কোর্টেই প্রেম-অপ্রেম

লাভ। এলওভিই। টেনিস খেলোয়াড়েরা কিন্তু এই শব্দটাকে ঘৃণাই করেন। লাভ মানে যে শূন্য! কিন্তু জীবনের কোর্টে? প্রেম একবার এসেছিল নীরবে গানটিকে ভুল প্রমাণ করে দেন তাঁরা।
টেনিস তারকাদের জীবনে প্রেম নীরবে নয়, সরবেই আসে। একবার নয়, বহুবার। একসময় টেনিসে জিমি কনর্স আর ক্রিস এভার্টের প্রেমগাথা ছিল বহুল আলোচিত। টেনিসের রোমিও-জুলিয়েট হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। রোমিও-জুলিয়েটের মতোই বিচ্ছেদেই শেষ হয়েছে তাঁদের সেই সম্পর্ক। এই জুটির মতো আর কখনো অতটা আলোচিত জুটি আসেনি টেনিসে। তবে মারিয়া শারাপোভা, সেরেনা উইলিয়ামস, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কারা প্রেমের কারণেও হয়েছেন খবরের শিরোনাম। তিনজনই খুঁজে পেয়েছে নতুন প্রেম!
শাশা ভুয়াচিচের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর শারাপোভা খুব বেশি দিন ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ ‘সিঙ্গেল’ রাখেননি। রুশ নন্দিনী এবার টেনিস কোর্টেরই একজনকে বেছে নিয়েছেন। নাম গ্রিগর দিমিত্রোভ। টেনিস অঙ্গনের সবাই অবশ্য তাঁকে ‘বেবি ফেদেরার’ নামে চেনে। ফেদেরারের মতো খেলার ধরনের কারণেই এমন নাম। এ নিয়ে গত কিছুদিন এত এত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে, বুলগেরিয়ার এই খেলোয়াড় রীতিমতো বিরক্ত। সেই ক্ষোভ আড়ালও করেননি দিমিত্রোভ, ‘লোকে আসলে গুঞ্জন খুব ভালোবাসে। আসলে কে বাসে না? কিন্তু আমি করি এটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। আমার মতে এটা ঠিক নয়।’
ভুয়াচিচের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছিল শারাপোভার। বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। দুজনের ব্যস্ত সূচি এই সম্পর্কে যতি পড়ার কারণ বলে কারও কারও অনুমান। শারাপোভা অবশ্য মনে করেন, টিকিয়ে রাখতে চাইলে যেকোনো সম্পর্কই টিকিয়ে রাখা সম্ভব। দুই ব্যস্ত ক্রীড়াবিদের মধ্যেও প্রেম হতেই পারে, ‘এটা সম্ভব। হ্যাঁ, আমাদের অনেক ব্যস্ত সূচি। অনেক সফর করতে হয়। কিন্তু এটা তো আমাদের জীবন। মেনে নিতেই হবে।’ শারাপোভা যোগ করেছেন, ‘সম্পর্ক জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টেনিসে তত দিন থাকবেন যত দিন আপনার শরীরে সইবে। কিন্তু জীবনের আরেকটা অধ্যায় আছে—সম্পর্ক।’
র‌্যাপশিল্পী কমনের সঙ্গে সেরেনার প্রেম ছিল বলেই সবাই জানত। কিন্তু নিজের জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করা সেরেনা এখন প্রেম করছেন কোচ প্যাট্রিক মউরাতগলুর সঙ্গে। প্যারিসে এই কোচের একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পরই হারানো ফর্ম ফিরে পান সেরেনা। বছরের শেষ দুটি গ্র্যান্ড স্লাম তো বটেই, অলিম্পিকেও সোনা জেতেন। গত মাসে মরিশাসে এই দুজনকে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে আবিষ্কারও করা গেছে। সেরেনা অবশ্য এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে সেই সাংবাদিককে সেরেনা বলেছেন, ‘না, বলব না। তবে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ।’
নিজের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি নন আজারেঙ্কার প্রেমিক স্টেফান গোর্দিও। সের্গেই বুবকা জুনিয়রের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর গোর্দির মধ্যেই কল্পনার সেই রাজপুত্রকে খুঁজে নিয়েছেন আজারেঙ্কা। গোর্দির একটাই কথা, ‘আমি চুমু খেয়ে সেটা সবাইকে বলে বেড়াই না।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.