পানির পাইপ বসাতে খোঁড়াখুঁড়ি-৬ জানুয়ারি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কের এক পাশ বন্ধ থাকবে
মাটির নিচে পানির পাইপ স্থাপনের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে রাজধানীতে যান চলাচল বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি থেকে নগরের সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের ভূগর্ভস্থ পানির লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এই কাজ চলবে ৩১
মার্চ পর্যন্ত। ঢাকা ওয়াসা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির এই কাজ করবে। প্রায় তিন মাস সময় নিয়ে মালিবাগের আবুল হোটেল থেকে রামপুরা হয়ে বনশ্রীর গেট পর্যন্ত, গ্রিনরোড পান্থপথ ক্রসিং থেকে রাসেল স্কয়ার হয়ে মিরপুর রোড টেকনিক্যাল-মিরপুর-১ বাংলা কলেজ পর্যন্ত, তেজগাঁও নাবিস্কো বিস্কুট কারখানা থেকে তেজগাঁও-গুলশান রিং রোড হয়ে গুলশান-১-এর শুটিং ক্লাব পর্যন্ত রাস্তার নিচে পানির পাইপ স্থাপন করা হবে।
রাজধানীতে দিন দিন ছোট-বড় নানা ধরনের যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বড় বড় সড়কে হঠাৎ করেই যানজট লেগে যায়। সড়কগুলোকে ছোট মনে হয়। কোনো কারণে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময়ের দরকার হয়, পথে সময় নষ্ট হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ওই রাস্তাগুলো অর্ধেক বন্ধ হলে যান চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। ওই রাস্তাগুলোতে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকার আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া ওই রাস্তাগুলোর নিয়মিত যানবাহনের চাপ পড়বে অন্য রাস্তার ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত রাস্তায় পানির লাইন স্থাপনের কারণে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে চাপ বাড়বে। নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য মহানগর পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করছে।
রাজধানীর একাধিক জায়গায় উড়ালসেতু নির্মাণের কাজ চলছে। ওই সব এলাকায় এমনিতেই অনেক রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ওই সব এলাকায় প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, কয়েকটি রাস্তায় পানির পাইপ স্থাপনের সময় রাস্তার এক পাশ বন্ধ থাকলে যানজট পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক সাধ্যমতো চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে ওই সব এলাকায় যান চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments