বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক-আজ আলটিমেটাম প্রয়োজনে হরতাল
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে মহাসমাবেশ থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেবেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেক্ষেত্রে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আলটিমেটাম, চারদলীয় জোট সম্প্রসারণের ঘোষণার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ডাক দেবেন তিনি।
এ ছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও মারামারি হলে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণাও দিতে পারেন খালেদা জিয়া। গতকাল রবিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। বৈঠকের আগে তিনি কার্যালয়ে প্রথমে চারদলীয় জোটের শরীক দল ও পরে এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ সমমনা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পুলিশের দেওয়া ১১টি শর্ত নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপিসহ জোটের শরীক ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতারা।
স্থায়ী কমিটির এক নেতা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ৬০ দিন, ৯০ দিন অথবা ১৮০ দিনের আলটিমেটাম ও সমাবেশের দিন নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপালে হরতালের মতো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনের হয়রানি, গ্রেপ্তার, হামলা, মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা পর্যায়ে জনসভার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ডিএমপির দেওয়া চিঠি অগণতান্ত্রিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত। বিরোধী দলের মহাসমাবেশ পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময় ও বেঁধে দেওয়া স্থানের মধ্যে করার নির্দেশ নজিরবিহীন। এটা অপরাজনীতির ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, সরকার নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চালু করতে চাচ্ছে। এক কথায় তারা একদলীয় শাসন কায়েমের পথে এগুচ্ছে। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব।'
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা অরাজনৈতিক আচরণ। ইতিহাসে এই চিঠি মন্দ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শরীক ও সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক : 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট' নামের নতুন জোট গঠনের লক্ষ্যে রবিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চারদলীয় ঐক্যজোটের শরীক, এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ সমমনা দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের' ঘোষণাপত্রটি খালেদা জিয়া আজ নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রসারিত জোটে থাকছে- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জমিয়াতে উলামা ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী।
এদিকে জোট শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার গত রাতের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মওলানা আবদুস সোবহান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জমিয়াতে উলামা ইসলামীর মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইরবাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গাণি, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মবিন, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক।
স্থায়ী কমিটির এক নেতা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ৬০ দিন, ৯০ দিন অথবা ১৮০ দিনের আলটিমেটাম ও সমাবেশের দিন নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপালে হরতালের মতো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনের হয়রানি, গ্রেপ্তার, হামলা, মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা পর্যায়ে জনসভার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ডিএমপির দেওয়া চিঠি অগণতান্ত্রিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত। বিরোধী দলের মহাসমাবেশ পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময় ও বেঁধে দেওয়া স্থানের মধ্যে করার নির্দেশ নজিরবিহীন। এটা অপরাজনীতির ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, সরকার নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চালু করতে চাচ্ছে। এক কথায় তারা একদলীয় শাসন কায়েমের পথে এগুচ্ছে। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব।'
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা অরাজনৈতিক আচরণ। ইতিহাসে এই চিঠি মন্দ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শরীক ও সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক : 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট' নামের নতুন জোট গঠনের লক্ষ্যে রবিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চারদলীয় ঐক্যজোটের শরীক, এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ সমমনা দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের' ঘোষণাপত্রটি খালেদা জিয়া আজ নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রসারিত জোটে থাকছে- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জমিয়াতে উলামা ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী।
এদিকে জোট শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার গত রাতের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মওলানা আবদুস সোবহান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জমিয়াতে উলামা ইসলামীর মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইরবাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গাণি, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মবিন, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক।
No comments