রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ-নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন চায় সাম্যবাদী দল ও ইসলামিক ফ্রন্ট
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানের আলোকে আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও ইসলামিক ফ্রন্ট। ওই আইনে অনুসন্ধান কমিটি রাখারও প্রস্তাব দিয়েছে দল দুটি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সংলাপে পৃথকভাবে অংশ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাম্যবাদী দল ও ইসলামিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। বঙ্গভবনে বেলা ১১টায় সাম্যবাদী দল এবং দুপুর ১২টায় ইসলামিক ফ্রন্টের সঙ্গে
সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি। সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সবার মতামত নিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এ দুই দলের নেতারাই সংলাপে রাষ্ট্রপতিকে বলেন, নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। তবে তাঁরা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আর কোনো প্রয়োজন নেই।
দুপুর ১২টায় সংলাপ শেষে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনকে যথাযথ মনে করি। এ জন্য শক্তিশালী ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।’ তিনি বলেন, ইসিকে শক্তিশালী করতে হলে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন তৈরি করতে হবে। এ আইনের অধীনে একটি ‘অনুসন্ধান কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাম্যবাদী দলের প্রস্তাবিত অনুসন্ধান কমিটিতে আহ্বায়ক থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ কমিটির সদস্য হবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত বিচারপতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং শিক্ষক প্রতিনিধি। সংলাপে সাম্যবাদী দলের ১১ সদস্যের অন্যান্য প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন: দলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান, আবু হামেদ শাহাব উদ্দিন, প্রদ্যুৎ কুমার, ধীরেন সিংহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামিক ফ্রন্টের সংলাপ শেষ হয় বেলা একটায়। সংলাপ শেষে ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ১২ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা হলেন: বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, পিএসসির চেয়ারম্যান এ টি এম আহমেদুল হক চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, কবি আল্লামা রুহুল আমিন খান, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সা’দত হোসেন ও আল্লামা কফিল উদ্দিন সরকার।
জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ২২ ডিসেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, জেপি ও এলডিপির সঙ্গে সংলাপ করেছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে ১১ জানুয়ারি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১২ জানুয়ারি সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি।
দুপুর ১২টায় সংলাপ শেষে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনকে যথাযথ মনে করি। এ জন্য শক্তিশালী ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।’ তিনি বলেন, ইসিকে শক্তিশালী করতে হলে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন তৈরি করতে হবে। এ আইনের অধীনে একটি ‘অনুসন্ধান কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাম্যবাদী দলের প্রস্তাবিত অনুসন্ধান কমিটিতে আহ্বায়ক থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ কমিটির সদস্য হবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত বিচারপতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং শিক্ষক প্রতিনিধি। সংলাপে সাম্যবাদী দলের ১১ সদস্যের অন্যান্য প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন: দলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান, আবু হামেদ শাহাব উদ্দিন, প্রদ্যুৎ কুমার, ধীরেন সিংহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামিক ফ্রন্টের সংলাপ শেষ হয় বেলা একটায়। সংলাপ শেষে ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ১২ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা হলেন: বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, পিএসসির চেয়ারম্যান এ টি এম আহমেদুল হক চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, কবি আল্লামা রুহুল আমিন খান, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সা’দত হোসেন ও আল্লামা কফিল উদ্দিন সরকার।
জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ২২ ডিসেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, জেপি ও এলডিপির সঙ্গে সংলাপ করেছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে ১১ জানুয়ারি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১২ জানুয়ারি সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি।
No comments