ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডর দেয়া হচ্ছে- লালদীঘিতে বিএনপির সমাবেশ
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডর দেয়া হচ্ছে। এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
এর ফলে ভারতের বন্দর ব্যবহারের কারণে দেশের ব্যাপক ৰতি হবে। তিনি রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে এমএন নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইনাম উল হক, চবি শিৰক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম, চবি শিৰক সিদ্দিক আহমেদ, যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, চবি ছাত্রদলের সভাপতি এম আর চৌধুরী মিল্টন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, মোঃ খোরশেদ । ট্রানজিটের নামে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করে চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশে মঞ্চে জায়গা দখল নিয়ে নগর বিএনপির নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।সমাবেশে নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে বিদ্যমান সমস্যা নিরসন না করে দেশ বিকিয়ে দেয়ার চুক্তি করে এসেছে । তিনি সেখানে যেসব চুক্তি ও ইশতেহারে স্বাৰর করেছেন, তাতে শুধু ভারত লাভবান হবে। কিন্তু চুক্তি থেকে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে, তার কোন ব্যাখ্যা সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী দেননি।
চট্টগ্রাম বন্দর ট্রানজিটের সুবিধা দিতে প্রস্তুত নয় বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, বন্দরের বর্তমান অবকাঠামোর মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যবহার করা যায়। আর ৬০ শতাংশ এখনও ব্যবহার উপযোগী নয়। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ট্রানজিট অবশ্যই চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে ভারতকে করিডর দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। দেশ বিক্রির কোন চক্রানত্ম হলে চট্টগ্রাম থেকেই এর প্রথম আন্দোলন শুরম্ন হবে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরম্নদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরম্ন হবে। এদিকে সমাবেশস্থলে নোমান উপস্থিত হলে নেতাদের মধ্যে মঞ্চে জায়গা করে নিতে লিপ্ত হয়। পরে মঞ্চে জায়গা না পেয়ে নগর বিএনপির নেতারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপির কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিৰোভ মিছিল নগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ সড়ক প্রদৰিণ করে বটতলী স্টেশনে শেষ হয়।
No comments