চারদিক-১২ বছরে পা by ইমাদুল হক
আজ আমাদের আনন্দের দিন। ১২ বছরে পা দিল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০০ সালের ৮ জুলাই যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এই সবুজ ক্যাম্পাস পার করেছে ১১টি বছর।
ক্যাম্পাসটি নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ পদার্পণ করতে যাচ্ছে গৌরবময় সাফল্যের ১২ বছরে।
পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে দুমকি উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ৮৯.৯৭ একর জমির ওপর অবস্থিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস। পবিপ্রবির ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচির।
সকাল নয়টায় ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা আকাশে উড়িয়ে উপাচার্য সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সকাল সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাস পরিবারের সব শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এ ছাড়া ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পর্যায়ের সংগীতশিল্পী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আলতাফ হোসেনের উদ্যোগে ১৯৭২ সালে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার দ্বার খুলে দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় পটুয়াখালী কৃষি (‘জনতা কলেজ’) নামে একটি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ। নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে ওঠে ওই কৃষি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার। এই লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদ। পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালের ১৫ মার্চ সরকার পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের ঘোষণা প্রদান করেন এবং ২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পবিপ্রবি আইন পাস হয়।
মূল ক্যাম্পাস ৩৮ একর, কৃষি গবেষণা খামার ৩৯ একর ও বহিঃক্যাম্পাস (বাবুগঞ্জ, বরিশাল) ১২.৯৭ একরসহ মোট ৮৯.৯৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল মনোরম ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিমাংশে অত্যাধুনিক ছাত্রছাত্রী হল। এর পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ। এবং মসজিদের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। উল্টো দিকে গ্রন্থাগার ভবন। একটি প্রশস্ত রাস্তা ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে পূর্বের পীরতলা থেকে পশ্চিমের পটুয়াখালী-বাউফল মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়কের দক্ষিণ দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন। মূল ক্যাম্পাসের পূর্বদিকে পীরতলা বাজার পেরোলেই ৩৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা খামার। আর এখানে রয়েছে ‘সৃজনী বিদ্যানিকেতন’ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে ছয়টি অনুষদে ২০০০ শিক্ষার্থী, ১৯০ জন শিক্ষক, ৮৬ জন কর্মকর্তা ও ২৯৬ জন কর্মচারী রয়েছেন। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করায় উচ্চতর শিক্ষার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। কৃষি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে দেশ ও জাতির সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা (বিবিএ), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদ, অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএনএসভিএম) অনুষদ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ আছে। ছাত্রদের জন্য শের-ই-বাংলা (ডি ১, ডি ২) এবং এম কেরামত আলী হল আর ছাত্রীদের জন্য কবি বেগম সুফিয়া কামাল নামে তিনটি হল রয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জের বহিস্থ ক্যাম্পাসে রয়েছে দুটি আধুনিক হল। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি। দুই তলাবিশিষ্ট লাইব্রেরি ভবনে ৪৫ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বই, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ভলিউম ও সাময়িকী রয়েছে।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম ২০০২ সালে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। হাতেকলমে শিক্ষাদানের জন্য এখানে রয়েছে ৩২টি সমৃদ্ধ গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি। রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম-সংবলিত একটি সুবৃহৎ কেন্দ্রীয় গবেষণাগার। কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য রয়েছে প্রদর্শনী খামার। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ সেশনে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড টেলিটকের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অত্যন্ত সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তার জন্য উচ্চগতি (6 mbps bandwith) সম্পন্ন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এ ধরনের ব্যাপক আকারে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে অনুপ্রবেশের এটিই প্রথম সুবিধা সৃষ্টি।
সাফল্য ও ঐতিহ্যের ১২তম বর্ষে পদার্পণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও এলাকার জনগণের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ ও উন্নতমানের ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততায় দীক্ষিত হোক এই ক্যাম্পাসের সব ডিজিটাল কার্যক্রম; ধাবিত হোক জাতীয় উন্নয়নের মহা সরণিতে—এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কামনা।
ইমাদুল হক
কর্মকর্তা (তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে দুমকি উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ৮৯.৯৭ একর জমির ওপর অবস্থিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস। পবিপ্রবির ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচির।
সকাল নয়টায় ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা আকাশে উড়িয়ে উপাচার্য সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সকাল সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাস পরিবারের সব শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এ ছাড়া ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পর্যায়ের সংগীতশিল্পী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আলতাফ হোসেনের উদ্যোগে ১৯৭২ সালে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার দ্বার খুলে দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় পটুয়াখালী কৃষি (‘জনতা কলেজ’) নামে একটি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ। নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে ওঠে ওই কৃষি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার। এই লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদ। পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালের ১৫ মার্চ সরকার পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের ঘোষণা প্রদান করেন এবং ২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পবিপ্রবি আইন পাস হয়।
মূল ক্যাম্পাস ৩৮ একর, কৃষি গবেষণা খামার ৩৯ একর ও বহিঃক্যাম্পাস (বাবুগঞ্জ, বরিশাল) ১২.৯৭ একরসহ মোট ৮৯.৯৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল মনোরম ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিমাংশে অত্যাধুনিক ছাত্রছাত্রী হল। এর পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ। এবং মসজিদের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। উল্টো দিকে গ্রন্থাগার ভবন। একটি প্রশস্ত রাস্তা ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে পূর্বের পীরতলা থেকে পশ্চিমের পটুয়াখালী-বাউফল মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়কের দক্ষিণ দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন। মূল ক্যাম্পাসের পূর্বদিকে পীরতলা বাজার পেরোলেই ৩৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা খামার। আর এখানে রয়েছে ‘সৃজনী বিদ্যানিকেতন’ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে ছয়টি অনুষদে ২০০০ শিক্ষার্থী, ১৯০ জন শিক্ষক, ৮৬ জন কর্মকর্তা ও ২৯৬ জন কর্মচারী রয়েছেন। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করায় উচ্চতর শিক্ষার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। কৃষি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে দেশ ও জাতির সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা (বিবিএ), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদ, অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএনএসভিএম) অনুষদ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ আছে। ছাত্রদের জন্য শের-ই-বাংলা (ডি ১, ডি ২) এবং এম কেরামত আলী হল আর ছাত্রীদের জন্য কবি বেগম সুফিয়া কামাল নামে তিনটি হল রয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জের বহিস্থ ক্যাম্পাসে রয়েছে দুটি আধুনিক হল। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি। দুই তলাবিশিষ্ট লাইব্রেরি ভবনে ৪৫ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বই, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ভলিউম ও সাময়িকী রয়েছে।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম ২০০২ সালে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। হাতেকলমে শিক্ষাদানের জন্য এখানে রয়েছে ৩২টি সমৃদ্ধ গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি। রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম-সংবলিত একটি সুবৃহৎ কেন্দ্রীয় গবেষণাগার। কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য রয়েছে প্রদর্শনী খামার। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ সেশনে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড টেলিটকের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অত্যন্ত সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তার জন্য উচ্চগতি (6 mbps bandwith) সম্পন্ন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এ ধরনের ব্যাপক আকারে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে অনুপ্রবেশের এটিই প্রথম সুবিধা সৃষ্টি।
সাফল্য ও ঐতিহ্যের ১২তম বর্ষে পদার্পণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও এলাকার জনগণের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ ও উন্নতমানের ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততায় দীক্ষিত হোক এই ক্যাম্পাসের সব ডিজিটাল কার্যক্রম; ধাবিত হোক জাতীয় উন্নয়নের মহা সরণিতে—এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কামনা।
ইমাদুল হক
কর্মকর্তা (তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments