নূরুল আমীন ও তার ভ্রান্ত রাষ্ট্রভাষা নীতি- এমএ বার্ণিক

বসন্তকুমার দাসের কতিপয় প্রশ্নের জবাবে নূরুল আমীন আইনসভায় বলেন, র্অ ধ্র ভর্ম ট ্যলণর্্রধমভ মত থমধভথর্ ম ঋবণরথণভডহ ষটরঢ. ঘর্ধদমর্ল পভমষধভথর্ দণ টর্ডলটফ যম্রর্ধধমভ ্রধবযফহর্ ম থমর্ মর্ দণ ুণঢধডটফ ঔম্রযর্ধটফ ষধফফ ফণটঢ ল্র ভমষদণরণ.
ওম ষণ দটশণ থর্মর্ ম ভমষ ধতর্ দণরণ ধ্র টভহ ধভ ধভডধঢণর্ভ দমষর্ দর্ট ধভডধঢণর্ভর্ মমপ যফটডণ টভঢ ষদম ধ্রর্ ম ঠফটবণ টভঢ ধত টভহ ণসডণ্র্র দট্র ঠণণভ ঢমভণ ঠহ টভহ যমফধডণ মততধডণর. অ টব যরণযটরণঢর্ মর্ টপণ টর্ডধমভ টথটধভর্্র দধব টভঢ ট শণরহ ঢরটর্্রধড টর্ডধমভ.
কদণ যমফধডণ ঢমণ্র ভর্ম ডমববর্ধ টভহ টর্ড্র মত ণসডণ্র্রণ্র. অত টভহ ঠমঢহ দট্র ঢমভণর্ দর্ট অ ষধফফ ফমমপর্ মর্ দর্ট টভঢ ঠরধভথর্ দণ মততণভঢণরর্ ম ঠমমপ. র্অ ধ্র ভর্ম ষটর্ভ মত ওহবযর্টদহ তমরর্ দণ যণমযফণ ষদম দটশণ ঠণণভ ধভনলরণঢ. ঠর্লর্ দণ যণর্রমভ্র, ষদম টরণ ণর্ভরলর্্রণঢ ষর্ধদর্ দণ রলভভধভথ মতর্ দণ টঢবধভধর্্ররর্টধমভ দটশণ থর্মর্ ম ্রণণ ষদর্ট ধ্রর্ দণ র্্রমরহ ঠণদধভঢ র্ধ টভঢ দমষ র্ধ মরধথধভর্টণঢ. কদণভ টভঢ কদণভ মভফহর্ দণহ ডটভ ডমবণর্ ম ট ডমভডফল্রধমভ; র্মদণরষধ্রণ ষণর্ টপণ মভফহ ট যটথণ মর্ল মত দধর্্রমরহর্ দর্ট ষমলফঢ ফণটঢ ল্র ভমষদণরণ." (সূত্র : ঋটর্্র যটপধর্্রটভ ীণথধ্রফর্টধশণ ই্র্রণবঠফহ যরমডণণঢধভথ্র. ২১ এণঠরলটরহ ১৯৫২)
আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেদিন আইনসভার অধিবেশন ১৫ মিনিট স্থগিত থাকার পর পুনরায় শুরু হলে নূরুল আমিন যে বিবৃতি দেন, তাতে পুলিশের গুলি চালাবার কথা বলা হলেও নিহত হওয়ার ঘটনা তিনি একেবারে এড়িয়ে যান। তাঁর বিবৃতির অংশবিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো : " ূমষ ষর্ধদ রণথটরঢ র্মর্ দণ টর্ডধমভ. ঘদধডদ ্রদমলফঢ ঠণর্ টপণভ অ দটশণ টফরণটঢহর্ মফঢর্ মর্ দণ দমল্রণর্ দর্ট অ ্রদটফফ ডর্ণটধভফহ বটপণ ট ্রধর্তধভথ ণভ্যলধরহ ধর্ভমর্ দণ ধভডধঢণর্ভ টভঢ ধত তধভঢ টভহ মততধডণর ষদর্ণদণর যমফধডণ মর ণসণডর্লধশণ, ডমববর্ধর্ধভথ টভহ ণসডণ্র্র ধভর্ দধ্র বর্টর্ণর, দণ ষধফফ ডণর্রটধভফহ ঠণ শণরহ ্রণশণরণফহ ঢণটর্ফ ষর্ধদ. অ দটশণ তলফফ ্রহবযর্টদহ ষর্ধদর্ দম্রণ ষদম দটশণ ঠণণভ ধভনলরণঢ. অ ডটভভর্ম সযরণ্র্র বহ ্রণর্ভধবণর্ভ্র ধভর্ দধ্র বর্টর্ণর. ইর্তণর টফফর্ দণহ টরণ হমলভথ দমযণতলফ্র টভঢ র্ধর্ দণরণ ষট্র ভম নলর্্রধতধডর্টধমভ তমর টভহ তধরধথদর্ দণহ ষধফফ ভর্ম দটশণ টভহ ্রলযযমর্র তরমবর্ দণ থমশণরভবণর্ভ. অ টব রণটফফহ থরটধণশণঢর্ ম পভমষর্ দর্ট ্রমবণ মতর্ দণ ঠমহ দটশণ ঠণণভ ্রণরধমল্রফহ ষমলভঢণঢ, ঠর্ল অ দটশণ ভর্ম হর্ণ রণডণধশণঢ টভহ রণযমর্র তরমবর্ দণ বণঢধডটফ দম্রযর্ধটফ.
...অ টব ্রলরণর্ দর্টর্ দম্রণ ষদম টরণর্ রহধভথর্ ম ঢধ্রমঠণহ র্ দণ ফটষ ষধফফ টফ্রম রণটফধ্রণর্ দণ থরটশর্ধহ মতর্ দণ ্রর্ধলর্টধমভ ট্র অ দটশণ ঢমভণ বহ্রণফত টভঢ টফফমষ ট ্রর্ধলর্টধমভর্ ম ঠণ ডরণর্টণঢ ধভ ষদধডদ ণশণরহঠমঢহ ডটভ ঠণ নলঢথণঢ. ঘণ ডটভভর্ম টফষটহ্র ঠধ থলধঢণঢ ঠহ ্রণর্ভধবণর্ভ্র; ষণ দটশণ থর্মর্ ম ফমমপর্ ম তটর্ড্র রণথটরঢধভথর্ দণ ধভডধঢণর্ভ্র ষদধডদ দটশণ র্ টপণভ যফটডণ." (সূত্র : ঋটর্্র ঠণভথটফ ীণথধ্রফর্টধশণ ই্র্রণবঠফহ যরমডণণঢধভথ্র, মততধডধটফ ৗণযমর্র মতর্ দণ ্রণশণর্ভদ ওণ্র্রধমভ, শমফ. গধধ, ২১ এণঠরলটরহ ১৯৫২)। সেদিন ২১ ফেব্রুয়ারির বিকেলে অনুষ্ঠিত আইনসভার বৈঠকে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মনোরঞ্জন ধর, মওলানা আবদুর রশিদ কর্তবাগীশ, গোবিন্দলাল ব্যানার্জি, বসন্তকুমার দাস, শামসুদ্দীন আহমদ, ডা. ভোলানাথ বিশ্বাস প্রমুখ সদস্য অধিবেশন মুলতবি রেখে ঘটনাস্থলে এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রকৃত অবস্থা স্বচ েদেখে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমীনকে বহু পীড়াপীড়ি করেও রাজি করাতে পারেননি। এমনকি নূরুল আমীনের অনুগত মুসলিম লীগ সদস্যদের কেউ কেউ অধিবেশন মুলতবি করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দাবির প্রতি সমর্থন করেছেন, কিন্তু নূরুল আমীনের কঠোর হৃদয় এতটুকুও বিগলিত হয়নি।
মুসলিম লীগের মুখপাত্র 'দৈনিক সংবাদ' পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন নুরুল আমীন ১৯৫১ সাল থেকে। এ কারণে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় এবং বিশেষভাবে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির হত্যাযজ্ঞের ঘটনা 'সংবাদ' পত্রিকায় যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। এমনকি সরকারী বক্তব্যের বাইরে কোন কিছু ছাপাবার সাহসিকতা সংবাদ পত্রিকা সাংবাদিকদের ছিল না। ২২ ফেব্রুয়ারি বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সংবাদ পত্রিকা অফিস আক্রমণ করেছিল। পত্রিকাটিকে রা করার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি নুরুল আমীনের সংবাদ পত্রিকাকে রা করতে গিয়ে একাধিক হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হয়। ৮ বছরের শিশু অহিউল্লাহ ও শফিউর রহমান সে কারণেই নবাবপুর রোডে শহীদ হন।
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তারিখের ইনসান পত্রিকায় নূরুল আমীনের কঠোর সমালোচনা করে এক সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। উক্ত সম্পাদকীয় নিবন্ধের অংশবিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো:
"... কিন্তু সবকিছুর একটা সীমা আছে। নূরুল আমীন সরকার সে-সীমা ও মানছে না। তাঁদের সশস্ত্র পুলিশ শিা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছুড়তে, লাঠিচার্জ করতে এবং গুলি করে খুন-জখম করতে সাহস পাচ্ছে। নুরুল আমীন সরকার হয়ত মনে করছেন যে, এভাবে চণ্ডনীতি চালিয়ে দেশের গণদাবি ও পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা ৫৬ জনের সর্বজনীন আওয়াজ চাপা দেয়া যাবে। আর হয়ত পরিষদ ভবনের অদূরে যখন তার অনুসৃত চণ্ডনীতি নগ্ন ও অমানুষিক রূপ লয়ে আত্মপ্রকাশ করছিল, তখনও তিনি অকম্পিত, অবিচলিত অবস্থায় তিন ডজন সদস্যের মূলতবি প্রস্তাব প্রতিরোধ করছিলেন। যে লীগ দলীয় সদস্যদের অন্ধ সমর্থনে তিনি ও তাঁর মন্ত্রিসভা গদিতে সমাসীন রয়েছে তাদেরও অন্তরকে এ মর্মন্তুদ ঘটনা এতটুকু স্পর্শ করতে পারেনি।
২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে যেমন স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং শহীদানের পবিত্র স্মৃতি জাতির অন্তরে অয় হয়ে থাকবে, তেমনি নূরুল আমীন সরকার ও তাদের সমর্থকদের গতকল্যাকার মসিলিপ্ত ভূমিকা অদ্বিতীয় হয়ে রবে চিরকালের জন্য। জনাব নূরুল আমীন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রকাশ। কিন্তু তিনি জেনে রাখুন, 'তদন্তের প্রলেপে জাতির অন্তরের এ ত শুকাবার নয়' (সূত্র : ইনসান, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭)
২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গায়েবী জানাজা শেষে যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইমাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংপ্তি এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ নূরুল আমীনকে ল্য করে নিম্নোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন: "শহীদদের জন্য ক্রন্দন করবো না, বরং ইস্পাত-কঠিন শপথ গ্রহণ করব। শাদদাদ, নমরুদ ও ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরণকারী খুনী উজিরে আলা নূরুল আমীন সরকারের হত্যার জওয়াব দেব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মারফত, মাতৃভাষা বাংলাকে পূর্ণমর্যাদায় প্রতিষ্ঠার দ্বারা" (সূত্র : জাতীয় রাজনীতি-১৯৪৭ থেকে ৭৫, কৃত অলি আহাদ, ১৯৮২, পৃ ১৬১-৬৬)। (চলবে)

No comments

Powered by Blogger.