অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ওবামা
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিরোধী রিপাবলিকানরা এক কথায় খারিজ করে দিয়েছে তাঁর উদ্যোগ। প্রভাবশালী অস্ত্র লবি গ্রুপগুলোও ওবামার প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে।
তাদের ভাষ্য, জাতি হিসেবে আমেরিকানরা যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তা নিরসনে ওবামার প্রস্তাব কোনো সমাধান নয়।
ওবামা গত বুধবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেন। এসব প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে তবেই সেগুলো আইনে পরিণত হবে। প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে ওবামা অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ২৩টি নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন।
প্রসঙ্গত কানেকটিকাটের একটি প্রাথমিক স্কুলে গত ১৪ ডিসেম্বর বন্দুক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হন ওবামা। ওই হামলায় ২০ শিশুসহ ২৮ জন মারা যায়।
হোয়াইট হাউসে গত বুধবার প্রস্তাবগুলো প্রকাশের সময় ওবামা বলেন, 'সহিংসতা কমাতে একটি কাজও যদি আমাদের করার থাকে, একটি জীবনও যদি আমরা বাঁচাতে পারি, তা হলেও অন্তত চেষ্টা করার বাধ্যবাধকতা আমাদের রয়েছে।' ওবামার প্রস্তাবে সামরিক ধাঁচের অস্ত্র, ১০টির বেশি বুলেট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন নিষিদ্ধ এবং অস্ত্রবিরোধী শিক্ষা ও মানসিকতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র ক্রেতার ইতিবৃত্ত সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে আরো গবেষণা, স্কুলগুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তহবিল বাড়ানোর উল্লেখও রয়েছে এতে।
এ ব্যাপারে কংগ্রেসের বিরোধিতার ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, 'কাজটি বেশ কঠিন। পণ্ডিত, রাজনীতিক বিশেষ করে অস্ত্র লবিস্ট গ্রুপগুলো বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। তাদের ভাষ্য, স্বৈরশাসকের মতো স্বাধীনতার ওপর আঘাত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সত্য নয়। তারা এসব বলছে, কারণ তারা মানুষকে আতঙ্কিত করে নিজেদের পকেট ভরতে চায়। এ কারণেই যেকোনো মূল্যে এ সংস্কার ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে।' উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুসারে দেশের নাগরিকরা অস্ত্র বহন করতে পারে।
রিপাবলিকানরা অবশ্য শুরু থেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কট্টর বিরোধী। দলের জাতীয় কমিটির সভাপতি রেইনস প্রাইবাস বলেন, 'আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি ওবামার শ্রদ্ধা শুধুই বাগাড়ম্বর। দ্বিতীয় সংশোধনীকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।' রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিয়ো বলেন, 'অস্ত্র সমস্যা নয়। মানসিকভাবে অসুস্থ ও অপরাধীরাই জিনিসটিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।'
রিপাবলিকানদের পাশাপাশি প্রস্তাবগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে অস্ত্র লবিস্ট গ্রুপগুলোর মধ্যেও। প্রধান গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, 'শুধু সৎ ও আইন মানা অস্ত্রের মালিকদেরই সংকটে ফেলবে প্রস্তাবগুলো। আমাদের শিশুরা আজ যে ঝুঁকির মুখে রয়েছে তা কাটবে না।' এনআরএ সভাপতি ডেভিড কিন বলেন, 'আমার বিশ্বাস, দ্বিতীয় সংশোধনী এ সংকট উৎরাতে পারবে।' সব মিলিয়ে আশঙ্কা রয়েছে, এই প্রস্তাবগুলোর প্রভাব ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনেও পড়বে। রক্ষণশীল রাজ্যগুলোতে এর জন্য মূল্য দিতে হবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটদের। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
ওবামা গত বুধবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেন। এসব প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে তবেই সেগুলো আইনে পরিণত হবে। প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে ওবামা অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ২৩টি নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন।
প্রসঙ্গত কানেকটিকাটের একটি প্রাথমিক স্কুলে গত ১৪ ডিসেম্বর বন্দুক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হন ওবামা। ওই হামলায় ২০ শিশুসহ ২৮ জন মারা যায়।
হোয়াইট হাউসে গত বুধবার প্রস্তাবগুলো প্রকাশের সময় ওবামা বলেন, 'সহিংসতা কমাতে একটি কাজও যদি আমাদের করার থাকে, একটি জীবনও যদি আমরা বাঁচাতে পারি, তা হলেও অন্তত চেষ্টা করার বাধ্যবাধকতা আমাদের রয়েছে।' ওবামার প্রস্তাবে সামরিক ধাঁচের অস্ত্র, ১০টির বেশি বুলেট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন নিষিদ্ধ এবং অস্ত্রবিরোধী শিক্ষা ও মানসিকতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র ক্রেতার ইতিবৃত্ত সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে আরো গবেষণা, স্কুলগুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তহবিল বাড়ানোর উল্লেখও রয়েছে এতে।
এ ব্যাপারে কংগ্রেসের বিরোধিতার ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, 'কাজটি বেশ কঠিন। পণ্ডিত, রাজনীতিক বিশেষ করে অস্ত্র লবিস্ট গ্রুপগুলো বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। তাদের ভাষ্য, স্বৈরশাসকের মতো স্বাধীনতার ওপর আঘাত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সত্য নয়। তারা এসব বলছে, কারণ তারা মানুষকে আতঙ্কিত করে নিজেদের পকেট ভরতে চায়। এ কারণেই যেকোনো মূল্যে এ সংস্কার ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে।' উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুসারে দেশের নাগরিকরা অস্ত্র বহন করতে পারে।
রিপাবলিকানরা অবশ্য শুরু থেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কট্টর বিরোধী। দলের জাতীয় কমিটির সভাপতি রেইনস প্রাইবাস বলেন, 'আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি ওবামার শ্রদ্ধা শুধুই বাগাড়ম্বর। দ্বিতীয় সংশোধনীকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।' রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিয়ো বলেন, 'অস্ত্র সমস্যা নয়। মানসিকভাবে অসুস্থ ও অপরাধীরাই জিনিসটিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।'
রিপাবলিকানদের পাশাপাশি প্রস্তাবগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে অস্ত্র লবিস্ট গ্রুপগুলোর মধ্যেও। প্রধান গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, 'শুধু সৎ ও আইন মানা অস্ত্রের মালিকদেরই সংকটে ফেলবে প্রস্তাবগুলো। আমাদের শিশুরা আজ যে ঝুঁকির মুখে রয়েছে তা কাটবে না।' এনআরএ সভাপতি ডেভিড কিন বলেন, 'আমার বিশ্বাস, দ্বিতীয় সংশোধনী এ সংকট উৎরাতে পারবে।' সব মিলিয়ে আশঙ্কা রয়েছে, এই প্রস্তাবগুলোর প্রভাব ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনেও পড়বে। রক্ষণশীল রাজ্যগুলোতে এর জন্য মূল্য দিতে হবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটদের। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments