পিলখানায় ৩১০ বিদ্রোহীর বিচার শুরু
পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের দরবার হলে
স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এ ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৩শ' ১০ বিদ্রোহী জওয়ানের
বিচার শুরু হয়েছে। আসামিদের মধ্যে গ্রেফতারের বাইরে থাকা ৬৯ জনকে
গ্রেফতারপূর্বক অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযুক্তদের নির্দেশেই কতিপয় বিদ্রোহী জওয়ান ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল
মোঃ মজিবুল হক, ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ এনায়েতুল হক
ও উপঅধিনায়ক মেজর মোঃ মকবুল হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিচার শুরম্ন হয়। এ সময় এ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক মনোনীত ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ সোহরাওয়ার্দীকে শপথবাক্য পাঠ করান বিডিআর মহাপরিচালক। আদালতকে সহযোগিতা করেন, বিডিআরে কর্মরত ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম গোলাম রাব্বানী ও মেজর সাইদ হাসান তাপস। এ ছাড়া প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তারিক ইমাম সিদ্দিকী। স্পেশাল প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল, মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ টিপু, এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও এ্যাডভোকেট মনজুর আলম।
আদালতে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মোঃ গিয়াস উদ্দিন ৩শ' ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এদের মধ্যে ২শ' ৪১ জন বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বাকি ৬৯ জন নিজ ইউনিটে রয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার হলে দরবার শুরম্ন হয়। সকাল ৯টার দিকে পূর্ব দিকে থাকা বাথরম্নমের পাশ থেকে অস্ত্রহাতে সিপাহী মাহিন দরবার হলে প্রবেশ করে বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহম্মেদের দিকে অস্ত্র তাক করে। এ সময় ডিজির পাশে থাকা সেনা কর্মকর্তারা দ্রুত মাহিনের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় দরবার হলে হৈচৈ পড়ে যায়। এ সময় শাকিল আহম্মেদ সবাইকে ধৈর্য ধরে দরবার হলে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। শাকিল আহম্মেদের এমন নির্দেশের পরই সিপাহীদের মধ্য থেকে 'জাগো' বলে ধ্বনি তোলা হয়। ওইদিন আড়াই হাজার বিডিআর জওয়ান দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও এই ব্যাটালিয়নের অধীন ৩শ' ১০ জওয়ান দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। দরবার হলে হৈচৈ শুরম্ন হলে ৩শ' ১০ জনের মধ্যে বিদ্রোহী জওয়ানদের সঙ্গে ২শ' ৬ জন বেরিয়ে যায়। বাকি ১শ' ৪ জন দরবার হলেই অবস্থান নেয়। ১শ' ৪ জনের মধ্যে কেউ বিদ্রোহ দমনে নূ্যনতম চেষ্টাও করেনি। উল্টো বিদ্রোহে সহযোগিতা করে। দরবার হল ত্যাগ করা জওয়ানদের মধ্যে দেড় শতাধিক জওয়ান অস্ত্র যোগাড়ের জন্য নেমে পড়ে। এদের মধ্যে ১৫ জন অস্ত্রাগার লুট করে। তাদের সহযোগিতা করে অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা ১০ বিদ্রোহী জওয়ান। পরে এ ১০ বিদ্রোহী অস্ত্র হাতে বিডিআরের ১ নম্বর গেট দখলে নেয়। এদের মধ্যে ৮ জন অস্ত্র চালাতে চালাতে আহত হয়ে পড়ে। এ সময় সেনা কর্মকর্তারা প্রাণে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। পরে বিদ্রোহী জওয়ানরা লুকিয়ে থাকা ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ মজিবুল হক, ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ এনায়েতুল হক ও উপঅধিনায়ক মেজর মোঃ মকবুল হোসেনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
বিদ্রোহের সময় ১১ জওয়ান বিভিন্ন জায়গায় ছবি ও তথ্য সরবরাহ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জন বিদ্রোহের পর আলামত গায়েবে সহযোগিতা করে। বিদ্রোহের সময় অনেক বিডিআর জওয়ান পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া জওয়ানদের মধ্যে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২৩ জনের বাড়ি থেকে বিদ্রোহের সময় খোয়া যাওয়া বিভিন্ন মাল উদ্ধার করা হয়।
টানা ১১টা ৫৪ মিনিট পর্যনত্ম আদালত চলে। বিরতির পর বেলা সোয়া ১২টায় আবার বিচার শুরম্ন হয়। আদালতে প্রসিকিউটর গ্রেফতারের বাইরে থাকা ৬৯ জনকে গ্রেফতারের জন্য আদালতে আর্জি জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিডিআর একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে এ ধরনের বিদ্রোহ হওয়া উচিত নয়। জনগণের টাকায় গঠিত ও পরিচালিত একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিদ্রোহ দেশের জনগণ ৰমা করবে না। তাই দ্রম্নত বিডিআরকে নতুন করে গঠন করতে আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারের বাইরে থাকা ৬৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত ৩শ' ১০ জনকেই আজ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। আজ সকাল ১০টায় আবার আদালত বসছে।
প্রসঙ্গত, একই আদালতে গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা সদর দফতর সেক্টরের ৮৬ বিদ্রোহীর বিচার শুরম্ন হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেন ঢাকা সদর দফতর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আজিজ আহম্মেদ। এ সময় বিশেষ আদালতের বিশেষ প্রসিকিউটরগণ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিচার শুরম্ন হয়। এ সময় এ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক মনোনীত ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ সোহরাওয়ার্দীকে শপথবাক্য পাঠ করান বিডিআর মহাপরিচালক। আদালতকে সহযোগিতা করেন, বিডিআরে কর্মরত ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম গোলাম রাব্বানী ও মেজর সাইদ হাসান তাপস। এ ছাড়া প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তারিক ইমাম সিদ্দিকী। স্পেশাল প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল, মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ টিপু, এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও এ্যাডভোকেট মনজুর আলম।
আদালতে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মোঃ গিয়াস উদ্দিন ৩শ' ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এদের মধ্যে ২শ' ৪১ জন বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বাকি ৬৯ জন নিজ ইউনিটে রয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার হলে দরবার শুরম্ন হয়। সকাল ৯টার দিকে পূর্ব দিকে থাকা বাথরম্নমের পাশ থেকে অস্ত্রহাতে সিপাহী মাহিন দরবার হলে প্রবেশ করে বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহম্মেদের দিকে অস্ত্র তাক করে। এ সময় ডিজির পাশে থাকা সেনা কর্মকর্তারা দ্রুত মাহিনের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় দরবার হলে হৈচৈ পড়ে যায়। এ সময় শাকিল আহম্মেদ সবাইকে ধৈর্য ধরে দরবার হলে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। শাকিল আহম্মেদের এমন নির্দেশের পরই সিপাহীদের মধ্য থেকে 'জাগো' বলে ধ্বনি তোলা হয়। ওইদিন আড়াই হাজার বিডিআর জওয়ান দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও এই ব্যাটালিয়নের অধীন ৩শ' ১০ জওয়ান দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। দরবার হলে হৈচৈ শুরম্ন হলে ৩শ' ১০ জনের মধ্যে বিদ্রোহী জওয়ানদের সঙ্গে ২শ' ৬ জন বেরিয়ে যায়। বাকি ১শ' ৪ জন দরবার হলেই অবস্থান নেয়। ১শ' ৪ জনের মধ্যে কেউ বিদ্রোহ দমনে নূ্যনতম চেষ্টাও করেনি। উল্টো বিদ্রোহে সহযোগিতা করে। দরবার হল ত্যাগ করা জওয়ানদের মধ্যে দেড় শতাধিক জওয়ান অস্ত্র যোগাড়ের জন্য নেমে পড়ে। এদের মধ্যে ১৫ জন অস্ত্রাগার লুট করে। তাদের সহযোগিতা করে অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা ১০ বিদ্রোহী জওয়ান। পরে এ ১০ বিদ্রোহী অস্ত্র হাতে বিডিআরের ১ নম্বর গেট দখলে নেয়। এদের মধ্যে ৮ জন অস্ত্র চালাতে চালাতে আহত হয়ে পড়ে। এ সময় সেনা কর্মকর্তারা প্রাণে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। পরে বিদ্রোহী জওয়ানরা লুকিয়ে থাকা ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ মজিবুল হক, ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ এনায়েতুল হক ও উপঅধিনায়ক মেজর মোঃ মকবুল হোসেনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
বিদ্রোহের সময় ১১ জওয়ান বিভিন্ন জায়গায় ছবি ও তথ্য সরবরাহ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জন বিদ্রোহের পর আলামত গায়েবে সহযোগিতা করে। বিদ্রোহের সময় অনেক বিডিআর জওয়ান পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া জওয়ানদের মধ্যে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২৩ জনের বাড়ি থেকে বিদ্রোহের সময় খোয়া যাওয়া বিভিন্ন মাল উদ্ধার করা হয়।
টানা ১১টা ৫৪ মিনিট পর্যনত্ম আদালত চলে। বিরতির পর বেলা সোয়া ১২টায় আবার বিচার শুরম্ন হয়। আদালতে প্রসিকিউটর গ্রেফতারের বাইরে থাকা ৬৯ জনকে গ্রেফতারের জন্য আদালতে আর্জি জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিডিআর একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে এ ধরনের বিদ্রোহ হওয়া উচিত নয়। জনগণের টাকায় গঠিত ও পরিচালিত একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিদ্রোহ দেশের জনগণ ৰমা করবে না। তাই দ্রম্নত বিডিআরকে নতুন করে গঠন করতে আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারের বাইরে থাকা ৬৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত ৩শ' ১০ জনকেই আজ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। আজ সকাল ১০টায় আবার আদালত বসছে।
প্রসঙ্গত, একই আদালতে গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা সদর দফতর সেক্টরের ৮৬ বিদ্রোহীর বিচার শুরম্ন হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেন ঢাকা সদর দফতর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আজিজ আহম্মেদ। এ সময় বিশেষ আদালতের বিশেষ প্রসিকিউটরগণ উপস্থিত ছিলেন।
No comments