার করিবে, এসব লইয়া ভাবিবার অবকাশ তাহার নাই।
নাগরিকদের মৃত্যুর পর কী হইবে ইহা লইয়া একেকজনের একেক রকম আকাগ্ধক্ষা। কেহ মনে করেন, মৃত্যুর পর তাহার কবরস্থান হইবে এক অবিস্মরণীয় সমাধি ক্ষেত্র, যাহা অনন্তকাল ধরিয়া লোকেদের জানাইয়া দিবে যে এইখানে অমুক প্রোথিতযশা ব্যক্তি শুইয়া রহিয়াছেন। কেহ কেহ ইহার চাইতে কম ভাবেন। তাহারা ভাবেন, অন্তত বস্লকাল ধরিয়া সংরক্ষিত থাকুক তাহাদের স্মৃতি।
কিন্তু মানুষ মরিয়া গেলে নগরপতিরা বড় বেশি বেচাইন হউন না। তাহারা মৃত্যুর ঘটনাকে বড় স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন। যে নাগরিক মরিয়া গেল, তাহাকে সমাধিস্থ করা অন্য নাগরিকদের দায়িত্ব। সম্ভব হইলে মৃত নাগরিকের ইচ্ছানুযায়ী তাহাকে কবরস্থ করা হয়। সম্ভব না হইলে তাহাকে গণগোরস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিন মাস পরে সে চিহ্ন উধাও।
ইহার চেয়ে পল্লীগ্রামে পারিবারিক গোরস্থান ভালো। যতদিন খুশি, যাহাদের খুশি ধরিয়া রাখিতে পারে। কবরের উপর কবর দিতে হয় না। যাহারা এই নাগরিকের জন্য বেদনাহত হইবে, তাহাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে কবর নিশ্চিত থাকিবে। তাহার পরে এক সময় সবকিছু নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে। ইহাই প্রকৃতির নিয়ম। ইহাকেই মানিয়া লওয়া ভালো।
শীতের সেতুবন্ব্দ অতিক্রম করিতেছি
এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হইবে, তখন কৃষ্ণপক্ষ শুরু হইয়া যাইবে। এখনও শুক্লপক্ষ। এখন রাত্রির আকাশ ভারি সৌন্দর্যমণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছে। আসমান প্রগাঢ় নীল। মেঘমালা সাদা পেজা তুলার মতো মৃদুমন্দে ভাসিয়া যাইতেছে। চন্দ্রালোক গোটা আকাশে অনিন্দ্য আভা ছড়াইতেছে। বাংলায় এমন আকাশ শুধু হেমন্তেই দেখা যায়। আর কখনও আকাশ এতোটা আলোকিত হইয়া উঠে না। সন্ব্দ্যায় নিরিবিলি পথ দিয়া ফিরিবার সময় শরীরে শীত শীত অনুভূতি। রাতে পাতলা কাঁথার খবর হয়। বারান্দায় দাঁড়াইলে শীতল হাওয়া—সারা শরীরে প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়া যায়। বাতাসের আর্দ্রতা কমিয়া যাইবার ফলে ঘামিয়া জবজবে হইবার অবস্থা নাই।
নগর হইতে বাহির হইলে প্রকৃতির সুবাস টের পাওয়া যায়। ঋতু-প্রকৃতি যে এমন ঘ্রাণময় হইয়া উঠিতে পারে হেমন্তকাল না আসিলে আমরা তাহা অনুভব করিতে পারিতাম না। শস্যক্ষেত্রে ধানের থোরগুলো ভরাট হইয়া উঠিয়াছে। প্রত্যুষে গাছের পাতায় পাতায়, শস্যের শীষে শীষে শিশির জমিয়া সম্ভবত শস্যকে আরও তরতাজা করিতেছে। বৃষ্টি তো নেই। সুপুষ্ট শস্যদানার পানির অভাব সম্ভবত শিশির কণা মিটাইয়া দিতেছে। প্রকৃতি এমনি এক রহস্যেঘেরা ভারসাম্য সৃষ্টি করিয়া রাখিয়াছে। ইহার ভিতর দিয়া বাংলাদেশে আমরা মানুষেরা বাড়িয়া উঠিয়াছি। মানুষ প্রকৃতি হইতে বিচ্ছিন্ন নহে। প্রকৃতির অন্যসব প্রাণের সহিত মানুষও মিশিয়া রহিয়াছে। তাই প্রকৃতির অন্য উপসর্গ আমাদের সর্বদা আলোড়িত করিতে থাকে। তাই ঋতু পরিবর্তন আমাদের শরীর-মনে আশ্চর্য প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের মনও উচাটন হয়। বর্ষায় মন উদাস হইয়া উঠে। গ্রীষ্মে অতিষ্ঠ হইয়া উঠি। শরতের প্রকৃতি শান্ত হইতে শুরু করে। হেমন্তের ঘ্রাণে, নবান্নের উত্সবে, আমাদের রসনা সজল হইয়া উঠে। শীতে জবুথবু হইয়া পড়ি। আবার বসন্তে মন কেমন করে। শরীরে বিচিত্র অনুভূতি জাগিয়া উঠে। এইসব লইয়াই আমাদের আশ্চর্য সুন্দর স্বদেশ।
এদিকে আবার কার্তিক আসিলে কবি জীবনানন্দ দাশের ডাক পড়ে। রূপসী বাংলার খবর হয়। কার্তিক হেমন্তকাল জীবনানন্দকে অনেক আপ্লুত করিয়াছে। ‘যদি আমি ঝরে যাই’ কবিতায় তিনি লিখিয়াছেন, ‘যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়:/ যখন ঝরিছে ধান বাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে ম্লান চোখ বুজে,/যখন চড়াই পাখি কাঁঠালীচাপার নীড়ে ঠোঁট আছে গুঁজে,।’ ‘গোলপাতার ছাউনি’র কবিতায় লিখিয়াছেন, ‘গোলপাতার ছাউনির বুকে চুমে নীল ধোঁয়া সন্ব্দ্যায়/ উড়ে যায়—মিশে যায় আমবনে/কার্তিকের কুয়াশার সাথে।’ ‘কতোদিন সন্ব্দ্যার অন্ব্দকারে’ কবিতায় লিখিয়াছেন, ‘কতোদিন সন্ব্দ্যার অন্ব্দকারে মিলিয়াছি আমরা দু’জনে;/ আকাশপ্রদীপ জ্বেলে তখন কাহারা যেন কার্তিকের মাস/ সাজায়েছে—মাঠ থেকে গাজন গানের ম্লান ধোঁয়াটে উচ্ছ্বাস/ভেসে আসে—; ডানা তুলে সাপমাসী উড়ে যায় আপনার মনে/আকন্দ বনের দিকে...।’ তবে শুধু জীবনানন্দই নয়, এই নাড়া দিয়া যায় সকল হৃদয়ে।
তবে কার্তিক বিত্তহীন মানুষের জন্য বিপদ ডাকিয়া আনে। ধানতো এখনও পাকে নাই। ধান পাকিলে কাজ পাওয়া যায়। না হইলে কার্তিক জুড়িয়া কৃষক অপেক্ষায় থাকে, কখন ধান পাকিবে। এ সময় বিত্তহীন মানুষেরা কর্মের সন্ব্দানে শহরের দিকে ছুটিয়া আসে। নগরীতে কর্মহীন মানুষের ভিড় বাড়িতে থাকে। সে কারণে নাগরিক বিরক্ত হইয়া পড়ে। আর এসব কারণে কার্তিক মাসকে ‘মরা কার্তিক’ও বলা হইয়া থাকে।
এখন হইতে নগরীর বৃক্ষরাজির পাতায় পাতায় ধূলির আস্তরণ পড়িতে শুরু করিবে। সকালবেলা লক্ষ্য করিলে দেখা যাইবে, ওই ধূলির আস্তরণ ভেদ করিয়া কিছু রেখা তৈয়ার হইয়াছে। কুয়াশা শিশির রাতভর রেখাগুলি টানিয়া দিয়া এক বিচিত্র শিল্পকর্ম সৃষ্টি করিয়া যায়। এভাবে কুয়াশা, নীলাকাশ, অপার জ্যোত্স্না, নবান্ন পার হইয়া হেমন্ত পিছনে ফেলিয়া আমরা শীতকালে প্রবেশ করিয়া যাই। প্রকৃতি তখন নতুন রূপে নতুন সজ্জায় নিজেকে সাজায়। এভাবেই ঋতুচক্রের আবর্তে জীবন পার করিয়া দিয়া আমরা নিজেরাই শীতের পাতার মতো ঝরিয়া যাই। সময় আপন নিয়মে বহিয়া যাইতে থাকে।
ফুটনোট বাজার হইতে ফিরিয়া আসিয়া এক নাগরিক পত্রিকার ম্যাগাজিনে তাহার রাশি পরীক্ষা করিলেন। তাহাতে লেখা রহিয়াছে, ‘না চাইতেই তার অর্থভাগ্য ভালো।’ বাজারফেরত—ক্লান্ত-শ্রান্ত নাগরিক পত্রিকার ম্যাগাজিনটি ডাসল্টবিনে ফেলিয়া দিয়া আসিয়া স্ত্রীকে বলিলেন, ‘কাল থেকে ঐ পত্রিকা বন্ব্দ করে দাও।’
No comments