স্মৃতিতে অম্লান রানা-সেতু by কাজী মেহের নিগার
মানজারুল রানা, খসেপড়া একটি নৰত্রের নাম।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে সবে জ্বলজ্বল করছিল যে নৰত্রটি, যাকে সবাই মুগ্ধ
হয়ে দেখছিল; ১৬ মার্চ, ২০০৭ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ঠিক তখনই তিরোহিত হলেন
তিনি, সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন আরেক সম্ভাবনাময় নৰত্র সাজেদুল ইসলাম সেতুকে।
তাঁরা বিদীর্ণ করে দিয়ে গেলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়। এখনও কি তাঁদের মনে
পড়ে সবার? কেউ হয়ত ভুলে গেছেন, কেউবা ভোলেননি। যাঁরা মনে রেখেছেন, তাঁদের
এক সময়ের সতীর্থ ও ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বোঝা যায়, কী কষ্টের বোঝা বয়ে
বেড়াচ্ছেন তাঁরা। রানাকে স্মরণ করেন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান ব্যর্থতার
মুহূর্তে, রাজ্জাক কানত্মিকর মুহূর্তে। হতাশার সময়ে রানাকে কাছে পেলে
ড্রেসিংরম্নমের পরিবেশ হয়ে উঠত প্রাণবনত্ম। তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে
ভাবতেই পারেন না রাজ্জাক। তাঁর জন্য কিছু না করতে পারার যন্ত্রণা অণুৰণ
ভোগায় এই বাঁহাতি স্পিনারকে। রানার কথা মনে পড়লে পৃথিবীর সব শূন্যতা এসে
যেন ভর করে সিলেটের ক্রিকেটার নাজমুলের অনত্মরে। যখন মনে পড়ে রানাকে ছাড়া
তাঁর মা কিভাবে বেঁচে আছেন, তখন বুকটা কেমন যেন করে ওঠে। সিলেটের আরেক
ক্রিকেটার রাজিন সালেহ বলেন, 'রানার কথা মনে হলে কোন কাজে মন বসে না। শুধু
মনে হয়, কী হলো ? কোথায় গেল রানা? ভাবনায় চলে যাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের
সময়টায়। হোটেলে ফিরে ফোন পাই_ রানা নেই। ফোন খোলা রেখে বসে পড়ি। সে
মুহূর্তে যে কেমন লেগেছে, তা কাউকে বলে বোঝানোর মতো নয়। কান্নায় ভেঙ্গে
পড়ি, ছুটে যাই সতীর্থদের কাছে। সবাই হতবাক। রানা আমার জুনিয়র হলেও
অনত্মরঙ্গ বন্ধু ছিল। ওকে ৰেপাতে খুব মজা পেতাম। কখনও সে কাউকে অসম্মান করত
না। কিন্তু কৌতুক, দুষ্টুমি, ৰেপানো, আড্ডা, সহমর্মিতা, আনত্মরিকতা ছিল
তার মধ্যে। এতকিছুর সঙ্গে তাঁর ছিল অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। সতীর্থ হিসেবে শুধু
আমি নই, রানাকে পছন্দ করত প্রায় সবাই। ক্রিকেটার হিসেবে না হলেও মানুষ
হিসেবে সে ছিল বড়মাপের। এসএসসি ও এইচএসসিতে ও ডবল স্টার পেয়েছিল। এতেই বোঝা
যায়, ছাত্র হিসেবেও সে ছিল মেধাবী। দল থেকে বাদ পড়লে তাঁর ভক্তরা চটে যেত,
কিন্তু রানা এটাকে পজেটিভ ভাবেই নিতেন; তিনি নিজের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার
চেষ্টা করতেনু। সেতুও ছিলেন চমৎকার ও সহজ-সরল মানুষ। প্রখর প্রতিভার
অধিকারী। বেঁচে থাকলে আজ তিনি নিশ্চয়ই জাতীয় দলে নিজের যোগ্যতা দিয়ে সুযোগ
করে নিতেন। খুলনার স্টেডিয়াম অংশের বা রাসত্মার নামকরণ তাঁদের নামে করার
দাবি জানাচ্ছি আমি। আমি তাঁদের আত্নার শানত্মি কামনা করি। প্রতিটি
মৃতু্যদিবসে তাঁদের স্মরণ করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত।'
রানা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগে আপস্নুত হয়ে পড়েন প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউলস্নাহ্্ শারাফাত, 'রানার ব্যবহার, প্রতিভা, ব্যক্তিত্ব আমার হৃদয়ে জ্বলজ্বল করে ভাসে এখনও। তাঁর স্মৃতি মনে করে কষ্ট অনুভব করি। আমি তাঁর খেলা খুব পছন্দ করতাম। দল থেকে যখন তিনি বাদ পড়তেন, তখন অন্য সবার মতো আমিও কষ্ট পেতাম। রানার গুণাবলী সেতুর মধ্যেও দেখেছি। বেঁচে থাকলে তিনি হয়ত জাতীয় দলের একজন অপরিহার্য ক্রিকেটারে পরিণত হতেন।' রানা ও শারাফাত একই এলাকায় বাস করতেন (ঢাকার নিকুঞ্জে)। তাঁরা উভয়ে ছিলেন প্রতিবেশী। তাঁর সঙ্গে শারাফাতের ছিল শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্ক। ছোট হলেও রানাকে তিনি খুবই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন বলে জানালেন শারাফাত। রাজিনের মতো তাঁরও দাবি_ঢাকা ও খুলনায় রানা ও সেতুর নামে স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরি করা হোক। প্রতিটি খেলোয়াড়ই যেন তাঁদের যোগ্য সম্মান পান সেদিকে সরকারের কাছে আর্জি জানান তিনি। রানা ও সেতু পরিবারকে অনুদানের ব্যবস্থা করারও প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'রানার মতো ক্রিকেটারের মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য ক্রীড়ামোদী ও ভক্তকুলদের এগিয়ে আসতে হবে।'
জাতীয় দলের ওপেনার ইমরম্নল কায়েসের মনটা ভারাক্রানত্ম হয়ে ওঠে রানার কথা মনে পড়তেই। রানা তাঁকে অনেক আদর করতেন। এজন্য তাঁকে ভোলাটা অসম্ভব কায়েসের কাছে। 'লীগে একসঙ্গে খেলার সময় রানা ভাইয়ার সঙ্গে থাকতে পারলে আর কিছুই চাইতাম না।' দুর্ঘটনার দিন কায়েসের জলবসনত্ম না হলে সেতুকে কিছুতেই রানার পেছনে হোন্ডায় উঠতে দিতেন না। নিজেই উঠতেন জোর করে। সব সময় তাই করতেন। প্রিয় রানা ভাইয়ার জন্য কিছু করতে চান ইমরম্নল। কিন্তু কিভাবে? খুলনা কলেজের ছাত্রী জুঁই এখনও খুঁজে বেড়ায় খেলার মাঠে আরেকজন মানজারম্নলকে। প্রতিবছর সজীব, হিমাদ্রি, সরোদ, অপূর্বা, সুমনা, সুমাইয়া, শাওন, রিফাত, সাদিয়া, নাবিলা, সামীর, বাশার, তোরাব_ ওদের প্রশ্ন, কেন রানা ও সেতুকে নিয়ে মৃতু্যবার্ষিকী পালন করা হলো না এবারও?
খালেদ মাহমুদ সুজনের অনুজপ্রতিম সতীর্থের স্মৃতি অাঁকড়ে বেড়ায় পুরনো সতীর্থদের আড্ডায়। তার মতে, 'রানার একই সঙ্গে উইকেট দখল ও রান করার ৰমতা ছিল। এ রকম ক্রিকেটারই আমাদের এখন বেশি বেশি দরকার। খেলার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ রানার প্রতিভা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না আমার। ওর মা চাইতেন রানা ওর মামার মতো বড় ডাক্তার হোক, চেষ্টা করলে সেটাও হতে পারত সে। কিন্তু তার মন বাঁধা পড়ে ছিল ক্রিকেটে। কিন্তু দুভার্গ্য, এই ক্রিকেট খেলতে গিয়েই চিরবিদায় নিয়ে চলে গেল সে। আমরা বেশিদিন পেলাম না তাঁকে। বিনয়ী, রসিক রানা সবাইকে সম্মান করতে জানত। কর্তৃপৰের অন্যায় আচরণেও তাঁকে দেখেছি মুখ বুজে সহ্য করতে। এৰেত্রে তাঁর প্রতিবাদের ভাষা ছিল ব্যাট ও বল। ক্যান্সারে বাবার মৃতু্য তাঁর সংসারে বিপর্যয় ডেকে আনে। অথচ এক সময় প্রাচুর্যের মধ্যেই বাস ছিল রানা পরিবারের। রানার বাবা তাঁর সম্পত্তির বড় একটা জায়গা দান করে যান খুলনায় ক্রিকেট মাঠের জন্য। রানা ক্রিকেটকে অনেক দিয়েছেন, কিন্তু ক্রিকেট কি দিয়েছে রানাকে? আজ ক্রিকেট সংশিস্নষ্ট সকলের উচিত রানা পরিবারের জন্য কিছু করা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে রানা ও সেতুর ক্রিকেট অবদানের বিষয়টি ভালভাবে তুলে ধরা উচিত। তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়া প্রয়োজন। রানার মুখের সেই সরলতার হাসি কেউ ভুলতে পারবে না। সেই সদালাপী, সুবোধ ছেলেটা নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ আর আমাদের মাঝে নেই।'
সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল রানাকে মিস করেন নিঃসঙ্গ ও কানত্মিকর মুহূর্তে। রানার সঙ্গে খুনসুটি করাটা ছিল তাঁর নিত্যদিনের কর্মসূচী। তাঁর মৃতু্যবার্ষিকীটা কবে আসে আর যায়, ব্যসত্মতার কারণে মনেও রাখতে পারেন না এ্যাশ। তবে প্রতিনিয়ত তাঁকে অনুভব করেন।
২০০৪ সাল। জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। একদিনের সিরিজে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সফরকারীদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। মাঠে উলস্নাসরত বাংলাদেশ দল। সবার চোখ আলাদা করে নিবদ্ধ হয়েছে মানজারম্নল ইসলাম রানার প্রতি। সুদর্শন রানার আবেগী আচরণ সবার মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। কি যে প্রাণোচ্ছল দেখাচ্ছিল তাঁকে। ম্যাচের সেরা পারফরমার ছিলেন তিনিই। দলকে জেতানোর নায়ক রানা আজ নেই। তবুও তিনি আছেন। সবার মাঝে, সবার হৃদয়ে, সবার স্মৃতিতে রানা-সেতু এখনও অমস্নান। তাঁরা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে চির জাগরূক হয়ে বেঁচে থাকেন_ এটাই ক্রিকেটপ্রেমীদের নিগূঢ় প্রত্যাশা।
রানা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগে আপস্নুত হয়ে পড়েন প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউলস্নাহ্্ শারাফাত, 'রানার ব্যবহার, প্রতিভা, ব্যক্তিত্ব আমার হৃদয়ে জ্বলজ্বল করে ভাসে এখনও। তাঁর স্মৃতি মনে করে কষ্ট অনুভব করি। আমি তাঁর খেলা খুব পছন্দ করতাম। দল থেকে যখন তিনি বাদ পড়তেন, তখন অন্য সবার মতো আমিও কষ্ট পেতাম। রানার গুণাবলী সেতুর মধ্যেও দেখেছি। বেঁচে থাকলে তিনি হয়ত জাতীয় দলের একজন অপরিহার্য ক্রিকেটারে পরিণত হতেন।' রানা ও শারাফাত একই এলাকায় বাস করতেন (ঢাকার নিকুঞ্জে)। তাঁরা উভয়ে ছিলেন প্রতিবেশী। তাঁর সঙ্গে শারাফাতের ছিল শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্ক। ছোট হলেও রানাকে তিনি খুবই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন বলে জানালেন শারাফাত। রাজিনের মতো তাঁরও দাবি_ঢাকা ও খুলনায় রানা ও সেতুর নামে স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরি করা হোক। প্রতিটি খেলোয়াড়ই যেন তাঁদের যোগ্য সম্মান পান সেদিকে সরকারের কাছে আর্জি জানান তিনি। রানা ও সেতু পরিবারকে অনুদানের ব্যবস্থা করারও প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'রানার মতো ক্রিকেটারের মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য ক্রীড়ামোদী ও ভক্তকুলদের এগিয়ে আসতে হবে।'
জাতীয় দলের ওপেনার ইমরম্নল কায়েসের মনটা ভারাক্রানত্ম হয়ে ওঠে রানার কথা মনে পড়তেই। রানা তাঁকে অনেক আদর করতেন। এজন্য তাঁকে ভোলাটা অসম্ভব কায়েসের কাছে। 'লীগে একসঙ্গে খেলার সময় রানা ভাইয়ার সঙ্গে থাকতে পারলে আর কিছুই চাইতাম না।' দুর্ঘটনার দিন কায়েসের জলবসনত্ম না হলে সেতুকে কিছুতেই রানার পেছনে হোন্ডায় উঠতে দিতেন না। নিজেই উঠতেন জোর করে। সব সময় তাই করতেন। প্রিয় রানা ভাইয়ার জন্য কিছু করতে চান ইমরম্নল। কিন্তু কিভাবে? খুলনা কলেজের ছাত্রী জুঁই এখনও খুঁজে বেড়ায় খেলার মাঠে আরেকজন মানজারম্নলকে। প্রতিবছর সজীব, হিমাদ্রি, সরোদ, অপূর্বা, সুমনা, সুমাইয়া, শাওন, রিফাত, সাদিয়া, নাবিলা, সামীর, বাশার, তোরাব_ ওদের প্রশ্ন, কেন রানা ও সেতুকে নিয়ে মৃতু্যবার্ষিকী পালন করা হলো না এবারও?
খালেদ মাহমুদ সুজনের অনুজপ্রতিম সতীর্থের স্মৃতি অাঁকড়ে বেড়ায় পুরনো সতীর্থদের আড্ডায়। তার মতে, 'রানার একই সঙ্গে উইকেট দখল ও রান করার ৰমতা ছিল। এ রকম ক্রিকেটারই আমাদের এখন বেশি বেশি দরকার। খেলার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ রানার প্রতিভা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না আমার। ওর মা চাইতেন রানা ওর মামার মতো বড় ডাক্তার হোক, চেষ্টা করলে সেটাও হতে পারত সে। কিন্তু তার মন বাঁধা পড়ে ছিল ক্রিকেটে। কিন্তু দুভার্গ্য, এই ক্রিকেট খেলতে গিয়েই চিরবিদায় নিয়ে চলে গেল সে। আমরা বেশিদিন পেলাম না তাঁকে। বিনয়ী, রসিক রানা সবাইকে সম্মান করতে জানত। কর্তৃপৰের অন্যায় আচরণেও তাঁকে দেখেছি মুখ বুজে সহ্য করতে। এৰেত্রে তাঁর প্রতিবাদের ভাষা ছিল ব্যাট ও বল। ক্যান্সারে বাবার মৃতু্য তাঁর সংসারে বিপর্যয় ডেকে আনে। অথচ এক সময় প্রাচুর্যের মধ্যেই বাস ছিল রানা পরিবারের। রানার বাবা তাঁর সম্পত্তির বড় একটা জায়গা দান করে যান খুলনায় ক্রিকেট মাঠের জন্য। রানা ক্রিকেটকে অনেক দিয়েছেন, কিন্তু ক্রিকেট কি দিয়েছে রানাকে? আজ ক্রিকেট সংশিস্নষ্ট সকলের উচিত রানা পরিবারের জন্য কিছু করা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে রানা ও সেতুর ক্রিকেট অবদানের বিষয়টি ভালভাবে তুলে ধরা উচিত। তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়া প্রয়োজন। রানার মুখের সেই সরলতার হাসি কেউ ভুলতে পারবে না। সেই সদালাপী, সুবোধ ছেলেটা নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ আর আমাদের মাঝে নেই।'
সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল রানাকে মিস করেন নিঃসঙ্গ ও কানত্মিকর মুহূর্তে। রানার সঙ্গে খুনসুটি করাটা ছিল তাঁর নিত্যদিনের কর্মসূচী। তাঁর মৃতু্যবার্ষিকীটা কবে আসে আর যায়, ব্যসত্মতার কারণে মনেও রাখতে পারেন না এ্যাশ। তবে প্রতিনিয়ত তাঁকে অনুভব করেন।
২০০৪ সাল। জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। একদিনের সিরিজে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সফরকারীদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। মাঠে উলস্নাসরত বাংলাদেশ দল। সবার চোখ আলাদা করে নিবদ্ধ হয়েছে মানজারম্নল ইসলাম রানার প্রতি। সুদর্শন রানার আবেগী আচরণ সবার মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। কি যে প্রাণোচ্ছল দেখাচ্ছিল তাঁকে। ম্যাচের সেরা পারফরমার ছিলেন তিনিই। দলকে জেতানোর নায়ক রানা আজ নেই। তবুও তিনি আছেন। সবার মাঝে, সবার হৃদয়ে, সবার স্মৃতিতে রানা-সেতু এখনও অমস্নান। তাঁরা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে চির জাগরূক হয়ে বেঁচে থাকেন_ এটাই ক্রিকেটপ্রেমীদের নিগূঢ় প্রত্যাশা।
No comments