দেশের ভাবমূর্তি ও জনস্বার্থে সরকারের হস্তক্ষেপ কাম্য-আসল শ্রমিক নকল পর্যটক
প্রয়োজন যে অনেক সময় নিয়ম মানে না, ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া গমনের হিড়িক তার উদাহরণ। গত বুধবারের প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, প্রতিদিনই কয়েক শ বাংলাদেশি ভ্রমণ ভিসায় এভাবে মালয়েশিয়াগামী বিমানে চড়ছেন। তাঁদের আশা, সেখানে গিয়ে শ্রমিক হিসেবে নাম লেখাবেন এবং থেকে যাবেন।
কর্মের মাধ্যমে ভাগ্য ফেরানোর হাতছানিতে এই কৌশল নেওয়া হলেও, বাস্তবে তাঁদের ভাগ্যে রয়েছে লাঞ্ছনা ও হতাশা। তাঁদের নিবৃত্ত করা না গেলে কেবল অজস্র মানুষের আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতিই ঘটবে না, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও খারাপ হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপে তাই বিলম্ব ঘটা উচিত হবে না।
সম্প্রতি মালয়েশীয় সরকার সে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার একটা সুযোগ দিয়েছে। যাঁরা চার-পাঁচ বছর ধরে সেখানে আছেন, কিন্তু কাজ করার অনুমতিপত্র পাননি, কেবল তাঁরাই এই সুযোগ নিতে পারবেন। তাই যাঁরা এটাকে সুযোগ ভাবছেন, তাঁরা ভুল করবেন। দুঃখের বিষয়, একশ্রেণীর আদম ব্যবসায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের দালালেরা দরিদ্র মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই কাজে নামাচ্ছে। এতে তারা লাভবান হলেও সর্বনাশ ঘটছে সেসব মানুষের। তাঁদের প্রত্যেকে দেড়-দুই লাখ টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভ্রমণের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। দালালেরাও মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন মিথ্যার। প্রশ্ন হলো, এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানানো ছাড়া সরকারের কি কিছু করার নেই? ভ্রমণের ছদ্মবেশে মালয়েশিয়া গমনের এই প্রবণতার বিষয়ে সরকার ওয়াকিবহাল। কিন্তু এভাবে জেনেশুনে প্রতারিত হওয়া ঠেকাতে সরকারের তৎপরতা শূন্যের কাছাকাছি। আমাদের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় রয়েছে, তাদের পক্ষে কি সম্ভব নয় আগেভাগেই মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের এই পথ থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করা? অবশ্য একটি ঘটনায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কিছু যাত্রীর যাত্রা স্থগিত করা হয়।
এ ধরনের ঘটনায় নিঃসন্দেহে মালয়েশিয়ার কাছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে। এর প্রভাব পড়বে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের বেলাতেও। সুতরাং, একদিকে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, অন্যদিকে প্রতারকদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া। সর্বোপরি, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের নাগরিক। সরকার কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।
সম্প্রতি মালয়েশীয় সরকার সে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার একটা সুযোগ দিয়েছে। যাঁরা চার-পাঁচ বছর ধরে সেখানে আছেন, কিন্তু কাজ করার অনুমতিপত্র পাননি, কেবল তাঁরাই এই সুযোগ নিতে পারবেন। তাই যাঁরা এটাকে সুযোগ ভাবছেন, তাঁরা ভুল করবেন। দুঃখের বিষয়, একশ্রেণীর আদম ব্যবসায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের দালালেরা দরিদ্র মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই কাজে নামাচ্ছে। এতে তারা লাভবান হলেও সর্বনাশ ঘটছে সেসব মানুষের। তাঁদের প্রত্যেকে দেড়-দুই লাখ টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভ্রমণের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। দালালেরাও মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন মিথ্যার। প্রশ্ন হলো, এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানানো ছাড়া সরকারের কি কিছু করার নেই? ভ্রমণের ছদ্মবেশে মালয়েশিয়া গমনের এই প্রবণতার বিষয়ে সরকার ওয়াকিবহাল। কিন্তু এভাবে জেনেশুনে প্রতারিত হওয়া ঠেকাতে সরকারের তৎপরতা শূন্যের কাছাকাছি। আমাদের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় রয়েছে, তাদের পক্ষে কি সম্ভব নয় আগেভাগেই মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের এই পথ থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করা? অবশ্য একটি ঘটনায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কিছু যাত্রীর যাত্রা স্থগিত করা হয়।
এ ধরনের ঘটনায় নিঃসন্দেহে মালয়েশিয়ার কাছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে। এর প্রভাব পড়বে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের বেলাতেও। সুতরাং, একদিকে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, অন্যদিকে প্রতারকদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া। সর্বোপরি, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের নাগরিক। সরকার কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।
No comments