বিমানে অচলাবস্থা-যৌক্তিক সুরাহার পথ বের করুন
নানাবিধ সংকটে হাবডুবু খাচ্ছে বিমান। চার দশকে অতিক্রম করা জাতীয় আকাশ পরিবহন এ সংস্থাটি ক্রমেই বিবর্ণ হচ্ছে। বিশ্বের সিংহভাগ আকাশ পরিবহন সংস্থা যেখানে ক্রমেই তাদের পরিধি বিস্তৃত করে চলেছে। এবং তাদের ব্যবসায়িক সফলতা নিজ নিজ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে, সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিদ্যমান
চিত্র এর বিপরীত। ইতিমধ্যে বিমান বহুবার নেতিবাচক অর্থে সংবাদ শিরোনাম হলেও এর দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে দূরদর্শী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সফলতার দৃষ্টান্ত নেই। সম্প্রতি কর্মচারীদের কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে সৃষ্ট জটিলতার মাত্রা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
১১ মার্চ 'ঘূর্ণিপাকে বিমান' শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয় রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি সমস্যা সংকটের বৃত্ত ভেঙে এগিয়ে চলার সড়কে পা রাখতে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখেই চলেছে। কর্মচারীদের খাবারের টাকা বাড়ানো নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে। সংস্থাটি সর্বনিম্ন টাকার কর্মচারীরা সর্বোচ্চ টাকার কর্মকর্তাদের বেতনের এক ভাগের সমান 'আহার ভাতা' দাবি করেছেন। তাঁদের এ দাবি মেটাতে বিমানের প্রয়োজন অতিরিক্ত ৩৩ কোটি টাকা। পরিচালনা পর্ষদ এ দাবি নাকচ করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিচালনা পর্ষদের তরফে কর্মচারীদের দাবি নাকচের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীরা এখন পর্ষদ বাতিলেরই আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে দেখা যাচ্ছে, বিমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকট রূপ ধারণ করেছে এবং এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। শুধু আহার ভাতা বাড়ানোই নয়, কর্মচারীদের দাবি আরো আছে। বিমানের কর্মচারীরা বর্তমানে দৈনিক ৫০ টাকা হারে আহার ভাতা পেলেও তাঁরা তা ১৫০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে তাঁরা সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারীদের আহার ভাতার নজির টেনে এনেছেন। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন সরকারের আলাদা একটি সংস্থা এবং তাঁদের বেতনভাতাও তুলনামূলক কম। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব নিয়মে চলে। তা ছাড়া বিমানের বেতনভাতা সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়।
বিমান একটি লোকসানি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে এর চলাই ক্রমে যেন দায় হয়ে পড়ছে। সংস্থাটি একটি স্পর্শকাতার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ সংস্থায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা, কর্মসন্তুষ্টির নিশ্চিত করা না গেলে বিমান যেমন তার স্থবিরতা কাটাতে পারবে না, তেমনি প্রতিযোগিতা থেকেও একেবারেই ছিটকে পড়বে। শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি উড়িয়ে না দিয়ে এর একটা যৌক্তিক সুরাহা বের করা দরকার। বিমান যদি নিজেই একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে, তাহলে এ সংস্থাটিতে কর্মরতদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে, জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি মুখথুবড়ে পড়বে। এমনটি তো কারোরই কাম্য হতে পারে না। তাই সর্বাগ্রে সবার প্রয়োজনেই বিমানকে বাঁচাতে হবে, প্রতিষ্ঠানটিকে গতিশীল ও এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে। বহুবিধ সংকটে নিপতিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোগবালাই দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এমন পথ বের করতে হবে, যাতে সবার কল্যাণই নিশ্চিত করা যায়। বিমানের সমস্যা লাঘব হওয়া তো দূরে কথা বরং একের পর এক সমস্যার সৃষ্টি হয়েই চলেছে। কেন? এই 'কেন'র উত্তর সন্ধানের মধ্যেই এর কল্যাণের পথ খুঁজতে হবে।
১১ মার্চ 'ঘূর্ণিপাকে বিমান' শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয় রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি সমস্যা সংকটের বৃত্ত ভেঙে এগিয়ে চলার সড়কে পা রাখতে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখেই চলেছে। কর্মচারীদের খাবারের টাকা বাড়ানো নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে। সংস্থাটি সর্বনিম্ন টাকার কর্মচারীরা সর্বোচ্চ টাকার কর্মকর্তাদের বেতনের এক ভাগের সমান 'আহার ভাতা' দাবি করেছেন। তাঁদের এ দাবি মেটাতে বিমানের প্রয়োজন অতিরিক্ত ৩৩ কোটি টাকা। পরিচালনা পর্ষদ এ দাবি নাকচ করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিচালনা পর্ষদের তরফে কর্মচারীদের দাবি নাকচের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীরা এখন পর্ষদ বাতিলেরই আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে দেখা যাচ্ছে, বিমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকট রূপ ধারণ করেছে এবং এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। শুধু আহার ভাতা বাড়ানোই নয়, কর্মচারীদের দাবি আরো আছে। বিমানের কর্মচারীরা বর্তমানে দৈনিক ৫০ টাকা হারে আহার ভাতা পেলেও তাঁরা তা ১৫০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে তাঁরা সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারীদের আহার ভাতার নজির টেনে এনেছেন। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন সরকারের আলাদা একটি সংস্থা এবং তাঁদের বেতনভাতাও তুলনামূলক কম। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব নিয়মে চলে। তা ছাড়া বিমানের বেতনভাতা সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়।
বিমান একটি লোকসানি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে এর চলাই ক্রমে যেন দায় হয়ে পড়ছে। সংস্থাটি একটি স্পর্শকাতার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ সংস্থায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা, কর্মসন্তুষ্টির নিশ্চিত করা না গেলে বিমান যেমন তার স্থবিরতা কাটাতে পারবে না, তেমনি প্রতিযোগিতা থেকেও একেবারেই ছিটকে পড়বে। শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি উড়িয়ে না দিয়ে এর একটা যৌক্তিক সুরাহা বের করা দরকার। বিমান যদি নিজেই একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে, তাহলে এ সংস্থাটিতে কর্মরতদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে, জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি মুখথুবড়ে পড়বে। এমনটি তো কারোরই কাম্য হতে পারে না। তাই সর্বাগ্রে সবার প্রয়োজনেই বিমানকে বাঁচাতে হবে, প্রতিষ্ঠানটিকে গতিশীল ও এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে। বহুবিধ সংকটে নিপতিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোগবালাই দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এমন পথ বের করতে হবে, যাতে সবার কল্যাণই নিশ্চিত করা যায়। বিমানের সমস্যা লাঘব হওয়া তো দূরে কথা বরং একের পর এক সমস্যার সৃষ্টি হয়েই চলেছে। কেন? এই 'কেন'র উত্তর সন্ধানের মধ্যেই এর কল্যাণের পথ খুঁজতে হবে।
No comments