কিশোর শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন-শিক্ষার মান উন্নয়নের বিকল্প নেই
জেএসসি ও জেডিসির ফল বেরিয়েছে। সারা দেশে জেএসসিতে পাসের হার ৮২.৬৭ শতাংশ। জেডিসিতে ৮৮.৭ শতাংশ। পরীক্ষার ফল বলে দিচ্ছে, পরীক্ষার্থীদের ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে। শিক্ষাকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নেওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এটা অবশ্যই একটি ভালো লক্ষণ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। সরকারের দিকনির্দেশনা,
শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রচেষ্টা আর শিক্ষার্থীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রম যে এবারের এই সন্তোষজনক ফলের পেছনে বেশি কাজ করেছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত বুধবার প্রকাশিত জেএসসি ও জেডিসির ফল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই জিপিএ ২ বা ৩ পেয়েছে। জিপিএ ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। লেটার গ্রেডে ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর পাওয়া মানে হচ্ছে বি পাওয়া। ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর হচ্ছে সি। এবার প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছে আট লাখ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ দশমিক ৭১ ভাগ। এই ফল থেকে যে প্রশ্নটি সামনে চলে আসে, তা হলো শিক্ষার মানের চেয়ে পাসের দিকই কি এখন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে? পাসের চেয়ে মানের বিবেচনায় কি পিছিয়ে আছে শিক্ষার্থীরা? গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সোয়া তিন লাখ বেশি, ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার, পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় ২২ হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শূন্য ভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার কমেছে। এটাকে অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে।
পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলেও, পাসের হার বাড়লেও তা নিশ্চিতভাবেই শিক্ষার মান উন্নত করার বিষয়টি নির্দেশ করে না। শিক্ষার মান নির্ভর করে অন্য সূচকের ওপর। সেই দিকটিতে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সরকার অনেক জরুরি ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এবারও স্কুলগুলোতে সময়মতো বই পেঁৗছে দেওয়া হবে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু এর বাইরের কিছু দিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার। এবার বেশ কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। জেএসসি ও জেডিসি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী ছিটকে গেছে বলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। এর নেপথ্যের কারণ জানতে হবে। এবারও শহরের স্কুলগুলো ভালো ফল করেছে। শহরের স্কুলের তুলনায় পিছিয়ে আছে গ্রামের স্কুল। এটাও নিশ্চিত করে বলা যায়, ঝরে পড়ার প্রবণতা গ্রামাঞ্চলেই বেশি। এই প্রবণতা রোধ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। শিক্ষাকে তাদের জন্য আনন্দদায়ক করতে হবে। দক্ষ শিক্ষকদের গ্রামমুখী করতে হবে। এটা করতে পারলে ভবিষ্যতে শিক্ষার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে না, তেমনি কমবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
এবার জেএসসি ও জেডিসিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন। আনন্দদায়ক হোক তাদের আগামী দিনগুলো।
গত বুধবার প্রকাশিত জেএসসি ও জেডিসির ফল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই জিপিএ ২ বা ৩ পেয়েছে। জিপিএ ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। লেটার গ্রেডে ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর পাওয়া মানে হচ্ছে বি পাওয়া। ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর হচ্ছে সি। এবার প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছে আট লাখ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ দশমিক ৭১ ভাগ। এই ফল থেকে যে প্রশ্নটি সামনে চলে আসে, তা হলো শিক্ষার মানের চেয়ে পাসের দিকই কি এখন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে? পাসের চেয়ে মানের বিবেচনায় কি পিছিয়ে আছে শিক্ষার্থীরা? গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সোয়া তিন লাখ বেশি, ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার, পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় ২২ হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শূন্য ভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার কমেছে। এটাকে অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে।
পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলেও, পাসের হার বাড়লেও তা নিশ্চিতভাবেই শিক্ষার মান উন্নত করার বিষয়টি নির্দেশ করে না। শিক্ষার মান নির্ভর করে অন্য সূচকের ওপর। সেই দিকটিতে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সরকার অনেক জরুরি ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এবারও স্কুলগুলোতে সময়মতো বই পেঁৗছে দেওয়া হবে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু এর বাইরের কিছু দিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার। এবার বেশ কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। জেএসসি ও জেডিসি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী ছিটকে গেছে বলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। এর নেপথ্যের কারণ জানতে হবে। এবারও শহরের স্কুলগুলো ভালো ফল করেছে। শহরের স্কুলের তুলনায় পিছিয়ে আছে গ্রামের স্কুল। এটাও নিশ্চিত করে বলা যায়, ঝরে পড়ার প্রবণতা গ্রামাঞ্চলেই বেশি। এই প্রবণতা রোধ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। শিক্ষাকে তাদের জন্য আনন্দদায়ক করতে হবে। দক্ষ শিক্ষকদের গ্রামমুখী করতে হবে। এটা করতে পারলে ভবিষ্যতে শিক্ষার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে না, তেমনি কমবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
এবার জেএসসি ও জেডিসিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন। আনন্দদায়ক হোক তাদের আগামী দিনগুলো।
No comments