বছরে ২০ হাজার শিক্ষার্থী আমেরিকা যাক দেখতে চান জুডিথ
প্রয়াত মার্কিন সিনেটর ৩৮ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বটগাছ রোপণ করে গেছেন সে বটগাছটির বেড়ে ওঠার মতোই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ অব্যাহতভাবে দৃঢ়তর হয়েছে।
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুডিথ ম্যাকহেল (আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট, পাবলিক এ্যাফেয়ার্স এ্যান্ড পাবলিক ডিপেস্নাম্যাসি) রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। তিনি দেখতে চান, আগামী দশক থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজার শিৰার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে সারা বিশ্বের সাড়ে ছয় লাখ শিৰার্থী পড়াশুনা করছে সেখানে বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ৭শ' বাংলাদেশী ছাত্র যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করছে।রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'বিল্ডিং ব্রিজ থরো স্টাডিজ ইন দ্যা ইউএস' শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ড. হারম্নন অর রশীদ, কোষাধ্যৰ ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুডিথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে কথা বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোন ভাল জায়গার কথা আমি চিনত্মা করতে পারি না। সফরকালে আমি সরকারী কর্মকর্তা, রাজনীতিক, শিৰাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে আমি অনেক কিছুই অবগত হয়েিেছ।
তিনি বলেন, আজ আপনারা যখন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তুলেছেন, অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন, এ অঞ্চলসহ এখানে শানত্মি ও নিরাপত্তাকে লালন করেছেন তখন আমেরিকার লাখ লাখ জনগণ বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত বাংলাদেশর ভবিষ্যত নেতৃত্ব আমেরিকার জনগণের বন্ধুত্ব সচৰে দেখার সুযোগ আগের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সিনেটর কেনেডি রোপিত গাছটির বেড়ে ওঠার মতোই দু'দেশের সম্পর্ক, বন্ধন দৃঢ়তর হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাৰাত এর আগে সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বাসভবন যমুনায় সাৰাত করেন। সাৰাতকালে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আরও বেশি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সাৰাতকালে তাঁরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শিৰা ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
No comments