যুক্তি তর্ক গল্প-এগোনোর রাজনীতি চাই by আবুল মোমেন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কিছুতেই কাটছে না বলে দিনে দিনে হতাশ মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। রাজনীতির নামে যা চলছে, তাকে তাঁরা ধ্বংসাত্মক উৎপাত মনে করছেন। দুর্ভাগ্য ও আশঙ্কার বিষয় হলো, এতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পার্থক্যটা গুলিয়ে যাচ্ছে তাঁদের কাছে।


বাস্তবে যা ঘটছে, সেটুকু দিয়ে বিচার করলে এ রকম চরম বিশ্বাসে পৌঁছানোই স্বাভাবিক। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তো বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বাস্তব বুদ্ধি দিয়েই চলেন। ফলে তাঁদের মনোভাব ও প্রভাব সমাজের ঘটনাবলিতে প্রতিফলিত হবে। ক্ষমতার রাজনীতির চক্করে পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।
একটা সমাজের প্রাণশক্তি এবং চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলার ক্ষমতা প্রকাশ পায় সেই সমাজের চিন্তাজগতের ব্যাপ্তি, সৃষ্টিশীলতা, বৈচিত্র্য এবং তা কতটা সত্য, তার ওপর। সেই সঙ্গে এই প্রাণবন্ত সৃষ্টিশীল চিন্তার সঙ্গে বাকি সমাজের সম্পর্ক তৈরির ক্ষমতার ওপর বিষয়টা কিছুটা নির্ভর করে। আমাদের দুর্বলতা বা অক্ষমতা এই দুই জায়গায় সবচেয়ে বেশি।
আমাদের সমাজে বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, যেগুলো জ্ঞানচর্চা ও নতুন জ্ঞান তৈরির ফোরাম এবং সংবাদপত্র-সাময়িকপত্র, যেগুলোর ঘটমান বর্তমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে রাখা এবং বিস্তারের কাজ করার কথা, সেগুলো ঘাড় গুঁজে কেবল বর্তমান নিয়ে লাভ-ক্ষতির দৌড়ে মনপ্রাণ সঁপে দিয়েছে। এখানে কেউ লাভবান হয়, কেউ বা হয় ক্ষতির সম্মুখীন। লাভবান হওয়ার জাদুর চেরাগটির নাম হলো ‘ক্ষমতা’। ক্ষমতা যতটা নিরঙ্কুশ করা যায়, যতটা ধরাছোঁয়ার বাইরে— অর্থাৎ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে—রাখা যায়, লাভ তত বেশি এবং সেই লাভ ততই নিরাপদ। অবস্থান অনুযায়ী সমাজ ও প্রশাসনে, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে এবং ব্যক্তি ও গোষ্ঠীতে এ ব্যাপারে মাত্রাগত ভিন্নতা যে থাকবে, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সব স্তর থেকে যে আকাঙ্ক্ষা এবং সে অনুযায়ী যে চাপ তৈরি হয়, তা হলো আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানো যায় কীভাবে। কারণ, এই কাজ তো আর আইনসিদ্ধভাবে করা সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের সমাজে সব স্তরের ক্ষমতাবান মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছায় আইন নিরপেক্ষভাবে, দ্রুততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যকর হয় না। আইনের গতিপথ থাকে জটিল, দুর্বোধ্য, দীর্ঘ, ব্যয়বহুল এবং অবশ্যই হয়রানিমূলক ও শেষ পর্যন্ত হতাশাজনক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা-ই।
কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের বিস্মিত করে দিয়ে নানা রকম শুভ ঘটনাও ঘটতে থাকে। সততা, ত্যাগ, মেধা, শ্রম, সৃজনশীলতা, দূরদর্শিতা, সেবা ইত্যাদি নানা মানবিক গুণের চমকপ্রদ সব প্রকাশ ঘটে চলে সমাজে। সেই সব মানুষও এ দেশেরই, বাংলাদেশে বসে কিংবা বাইরে গিয়ে তাঁরা এমন সব ঈর্ষণীয় অর্জন ঘটাচ্ছেন যে দেখে পুরো জাতি তাজ্জব হয়ে যায়। শুধু ব্যক্তিপর্যায়েই বা কেন, জাতীয়ভাবে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলন তো এ দেশের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও অবদানেই সফল। এসব অতীতের ঘটনা? না, আসলে একালেও আমাদের আশপাশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। হয়তো নব্বইয়ের পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ উন্নয়নে এ রকম নানা উদ্যোগের কথা কি আমরা জানি না—হরিপদ কাপালি, পলান সরকার যেমন আছেন তেমনি কোথাও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি, খালকাটা, কৃষিকাজের নজিরও আছে, যেখানে মানুষ দলবদ্ধভাবে কাজ করছে? দেখা গেছে, ব্যক্তির ভালো উদ্যোগের কথা জানতে পেরে দলে দলে সাধারণ মানুষ তাতে শরিক হয়ে ব্যক্তি উদ্যোগকে সামাজিক উদ্যোগে পরিণত করেছে।
এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সমাজের শুভবুদ্ধি ও সদিচ্ছা মরে যায়নি। তা সাধারণত সুপ্ত থাকে, সম্ভাবনা দেখলে ও সুযোগ পেলে ঠিকই প্রকাশ পায়। ফলে এই সমাজ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়া ঠিক হবে না। সমস্যাটা হলো, এ ধরনের কাজ দিয়ে পুরোনো অবস্থা থেকে নতুন একটি বাস্তবতায় উত্তরণ কঠিন। সেটা হলে লায়ন-রোটারির মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে সমাজে পরিবর্তন ঘটত। সমাজের প্রাণশক্তির লক্ষণ হলো তার সৃজনশীলতায়, তার নবায়নে ও নতুনকে গ্রহণ করার ক্ষমতায়, বিশেষত মনোজগতের বন্ধ্যত্ব ও স্থবিরতা কাটানোর ওপর। এখানেই আমাদের মূল সমস্যা।
যেকোনো সমাজের ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারে অল্প কিছু বিষয় থাকে চিরায়ত, বলা যায় ধ্রুপদী, যা সহজে বদলায় না। আর কিছু বিষয় বা অধিকাংশ বিষয় সাময়িক, যার পরিবর্তন চলতে থাকে। মানুষের ধারণা, বিশ্বাস, জীবনযাপনসহ সব ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াই চলে। সমকালে হয়তো এই পরিবর্তনগুলো চট করে বোঝা যায় না, কালের দূরত্ব থেকে দেখলে বোঝা যায়। পোশাক-আশাক, খাদ্যাভ্যাস, এমনকি মুখের ভাষা—সর্বত্রই এই পরিবর্তন চলতে থাকে। একসময় যে মানুষ চিনে খাবার মুখে তুলতেন না, তাঁর এখন প্রিয় খাদ্য নুডল্স্; যিনি শাড়ি ভিন্ন অন্য পোশাক ভাবতেনই না, তাঁকে এখন সালোয়ার-কামিজেই নিত্য দেখা যায়; যে বাড়িতে শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বলা হতো, সে বাড়ির ছোটরা ইংলিশে ভাববিনিময় করছে—এগুলো দৃষ্টিগ্রাহ্য বড় রকমের পরিবর্তন বৈকি। কিন্তু এগুলোও বাহ্য পরিবর্তন—চোখের দেখা, মুখের স্বাদ, পরিপার্শ্বের চাপ ইত্যাদি মিলে অনেকটাই বহিরঙ্গের পরিবর্তন। সমাজে গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে চাই মনোজগৎ বা চিন্তাজগতের জড়তা কাটানো, যেখানে মুক্তি, গতি ও পরিবর্তন চাই। আমাদের চিন্তাজগৎ কিন্তু জড়সড়, অনেকটা স্থবির, চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত নয়, পরিবর্তনকে স্বাগত জানায় না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। উদাহরণ টেনে কথা বলা যাক।
গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস সুদীর্ঘ—বায়ান্ন থেকে ধরলে অন্তত ৬০ বছরের। সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কেবল নির্বাচন বা নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসিয়ে দিলেই হবে না। সমাজের গণতন্ত্রায়ণও এক জরুরি শর্ত। কিন্তু যে সমাজে ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-আদিবাসী ইত্যাদি বৈষম্য টিকে আছে, সে সমাজ কী করে গণতান্ত্রিক হবে? আমরা এখনো সমাজের খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের মানবিক মর্যাদা কি নিশ্চিত করতে পেরেছি—কি সমাজে কি সংসারে? আইনে পারলেও বিচারে ও প্রশাসনে কি পেরেছি? মানবাধিকার ও আইনের শাসন এখানে অচল বা সীমিত হয়ে আছে।
বিচ্ছিন্নভাবে বা বিভিন্ন ফোরামের উদ্যোগে কেবল গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ইত্যাদি ধারণা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে অত্যন্ত সীমিত অগ্রগতি হতে পারে। কারণ, এ হবে ওপর থেকে বা বাইরে থেকে চাপানো। পরিবর্তন ও উত্তরণে অভীষ্ট গতি আসবে না যতক্ষণ না এই চাহিদাগুলোর অভাববোধ সমাজের ভেতর থেকে তৈরি হবে। মুখস্থবিদ্যা, পরীক্ষা পাস, সনদ পাওয়ার যে শিক্ষা তা মানুষের চিন্তাজগৎকে মুক্তি দিতে পারে না। এতে বরং চিন্তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো মানস আমরা অর্জন করতে পারি না। আমাদের চিন্তাজগৎ গতানুগতিক, সীমাবদ্ধ, ভীতু এবং তামাদি, এমনকি অপরাধ ও দুর্নীতির প্রতি সহিষ্ণু, আপসকামী ও প্রশ্রয়প্রবণ। একদিকে ভিন্ন, বিকল্প, বিপরীত চিন্তার প্রতি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, চিন্তাজগতের বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে, আর অন্যদিকে ক্ষমতা পুঞ্জীভূত হচ্ছে বিভিন্ন গোষ্ঠীপ্রধানের হাতে। দুটি দৃষ্টান্ত দিই: প্রথমত, দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা প্রায় থেমে গেছে, সব ক্ষমতা দলীয় প্রধানের হাতে পুঞ্জীভূত। দ্বিতীয়ত, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ দ্বারা চালিত দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটিতেই সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত উপাচার্য দায়িত্বে নেই; সর্বত্র সরকারের পছন্দের ব্যক্তিরা উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় ব্যয় আরও বাড়াতে হবে। তবে শোচনার বিষয় হলো, শিক্ষায় বরাদ্দের মধ্যে সবচেয়ে উপেক্ষিত খাতের নাম ‘গবেষণা’। গবেষণাকে আমরা মনে করি অপ্রয়োজনীয়, এ খাতে ব্যয়কে মনে করি অপচয়। ফলে গবেষণায় স্থবিরতা চলছে বহু বছর। তার অর্থ হচ্ছে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকছে না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান, যেখানে বিদ্যা ও জ্ঞান তৈরি হয়। সেদিক থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যর্থ বা এগুলোকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি যেটুকু কাজ করছে, বিদ্যা বিতরণ-বিপণন ও ডিগ্রি-সনদ বিতরণ, সে কাজেও সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে না। পারছে না ছাত্রদের একটি সুস্থ ও প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশ দিতে। তবে যেখানে সৃষ্টি বন্ধ থাকে, সৃষ্টিশীলতা উপেক্ষিত হয়, তা আর যা-ই হোক, বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয় কোনোটিই হতে পারে না। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেদিক থেকে মর্গের মতো, মৃতবিদ্যার ব্যবচ্ছেদ চলছে এখানে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক আন্দোলন অনেক হয়েছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাদের সাফল্যও বিপুল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে স্বৈরাচার উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বিরাট মাইলফলক সন্দেহ নেই। কিন্তু না স্বাধীনতার, না গণতন্ত্রের সুফল আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলাম। সবই ক্ষমতাবানের ভোগে ব্যবহূত হচ্ছে। আমরা স্বৈরাচার হটিয়েছি, কিন্তু সুপার প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্মের জগাখিচুড়ি পছন্দ করেছি, ঠুঁটো মানবাধিকার কমিশন ও অতিসক্রিয় র‌্যাব পেয়েছি ইত্যাদি। অর্থাৎ, একদিকে কর্তৃত্ববাদিতার প্রকোপ বাড়ছে, আর অন্যদিকে চিন্তার বিভ্রান্তি প্রকট হচ্ছে। ক্ষমতা অল্প কয়েকজনের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। সমাজ যখন ক্ষমতাকেন্দ্রিক নির্দেশনার ভিত্তিতেই চলতে থাকে, তখন অধিকাংশ মানুষ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে। পুরো সমাজ ক্ষমতাবানদের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে, আর সমাজে জ্ঞানচর্চাকারী ও জ্ঞানী মানুষের আকাল দেখা দেয়। কারণ, মুক্ত পরিবেশ ছাড়া জ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়, প্রকৃত জ্ঞানী তো মুক্ত মানুষ।
সামাজিক মুক্তির আন্দোলন, যার সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিপ্লব, শিক্ষা আন্দোলন এবং ধর্মীয় সংস্কারের বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা এড়িয়ে কোনো সমাজ এগোতে পারে না। বরং এসব ক্ষেত্রে কাজ না হলে রাজনৈতিক সংগ্রামের বিজয় থেকে সুফল অর্জন বা যেটুকু অর্জন হয় তাকে স্থায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয় না। রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম অনেক করেছি আমরা, তাতে সাফল্যও অনেক আছে। আরও আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কিন্তু সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম ও শিক্ষার আন্দোলন, বলা উচিত, বিপ্লবী সংস্কার আন্দোলন ব্যতীত সমাজ ও জাতীয় জীবনে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিই সম্ভব নয়।
সেটা বুঝতে চাইছি না বলে রাজনীতি ক্ষমতার জাদুস্পর্শে দানবীয় রূপ ধারণ করছে, আর সমাজের অবক্ষয় ত্বরান্বিত হচ্ছে এতে। মানবের বামনায়ন ও দানবায়ন অবিলম্বে বন্ধ করে সত্যিকারের মানবিক অভিযাত্রা শুরু করতে হবে। তা করতে হবে কালবিলম্ব না করে, আজই, এখনই।
আবুল মোমেন: কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.