সীমান্তে বিএসএফের গুলি ও শিবিরের হত্যার হুমকি নিয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হতাহত এবং আওয়ামী লীগের এক লাখ কর্মীকে হত্যার শিবিরের হুমকির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের দুই প্রভাবশালী সদস্য।
তবে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখা নিয়ে সোমবার বর্তমান ও সাবেক স্পীকারের মধ্যে মৃদু বাহাস হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়। আইন প্রণয়ন কার্যাবলী শেষে বিরোধী দলের ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ বেশ ক'জন পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখতে চাইলে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ একজনকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে রাজি হন। এ নিয়ে স্পীকার ও সাবেক এই স্পীকারের মধ্যে কিছুটা বাহাস হয়। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পীকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'বিরোধী দলে থাকতে আপনারা যখনই ফোর চেয়েছেন তখনই দিয়েছি। কাউকে বাধা দেইনি।' জবাবে স্পীকার বলেন, 'এটি মোটেও সত্য কথা বলেননি। এ সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অনেকেই সাৰী আছেন। অধিকাংশ দিনই বিরোধী দলকে ফোর দেননি। এমনকি বিরোধীদলীয় উপনেতা থাকতেও আমি বেশিরভাগ সময়ই বক্তব্য রাখার সুযোগ পাইনি।' স্পীকারের এমন দৃঢ়তায় হার মানেন সাবেক স্পীকার জমিরউদ্দিন সরকার।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে বিএসএফ গুলি চালিয়ে ৩০ বাংলাদেশীকে আহত করেছে। বিডিআর ও বিএসএফ মহাপরিচালকের শীর্ষ বৈঠকের তিন দিনের মাথায় এবং সেনাবাহিনী প্রধান দিলস্নী সফরের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, দেশী কিংবা আন্তর্জাতিক আইনে অন্য দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কখনও সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে না।

No comments

Powered by Blogger.