পুলিশি তাণ্ডবের সুষ্ঠু তদন্ত হোক-অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয়
বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী আহূত ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশ যেভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর আক্রোশ ও উন্মত্ততা দেখিয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনপ্রতিনিধিদের ওপর এভাবে চড়াও হলে সাধারণ মানুষের ওপর তাদের
আচরণ যে কতটা নির্মম ও নৃশংস হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি নারী সাংসদেরাও। একটি তুচ্ছ ঘটনা থেকে যে লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে, তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য হলেও তারা একজন সাংসদকে এভাবে লাঠিপেটা করতে পারে না।
এই বর্বরোচিত ঘটনায় মাননীয় স্পিকার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে তিনি চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন। জাতীয় সংসদের অভিভাবক হিসেবে সাংসদদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা তাঁর দায়িত্বও বটে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অন্যায় কাজের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনও রয়েছে, যা সমর্থনযোগ্য নয়। তাঁদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়, বিএনপির আমলে এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কীভাবে লাঞ্ছিত ও লাঠিপেটা করেছিলেন। জনগণের নিরাপত্তা বা শৃঙ্খলার নামে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারে না।
ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ডিএমপির সদস্যরাই যেখানে ঘটনার জন্য দায়ী, সেখানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তার পরও আমরা আশা করব, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি না পেলে এ ধরনের তদন্ত কমিটি করে কী লাভ? বুধবারের ঘটনা দেশবাসী টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছে, পত্রিকায়ও এর খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তারা তাঁর পক্ষে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেনি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন সবার জন্যই সমান হতে হবে। মানুষ যেমন হরতাল-অবরোধ চায় না, তেমনি হরতাল প্রতিরোধের নামে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তাণ্ডবও পছন্দ করে না।
বিরোধী দলের হরতালে জনসমর্থন নেই দাবি করে ক্ষমতাসীনেরা আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন, কিন্তু তাতে দেশের ক্ষতি এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে না। অন্যদিকে বিরোধী দলকেও বুঝতে হবে, হরতাল করে সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ পারেনি, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপিও পারবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে। সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প উপায়ই খুঁজে বের করতে হবে। আলোচনায় বসতে হবে। সংসদে গিয়ে কথা বলতে হবে। সরকারের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে আলোচনার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এই বর্বরোচিত ঘটনায় মাননীয় স্পিকার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে তিনি চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন। জাতীয় সংসদের অভিভাবক হিসেবে সাংসদদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা তাঁর দায়িত্বও বটে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অন্যায় কাজের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনও রয়েছে, যা সমর্থনযোগ্য নয়। তাঁদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়, বিএনপির আমলে এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কীভাবে লাঞ্ছিত ও লাঠিপেটা করেছিলেন। জনগণের নিরাপত্তা বা শৃঙ্খলার নামে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারে না।
ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ডিএমপির সদস্যরাই যেখানে ঘটনার জন্য দায়ী, সেখানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তার পরও আমরা আশা করব, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি না পেলে এ ধরনের তদন্ত কমিটি করে কী লাভ? বুধবারের ঘটনা দেশবাসী টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছে, পত্রিকায়ও এর খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তারা তাঁর পক্ষে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেনি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন সবার জন্যই সমান হতে হবে। মানুষ যেমন হরতাল-অবরোধ চায় না, তেমনি হরতাল প্রতিরোধের নামে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তাণ্ডবও পছন্দ করে না।
বিরোধী দলের হরতালে জনসমর্থন নেই দাবি করে ক্ষমতাসীনেরা আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন, কিন্তু তাতে দেশের ক্ষতি এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে না। অন্যদিকে বিরোধী দলকেও বুঝতে হবে, হরতাল করে সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ পারেনি, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপিও পারবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে। সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প উপায়ই খুঁজে বের করতে হবে। আলোচনায় বসতে হবে। সংসদে গিয়ে কথা বলতে হবে। সরকারের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে আলোচনার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।
No comments