ঢাবিতে ক্ষোভের মুখে ছাত্রলীগের সভাপতি by রিয়াদুল করিম
ছাত্রলীগের জেলা কমিটিগুলো গঠনসহ
বিভিন্ন ৰেত্রে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হচ্ছে না। এর ফলে সংগঠনের ভেতরে এমনকি
কেন্দ্রীয় পর্যায়েও বাড়ছে কোন্দল। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বাড়ছে ৰোভ
ও হতাশা।
সংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতাদের ৰোভের বহির্প্রকাশও ঘটছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার তোপের মুখে
পড়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। তারা নেতাকর্মীদের সামনেই কেন্দ্রীয় সভাপতিকে
গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন বিষয়ে জবাবদিহি করেছেন নেতাকর্মীদের
সামনেই।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করার কথা প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের। জরম্নরী অবস্থা চলাকালে রোটন যখন কারাবন্দী ছিলেন তখনও প্রায় দশ মাস ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবুল কালাম। কিনত্মু এবার তা করা হয়নি। কয়েক নেতা জানান, সংগঠনের নেতারা এ বিষয়টি জানতে চাইলে সভাপতি বলেছেন, এটি করলে সমস্যা আছে। সংগঠন সূত্র জানায়, মূলত রোটনের অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগের ওপর পূর্ণ একক নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সভাপতি রিপন।
সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে এমনকি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই এককভাবে রংপুর, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও যশোরে সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। এর মধ্যে প্রথম দুটি জেলায় সম্মেলন সফলভাবে দিয়ে আসতেও সৰম হন যদিও ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের কোন স্বাৰর ছিল না। কিন্তু হবিগঞ্জ ও যশোরে দেখা দেয় বিপত্তি। হবিগঞ্জে গঠন করা হয় পাল্টাপাল্টি কমিটি। আর যশোরে গুলি বোমার মুখে প- হয়ে যায় সম্মেলন। একদিন পর খুন হন সংগঠনের এক নেতা।
হবিগঞ্জে সম্মেলন হয় ১১ মার্চ। ওই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতা হলেন- সংগঠনের সহসভাপতি সুজাতুর রহমান, গণশিক্ষা সম্পাদক আবু আব্বাস ভুইয়া ও সহসম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঢালী। তাদের তিনজনের কেউই সেই সম্মেলনে যাননি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্মেলনের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সভাপতি তাদের জানিয়েছেন আগামীকাল হবিগঞ্জে সম্মেলন। এ কারণে তারা সম্মেলনে যাননি। সাধারণ সম্পাদক বা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেউই না থাকলেও সেখানে এককভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করে দিয়ে আসেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। তার গঠিত কমিটিতে রাসেলকে সভাপতি ও রানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে ৰুব্ধ হয়ে ওই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এর পরপরই শফিকুজ্জামান ধিরাজকে সভাপতি ও আবুল কাশেম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা আরেকটি কমিটি ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বিশেষত সংগঠনের সভাপতির বিরম্নদ্ধে অন্য নেতাদের ৰোভ প্রকট ও পুঞ্জীভূত হচ্ছে।
এরপর শনিবার সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল যশোরে। কিন্তু ব্যাপক বোমাবাজি ও গোলাগুলির মুখে প- হয়ে যায় সে সম্মেলন। সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বিদেশ থেকেই কেন্দ্রীয় সভাপতিকে যশোরের সম্মেলন স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। কিনত্মু সভাপতি তা আমলে নেননি।
সর্বশেষ সোমবার বান্দারবানে সম্মেলনেও এক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে বাদ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই কেন্দ্রীয় নেতাকে সম্মেলনে নিয়ে যাওয়া হয়নি বা পোস্টারে তার নাম দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সোমবার টিএসসিতে নাজমুল সভাপতির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠনের পর থেকেই গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে একটি সিন্ডিকেটের ইশারায় চলে আসছে ছাত্রলীগ। ওই সিন্ডিকেটের সিদ্ধানত্মই সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধানত্ম। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যত ঠুঠু জগন্নাথ। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা ৰোভ প্রকাশ করে জনকণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের কোন কাজ নেই শুধু পদ আছে। এমনকি কোন সভাও নেই। শুধু কিছু মিছিল, সমাবেশ আর মধুর ক্যান্টিনে আড্ডা দেয়াই আমাদের কাজ। তাঁরা বলেন, এভাবে কোন সংগঠন চলতে পারে না। তারা এজন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হসত্মৰেপ কামনা করেন এবং দলে গঠনতন্ত্র চর্চা ও চেন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তোপের মুখে সভাপতি ॥ গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির এসব কর্মকা-ের বিরম্নদ্ধে মুখ খুলতে শুরম্ন করেছেন ৰুব্ধ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনা শেষে বের হওয়ার মুখে সভাপতির মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় গণশিৰা সম্পাদক আবু আব্বাস ভুইয়া, সহসম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঢালী, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, জুয়েল শাহরিয়ারসহ কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা সভাপতির কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জবাবদিহি করেন। এ সময় কয়েক ৰুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতা সভাপতির কাছে জানতে চান তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করছেন কিনা। বিশেষত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাদ দিয়ে এককভাবে হবিগঞ্জের জেলা কমিটি কিভাবে গঠন করা হয়েছে, যশোরে এক নেতা খুন ও সম্মেলনে বোমাবাজি ও গোলাগুলি, ইডেন কলেজে চারজনকে কিভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে তারা সরাসরি জানতে চান। এসব বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে প্রত্যৰদর্শীরা জানান। কেন্দ্রীয় নেতারা শীঘ্রই জরম্নরী সভা আহ্বান করার দাবি জানান। এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সভাপতি তার অনুসারীদের হসত্মৰেপে কোনরকম স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা ও জহুরম্নল হক হল শাখার সভাপতি সামছুল কবীর রাহাত কেন্দ্রীয় সভাপতিকে রৰা করে গাড়িতে তুলে দেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সংগঠনের সাধারন সম্পাাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন অসুস্থ হওয়ায় এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করার কথা প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের। জরম্নরী অবস্থা চলাকালে রোটন যখন কারাবন্দী ছিলেন তখনও প্রায় দশ মাস ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবুল কালাম। কিনত্মু এবার তা করা হয়নি। কয়েক নেতা জানান, সংগঠনের নেতারা এ বিষয়টি জানতে চাইলে সভাপতি বলেছেন, এটি করলে সমস্যা আছে। সংগঠন সূত্র জানায়, মূলত রোটনের অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগের ওপর পূর্ণ একক নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সভাপতি রিপন।
সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে এমনকি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই এককভাবে রংপুর, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও যশোরে সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। এর মধ্যে প্রথম দুটি জেলায় সম্মেলন সফলভাবে দিয়ে আসতেও সৰম হন যদিও ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের কোন স্বাৰর ছিল না। কিন্তু হবিগঞ্জ ও যশোরে দেখা দেয় বিপত্তি। হবিগঞ্জে গঠন করা হয় পাল্টাপাল্টি কমিটি। আর যশোরে গুলি বোমার মুখে প- হয়ে যায় সম্মেলন। একদিন পর খুন হন সংগঠনের এক নেতা।
হবিগঞ্জে সম্মেলন হয় ১১ মার্চ। ওই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতা হলেন- সংগঠনের সহসভাপতি সুজাতুর রহমান, গণশিক্ষা সম্পাদক আবু আব্বাস ভুইয়া ও সহসম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঢালী। তাদের তিনজনের কেউই সেই সম্মেলনে যাননি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্মেলনের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সভাপতি তাদের জানিয়েছেন আগামীকাল হবিগঞ্জে সম্মেলন। এ কারণে তারা সম্মেলনে যাননি। সাধারণ সম্পাদক বা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেউই না থাকলেও সেখানে এককভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করে দিয়ে আসেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। তার গঠিত কমিটিতে রাসেলকে সভাপতি ও রানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে ৰুব্ধ হয়ে ওই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এর পরপরই শফিকুজ্জামান ধিরাজকে সভাপতি ও আবুল কাশেম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা আরেকটি কমিটি ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বিশেষত সংগঠনের সভাপতির বিরম্নদ্ধে অন্য নেতাদের ৰোভ প্রকট ও পুঞ্জীভূত হচ্ছে।
এরপর শনিবার সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল যশোরে। কিন্তু ব্যাপক বোমাবাজি ও গোলাগুলির মুখে প- হয়ে যায় সে সম্মেলন। সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বিদেশ থেকেই কেন্দ্রীয় সভাপতিকে যশোরের সম্মেলন স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। কিনত্মু সভাপতি তা আমলে নেননি।
সর্বশেষ সোমবার বান্দারবানে সম্মেলনেও এক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে বাদ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই কেন্দ্রীয় নেতাকে সম্মেলনে নিয়ে যাওয়া হয়নি বা পোস্টারে তার নাম দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সোমবার টিএসসিতে নাজমুল সভাপতির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠনের পর থেকেই গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে একটি সিন্ডিকেটের ইশারায় চলে আসছে ছাত্রলীগ। ওই সিন্ডিকেটের সিদ্ধানত্মই সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধানত্ম। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যত ঠুঠু জগন্নাথ। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা ৰোভ প্রকাশ করে জনকণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের কোন কাজ নেই শুধু পদ আছে। এমনকি কোন সভাও নেই। শুধু কিছু মিছিল, সমাবেশ আর মধুর ক্যান্টিনে আড্ডা দেয়াই আমাদের কাজ। তাঁরা বলেন, এভাবে কোন সংগঠন চলতে পারে না। তারা এজন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হসত্মৰেপ কামনা করেন এবং দলে গঠনতন্ত্র চর্চা ও চেন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তোপের মুখে সভাপতি ॥ গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির এসব কর্মকা-ের বিরম্নদ্ধে মুখ খুলতে শুরম্ন করেছেন ৰুব্ধ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনা শেষে বের হওয়ার মুখে সভাপতির মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় গণশিৰা সম্পাদক আবু আব্বাস ভুইয়া, সহসম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঢালী, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, জুয়েল শাহরিয়ারসহ কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা সভাপতির কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জবাবদিহি করেন। এ সময় কয়েক ৰুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতা সভাপতির কাছে জানতে চান তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করছেন কিনা। বিশেষত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাদ দিয়ে এককভাবে হবিগঞ্জের জেলা কমিটি কিভাবে গঠন করা হয়েছে, যশোরে এক নেতা খুন ও সম্মেলনে বোমাবাজি ও গোলাগুলি, ইডেন কলেজে চারজনকে কিভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে তারা সরাসরি জানতে চান। এসব বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে প্রত্যৰদর্শীরা জানান। কেন্দ্রীয় নেতারা শীঘ্রই জরম্নরী সভা আহ্বান করার দাবি জানান। এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সভাপতি তার অনুসারীদের হসত্মৰেপে কোনরকম স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা ও জহুরম্নল হক হল শাখার সভাপতি সামছুল কবীর রাহাত কেন্দ্রীয় সভাপতিকে রৰা করে গাড়িতে তুলে দেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সংগঠনের সাধারন সম্পাাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন অসুস্থ হওয়ায় এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
No comments