গুপ্ত হামলা :চার্জশিটে আসামি ১৩৪
রাজধানীতে গুপ্ত হামলা, বোমাবাজি, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও যানবাহনে অগি্নসংযোগের ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনে দায়ের চারটি মামলায় ১৩৪ জনকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাধারণ
সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হারুনর রশীদ হারুন, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান ওরফে মিজান। এদের মধ্যে ১১৫ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ১৯ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন, রমনা, শাহবাগ ও মতিঝিল থানায় মামলা করে। আলামত হিসেবে দেখানো হয়েছে ভিডিও ফুটেজ, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি, বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজ। এ মামলার বিচার চার্জশিট দাখিলের ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ হবে। অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লোকজন জড়ো করা হয়েছিল।
নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা ছিল ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নামে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মাঠসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেবে। সেখান থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়ে প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে। পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আসামিদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এ হামলার পরিকল্পনা হয় মালয়েশিয়া ও নেপালে।
পল্টন থানা : পল্টন থানায় করা মামলার চার্জশিটে ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয় ৪০ জনকে। ১৮ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন_ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল ইসলাম নীরব, হাবিব-উন-নবী সোহেল, সরাফত আলী সপু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম আলিম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, এস এম জিলানী, ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তর সভাপতি হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ইস্টার্ন প্লাস মার্কেট কমিটির সাবেক সভাপতি হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন, পল্টন থানা বিএনপি সভাপতি আনবিল আদিল বাবু ও লোকমান হোসেন।
রমনা থানা : রমনা থানায় করা মামলার চার্জশিটে কামরুল ইসলাম স্বপন, সোবাহান, হাবিব, ওয়াসিম আকরাম, নাদিম আহম্মদ, সাইফুল ইসলাম, নুর জামাল, কাদের, রাজ্জাক, রুমান, কাজী মাইনুল ইসলামসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মতিঝিল থানা : মতিঝিল থানার মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত হয়েছেন ছয়জন। চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানা : শাহবাগ থানায় দায়ের মামলার প্রধান আসামি মেজর (অব.) মিজানুর রহমান ওরফে মিজানসহ ২৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মিজানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
সিলেটে পাঁচ মামলার চার্জশিটে
ইলিয়াস নির্দেশদাতা
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট নগরীতে ১৮ ডিসেম্বর নাশকতার জন্য গাড়ি ভাংচুর-অগি্নসংযোগ এবং যাত্রীবাহী বাসে অগি্নসংযোগের ফলে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনে করা পৃথক ৫ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সব ক'টি ঘটনার পেছনে চার্জশিটে নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে ওই মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, চার্জশিটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২০০ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮ ডিসেম্বর নগরীতে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটনার পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইলিয়াস আলীকে নাশকতা ও পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই মামলাগুলোর এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েক নেতাকর্মীকে চার্জশিটগুলোতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানার দুটি ছাড়াও দক্ষিণ সুরমা, জালালাবাদ ও শাহপরান থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।
যুব ও ছাত্রদলের ১৮ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
এদিকে পুলিশের করা আট মামলায় যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জনকে দুই মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরা হলেন যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত উল্লাহ সপু, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ টুকু, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা ছিল ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নামে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মাঠসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেবে। সেখান থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়ে প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে। পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আসামিদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এ হামলার পরিকল্পনা হয় মালয়েশিয়া ও নেপালে।
পল্টন থানা : পল্টন থানায় করা মামলার চার্জশিটে ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয় ৪০ জনকে। ১৮ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন_ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল ইসলাম নীরব, হাবিব-উন-নবী সোহেল, সরাফত আলী সপু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম আলিম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, এস এম জিলানী, ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তর সভাপতি হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ইস্টার্ন প্লাস মার্কেট কমিটির সাবেক সভাপতি হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন, পল্টন থানা বিএনপি সভাপতি আনবিল আদিল বাবু ও লোকমান হোসেন।
রমনা থানা : রমনা থানায় করা মামলার চার্জশিটে কামরুল ইসলাম স্বপন, সোবাহান, হাবিব, ওয়াসিম আকরাম, নাদিম আহম্মদ, সাইফুল ইসলাম, নুর জামাল, কাদের, রাজ্জাক, রুমান, কাজী মাইনুল ইসলামসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মতিঝিল থানা : মতিঝিল থানার মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত হয়েছেন ছয়জন। চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানা : শাহবাগ থানায় দায়ের মামলার প্রধান আসামি মেজর (অব.) মিজানুর রহমান ওরফে মিজানসহ ২৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মিজানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
সিলেটে পাঁচ মামলার চার্জশিটে
ইলিয়াস নির্দেশদাতা
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট নগরীতে ১৮ ডিসেম্বর নাশকতার জন্য গাড়ি ভাংচুর-অগি্নসংযোগ এবং যাত্রীবাহী বাসে অগি্নসংযোগের ফলে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনে করা পৃথক ৫ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সব ক'টি ঘটনার পেছনে চার্জশিটে নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে ওই মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, চার্জশিটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২০০ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮ ডিসেম্বর নগরীতে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটনার পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইলিয়াস আলীকে নাশকতা ও পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই মামলাগুলোর এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েক নেতাকর্মীকে চার্জশিটগুলোতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানার দুটি ছাড়াও দক্ষিণ সুরমা, জালালাবাদ ও শাহপরান থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।
যুব ও ছাত্রদলের ১৮ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
এদিকে পুলিশের করা আট মামলায় যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জনকে দুই মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরা হলেন যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত উল্লাহ সপু, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ টুকু, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
No comments