টাইগার উডস এবং একজন জেমি জাঙ্গার্স by কাজী ওয়াহিদুজ্জামান
আবার গলফ কোর্সে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন টাইগার উডস। প্রকাশ্যে ৰমা
চেয়ে অতীত পাপ মোচন করার চেষ্টার পর আবার গলফে সাম্রাজ্য বিসত্মারের উদ্যোগ
নিচ্ছেন গলফ সম্রাট।
কিন্তু উডসের সেরা বান্ধবীর তকমা গায়ে মাখা জেমি
জিঙ্গার্সের কি হবে? উডস মহাতারকা_ সব কিছুর উর্ধে উঠে আবার নতুন করে জীবন
সাজানো কোন বিষয়ই নয় মার্কিন গলফ তারকার কাছে। কিন্তু একজন সাধারণ ককটেল
ওয়েট্রেস জেমির জন্য নতুন করে জীবন শুরম্ন করাটা হয়ত কঠিন হয়ে যাবে ২৬ বছর
বয়সী মার্কিন তরম্নণীটির জন্য। তারকা বলতে যা বোঝায় জেমি জাঙ্গার্স কখনই
সেই কাতারের মানুষ নয়। কিন্তু তার পরও বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত এক
নারী জেমি। লাস ভেগাসের ২৬ বছর বয়সী এই ককটেল ওয়েটার্সের পরিচয় এখন
বিশ্বব্যাপী। যদিও সেটা কোন মহৎ কীর্তির কারণে নয়, বরং লজ্জাজনক এক
সম্পর্কের জের ধরে। সুইডিশ মডেল স্ত্রী এলিন নর্দেগ্রিনকে ফাঁকি দিয়ে উডস
যে নারীদের সঙ্গে গোপন অভিসারে মেতেছিলেন, জেমি জাঙ্গার্স তাদেরই একজন।
মাত্র ২০ বছর বয়সে যে উডসের তারকাখ্যাতিতে মুগ্ধ হয়ে ন্যায়-অন্যায়ের বোধ
হারিয়েছিল, গা ভাসিয়েছিল অনৈতিক সম্পর্কের জোয়ারে। একজন বিশ্বতারকার
প্রেমিকা হতে পারার বাসনায় উডসকে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন জেমি, তবে এর
প্রতিদান অবশ্যই ভাল হয়নি তার জন্য। উডসের প্রেমিকা বা স্ত্রী নয়, শেষ
পর্যনত্ম লাস ভেগাসের ককটেল ওয়েট্রেস জেমি জাঙ্গার্সের পরিচয়টা দাঁড়িয়ে গেল
টাইগার উডসের রৰিতা হিসেবে, একটু ভদ্র ভাষায় বলা চলে টাইগার উডসের বান্ধবী
হিসেবে। মার্কিন গলফ তারকার সঙ্গে জেমির গোপন রোমান্সের খবর আর এখন অজানা
কোন বিষয় নয়। স্বভাবতই সামাজিকভাবে জেমি এখন অনেকের কাছে এখন করম্নণার
পাত্রী, কারও কাছে তরম্নণী মেয়েটি হাসি ঠাট্টার বিষয়, কারও কাছে আবার হয়ত
সে ঘৃণিত এক মানুষ। জেমি জাঙ্গার্সের স্বাভাবিক জীবনটা এখন অনেকটাই
পরিবর্তিত এক জীবন, সোনালি স্বপ্নের শবদেহ মাটি চাপা দিয়ে নিদারম্নণ
বাসত্মবতায় দাঁড়িয়ে থাকা সংগ্রামী এক নারী প্রতিমূর্তি তা।
প্রাচ্যের চেয়ে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি অনেক বেশি উদার । তবে এখনও সেখানে ন্যায়-অন্যায় বোধগুলো অনেক বেশি প্রখর। যে কারণেই স্ত্রী-সনত্মান থাকার পরও গোপনে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর মূল্য হিসেবে শেষ পর্যনত্ম ৰমা চাইতে হয়েছে টাইগার উডসকে। আকাশ থেকে খসে পড়া তারকার মতোই বিবর্ণ হয়ে গেছে তার সবকিছু। একই সঙ্গে তার গোপন প্রেমিকারা পরিণত হয়েছে সমাজের হাসি-ঠাট্টা এবং করম্নণার পাত্র হিসেবে। উডসের বান্ধবীদের নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন জনপ্রিয় রেডিও জকি হাওয়ার্ড স্টার্নের সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিষয়টি অনেকটা তেমনই একটা বিষয়। উডসের স্ক্যান্ডালকে ব্যবাসায়িক স্বার্থে কাজে লাগানোর চিনত্মা করে হাওয়ার্ড এবং এ্যাশলেমেডিসন ডটকম নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি 'ম্যাচ মেকার' প্রতিষ্ঠান। কিন্তু উডসের বান্ধবীদের নিয়ে তাই এক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারা। কিন্তু তাতে অংশ নিতে উডসের বান্ধবীরা রাজি হবেন কিনা সে কথা ভেবে প্রতিযোগিতার বিজয়ীর জন্য ঘোষণা করা হয় এক লাখ মার্কিন ডলার। অর্থের পরিমাণ কম নয়, কিন্তু জেমি জাঙ্গার্সসহ মোট তিনজন বাদে তাতে সাড়া দেয়নি উডসের গোপন প্রেয়সীদের অন্যরা। কিন্তু তার পরও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে উডসের সেরা বান্ধবীর খেতাব জিতে নেন জেমি জাঙ্গার্স। পুরস্কার পান এক লাখ ডলার। তবে এ পুরস্কার জিততে গিয়ে ২০০৪ সালে উডসের সঙ্গে পরিচয়, পরবতর্ীতে রোমান্সের পঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে হয়েছে জেমিকে। যা অনেকের জন্য হাসি-ঠাট্টা বা আনন্দের উপলৰ হলেও জেমি জাঙ্গার্সদের মতো উডসের বান্ধবীদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। কারণ অর্থের বিনিময়ে এভাব প্রকাশ্যে টাইগার উডসের সঙ্গে গোপন অভিসারের স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি অনেকেই। জেমি জাঙ্গার্সরা অর্থের লোভেই উডসকে শরীর-মন উজাড় করে দিয়েছে এবং এখন বিষয়টিকে অর্থ কামানোর উপলৰ হিসেবে ব্যবহার করছে এমন কথাও বলছেন অনেকেই। অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে যাই হোক না কেন উডসের অভিসারের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর জীবন কঠিন হয়ে পড়েছে জেমি জাঙ্গার্স এবং গলফ সম্রাটের অন্যন্যা বান্ধবীদের। সামজিকভাবে এখন নিগৃহীত তারা। জীবন আর স্বাভাবিক নেই তাদের, হারিয়ে গেছে সহজ স্বাভাবিক সৌন্দর্য। উডস বিবাহিত জেনেও কেন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এসব নারী? প্রশ্নটা তাড়া করেছে অনেককেই। এর উত্তরে কেউ কেউ মনত্মব্য করেছেন_ 'অর্থের লোভে।' টাইগার উডস একজন মহাতারকা। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ক্রীড়াবিদ। এ তথ্য কে না জানে। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে উডস যেসব নারীর সঙ্গে রোমান্সে মেতেছিলেন তাঁদের কাছেও এ তথ্য অজানা নয়। সুতরাং উডসকে অনৈতিক ইচ্ছে পূরণ করার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এমন ধারণা অনেকেরই। কেউ কেউ আবার মনে করেন, উডসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল এমন দাবি যাঁরা করছেন এসব নারীর অনেকের সঙ্গে আসলে উডসের কোন সম্পর্কই ছিল না। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মিডিয়াগুলোর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যে সম্পর্কের গল্প ফেঁদে বসেছেন এসব নারী। জেমি জাঙ্গার্স সম্পর্কে এমন অভিযোগ উঠেছে। উডসের সঙ্গে রোমান্সের যে বর্ণনা জেমি দিয়েছেন তা মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তবে জোরালোভাবে তা নাকচ করে দিয়েছেন সুন্দরী এই ককটেল ওয়েট্রেস। নাকচ করে দিয়েছেন অর্থের লোভে গলফ সম্রাটকে শরীর-মন সব উজাড় করে দেয়ার বিষয়টিও। এক সাৰাতকারে জেমি দাবি করেছেন, 'অন্য কিছু নয়, উডস একজন মহাতারকা এটাই প্রলুব্ধ করেছিল তাঁকে।' উডসকে যখন তিনি চিনতেন না তখন গলফ মাঠে উডসের একর পর এক মহাকীর্তির খবর শুনতে শুনতে উডসের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা জন্মেছিল তাঁর মনে। তাই ২০০৪ সালে লাস ভেগাসের এক ক্যাসিনোতে উডস যখন তাঁর আগ্রহ প্রদর্শন করেন তাতে পুলকিত হয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী তরম্নণীটি। এরপর সময়ের ফেরে এক সময় গলফ সম্রাটকে ভালবেসেও ফেলেছেন। উডস বিবাহিত জেনেও উডসের কামনার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই জোটেনি তাঁর ভাগ্যে, কেবল মন ভাঙ্গা ছাড়া। জেমির মতে একবার চরম আর্থিক সঙ্কেটে পড়ার পর উডসকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে বলেছিলেন তিনি। তবে গলফ সম্রাটের কাছে সরাসরি আর্থিক সাহায্য চাননি তিনি। উডসকে সব ঘটনা খুলে বলে কেবল জিজ্ঞেস করেছিলেন এ ব্যাপারে উডস তাঁকে সাহায্য করতে পারেন কিনা। এর উত্তরে উডস নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে করে উডসের প্রতি ভালবাসায় ঘাটতি পড়েনি তাঁর। গলফ সম্রাটকে এখনও ভালবাসেন বলেই দাবি জেমি জাঙ্গার্সের। তাঁর মতে, উডসের স্ত্রী-সনত্মান রয়েছে জানার পরও তাঁর সঙ্গে অমন সম্পর্কে জড়ানোটা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য বিষয় নয়। এ নিয়ে মনে মনে অপরাধবোধ রয়েছে তাঁর। কিন্তু উডসের প্রতি ভালবাসা প্রকাশে গর্বই অনুভব করেন তিনি। কারণ উডসের প্রতি তাঁর ভালবাসায় কোন স্বার্থসিদ্ধির অভিপ্রায় ছিল না, এখনও নয়। এটা কেবলই একজন তারকার প্রতি একজন সাধারণ নারীর গভীর অনুরাগ। জেমি জাঙ্গার্সের কথা আসলে কতটা সত্যি তা পরিমাপ করার আপাতত কোন উপায় নেই। একমাত্র টাইগার উডসই পারেন এ বিষয়ে সঠিক রায় দিতে। তবে যদি জেমির দাবি যদি সত্যিই হয় তাহলে আরেকবার নতুন করে ধিক্কার পেতে হবে গলফ সম্রাট টাইগার উডসকে। সেটা একজন স্বপ্নবিলাসী-আর্থিকভাবে অসচ্ছল নারীর ভালবাসার অমর্যাদা করার জন্য !
প্রাচ্যের চেয়ে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি অনেক বেশি উদার । তবে এখনও সেখানে ন্যায়-অন্যায় বোধগুলো অনেক বেশি প্রখর। যে কারণেই স্ত্রী-সনত্মান থাকার পরও গোপনে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর মূল্য হিসেবে শেষ পর্যনত্ম ৰমা চাইতে হয়েছে টাইগার উডসকে। আকাশ থেকে খসে পড়া তারকার মতোই বিবর্ণ হয়ে গেছে তার সবকিছু। একই সঙ্গে তার গোপন প্রেমিকারা পরিণত হয়েছে সমাজের হাসি-ঠাট্টা এবং করম্নণার পাত্র হিসেবে। উডসের বান্ধবীদের নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন জনপ্রিয় রেডিও জকি হাওয়ার্ড স্টার্নের সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিষয়টি অনেকটা তেমনই একটা বিষয়। উডসের স্ক্যান্ডালকে ব্যবাসায়িক স্বার্থে কাজে লাগানোর চিনত্মা করে হাওয়ার্ড এবং এ্যাশলেমেডিসন ডটকম নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি 'ম্যাচ মেকার' প্রতিষ্ঠান। কিন্তু উডসের বান্ধবীদের নিয়ে তাই এক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারা। কিন্তু তাতে অংশ নিতে উডসের বান্ধবীরা রাজি হবেন কিনা সে কথা ভেবে প্রতিযোগিতার বিজয়ীর জন্য ঘোষণা করা হয় এক লাখ মার্কিন ডলার। অর্থের পরিমাণ কম নয়, কিন্তু জেমি জাঙ্গার্সসহ মোট তিনজন বাদে তাতে সাড়া দেয়নি উডসের গোপন প্রেয়সীদের অন্যরা। কিন্তু তার পরও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে উডসের সেরা বান্ধবীর খেতাব জিতে নেন জেমি জাঙ্গার্স। পুরস্কার পান এক লাখ ডলার। তবে এ পুরস্কার জিততে গিয়ে ২০০৪ সালে উডসের সঙ্গে পরিচয়, পরবতর্ীতে রোমান্সের পঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে হয়েছে জেমিকে। যা অনেকের জন্য হাসি-ঠাট্টা বা আনন্দের উপলৰ হলেও জেমি জাঙ্গার্সদের মতো উডসের বান্ধবীদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। কারণ অর্থের বিনিময়ে এভাব প্রকাশ্যে টাইগার উডসের সঙ্গে গোপন অভিসারের স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি অনেকেই। জেমি জাঙ্গার্সরা অর্থের লোভেই উডসকে শরীর-মন উজাড় করে দিয়েছে এবং এখন বিষয়টিকে অর্থ কামানোর উপলৰ হিসেবে ব্যবহার করছে এমন কথাও বলছেন অনেকেই। অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে যাই হোক না কেন উডসের অভিসারের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর জীবন কঠিন হয়ে পড়েছে জেমি জাঙ্গার্স এবং গলফ সম্রাটের অন্যন্যা বান্ধবীদের। সামজিকভাবে এখন নিগৃহীত তারা। জীবন আর স্বাভাবিক নেই তাদের, হারিয়ে গেছে সহজ স্বাভাবিক সৌন্দর্য। উডস বিবাহিত জেনেও কেন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এসব নারী? প্রশ্নটা তাড়া করেছে অনেককেই। এর উত্তরে কেউ কেউ মনত্মব্য করেছেন_ 'অর্থের লোভে।' টাইগার উডস একজন মহাতারকা। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ক্রীড়াবিদ। এ তথ্য কে না জানে। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে উডস যেসব নারীর সঙ্গে রোমান্সে মেতেছিলেন তাঁদের কাছেও এ তথ্য অজানা নয়। সুতরাং উডসকে অনৈতিক ইচ্ছে পূরণ করার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এমন ধারণা অনেকেরই। কেউ কেউ আবার মনে করেন, উডসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল এমন দাবি যাঁরা করছেন এসব নারীর অনেকের সঙ্গে আসলে উডসের কোন সম্পর্কই ছিল না। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মিডিয়াগুলোর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যে সম্পর্কের গল্প ফেঁদে বসেছেন এসব নারী। জেমি জাঙ্গার্স সম্পর্কে এমন অভিযোগ উঠেছে। উডসের সঙ্গে রোমান্সের যে বর্ণনা জেমি দিয়েছেন তা মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তবে জোরালোভাবে তা নাকচ করে দিয়েছেন সুন্দরী এই ককটেল ওয়েট্রেস। নাকচ করে দিয়েছেন অর্থের লোভে গলফ সম্রাটকে শরীর-মন সব উজাড় করে দেয়ার বিষয়টিও। এক সাৰাতকারে জেমি দাবি করেছেন, 'অন্য কিছু নয়, উডস একজন মহাতারকা এটাই প্রলুব্ধ করেছিল তাঁকে।' উডসকে যখন তিনি চিনতেন না তখন গলফ মাঠে উডসের একর পর এক মহাকীর্তির খবর শুনতে শুনতে উডসের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা জন্মেছিল তাঁর মনে। তাই ২০০৪ সালে লাস ভেগাসের এক ক্যাসিনোতে উডস যখন তাঁর আগ্রহ প্রদর্শন করেন তাতে পুলকিত হয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী তরম্নণীটি। এরপর সময়ের ফেরে এক সময় গলফ সম্রাটকে ভালবেসেও ফেলেছেন। উডস বিবাহিত জেনেও উডসের কামনার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই জোটেনি তাঁর ভাগ্যে, কেবল মন ভাঙ্গা ছাড়া। জেমির মতে একবার চরম আর্থিক সঙ্কেটে পড়ার পর উডসকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে বলেছিলেন তিনি। তবে গলফ সম্রাটের কাছে সরাসরি আর্থিক সাহায্য চাননি তিনি। উডসকে সব ঘটনা খুলে বলে কেবল জিজ্ঞেস করেছিলেন এ ব্যাপারে উডস তাঁকে সাহায্য করতে পারেন কিনা। এর উত্তরে উডস নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে করে উডসের প্রতি ভালবাসায় ঘাটতি পড়েনি তাঁর। গলফ সম্রাটকে এখনও ভালবাসেন বলেই দাবি জেমি জাঙ্গার্সের। তাঁর মতে, উডসের স্ত্রী-সনত্মান রয়েছে জানার পরও তাঁর সঙ্গে অমন সম্পর্কে জড়ানোটা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য বিষয় নয়। এ নিয়ে মনে মনে অপরাধবোধ রয়েছে তাঁর। কিন্তু উডসের প্রতি ভালবাসা প্রকাশে গর্বই অনুভব করেন তিনি। কারণ উডসের প্রতি তাঁর ভালবাসায় কোন স্বার্থসিদ্ধির অভিপ্রায় ছিল না, এখনও নয়। এটা কেবলই একজন তারকার প্রতি একজন সাধারণ নারীর গভীর অনুরাগ। জেমি জাঙ্গার্সের কথা আসলে কতটা সত্যি তা পরিমাপ করার আপাতত কোন উপায় নেই। একমাত্র টাইগার উডসই পারেন এ বিষয়ে সঠিক রায় দিতে। তবে যদি জেমির দাবি যদি সত্যিই হয় তাহলে আরেকবার নতুন করে ধিক্কার পেতে হবে গলফ সম্রাট টাইগার উডসকে। সেটা একজন স্বপ্নবিলাসী-আর্থিকভাবে অসচ্ছল নারীর ভালবাসার অমর্যাদা করার জন্য !
No comments