অভুক্তদের সাহায্যে জাতিসংঘকে আসাদ সরকারের অনুমতি

জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচিকে (ডাব্লিউএফপি) সিরিয়ায় কাজের পরিধি বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার। খাদ্য সংকটে থাকা প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে সাহায্যের জন্য কার্যক্রম সম্প্রসারণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে।
ডাব্লিউএফপির প্রধান আর্থারিন কাজিন গত বুধবার এ তথ্য জানান। এদিকে আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণের জন্য আসাদ সরকারকে দায়ী করায় যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া।
প্রায় দুই বছর ধরে অস্থিতিশীল সিরিয়ায় ২৫ লাখ লোক চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে। সিরিয়ার আরব রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ লোককে খাদ্য সাহায্য পাঠাচ্ছে ডাব্লিউএফপি। জরুরি সাহায্যের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে আসাদ সরকার গত সপ্তাহে ১১০টি বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে। অবশেষে ডাব্লিউএফপিকেও কার্যক্রম সম্প্রসারণের অনুমতি দিল তারা।
আর্থারিন কাজিন বলেন, 'সরকারের অনুমতি পাওয়া ১১০টি এনজিওর ত্রাণ সরবরাহের সামর্থ্য মূল্যায়ন করেছি আমরা। এর মধ্যে ৪৪টি এনজিওকে বাছাই করা হয়েছে, যারা আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণে সাহায্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে আরো ১০ লাখ লোককে সাহায্য করতে পারব আমরা।' সিরিয়ায় সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ১৪টি প্রদেশের সব কটিতেই ত্রাণ পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে ডাব্লিউএফপির।
জর্দানে আশ্রয় নেওয়া তিন লাখ সিরীয় শরণার্থীর জন্য ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে জর্দান সরকার ও জাতিসংঘ। গত সপ্তাহে শীতের প্রকোপ বাড়ায় সেখানে ৬০ হাজারের বেশি শরণার্থীর দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এদিকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর হোমসে সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কূটনীতিকদের ফাঁস হওয়া তারবার্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফ গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর হোমসে সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত পাঁচ ব্যক্তির শরীরে স্নায়ু গ্যাসের নমুনা পাওয়া গেছে। হোমসে গত মঙ্গলবার সরকারি বাহিনীর নাশকতায় ১০৬ জন মারা গেছে। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়। ওই হামলায় হোমস থেকে প্রায় এক হাজার লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানায় সংস্থাটি। আলেপ্পো বিশ্বাবদ্যালয়ে গত মঙ্গলবারের জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা এ বিস্ফোরণের জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য আসাদ সরকারকে দায়ী করে। এর কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া। সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ।                            

No comments

Powered by Blogger.