পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টকে এনএবি-প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য নেই
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে গ্রেপ্তার করার সপক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা_জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতকে এ কথা জানান ব্যুরোর চেয়ারম্যান ফসিহ বুখারি।
পাশাপাশি আদালতে পেশ করা এ সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদনে গলদ আছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যদের বেঞ্চ এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আশরাফসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অধিবেশন আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশসহ প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা তাহির-উল কাদরির সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতটা 'কোলাহলপূর্ণ' মনে করা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি তা নয় বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক সফররত হিনা বলেন, 'পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ বা অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। নিজেদের ক্ষেত্র প্রসারিত করছে সেগুলো।' গত জুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা, আশরাফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে কি মনে হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট 'মাত্রা ছাড়িয়ে' যাচ্ছেন_এমন প্রশ্নের জবাবে হিনা বলেন, 'এ ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব অভিমত আছে, তবে এখনই তা প্রকাশ করছি না।' সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।
দুর্নীতির দায়ে গত বছরের ৩০ মার্চ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরপিপি) অধীনে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে চুক্তিগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে এনএবির প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী ছিলেন আশরাফ। চুক্তিগুলো ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সই হয়। অভিযোগ রয়েছে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বরাদ্দে ঘুষ নিয়েছেন আশরাফ।
আদালতে নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে এনএবি। প্রতিবেদন দুটি পর্যালোচনা শেষে আদালত মঙ্গলবার আশরাফসহ ১৬ জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তবে এনএবির চেয়ারম্যান ফসিহ গতকাল আদালতকে বলেন, প্রতিবেদন দুটিতে মামলার সব তথ্য নেই। তিনি দাবি করেন, তাড়াহুড়া করে তদন্ত করায় এতে তথ্য-ঘাটতি থেকে গেছে। ফলে আরপিপির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন এখনো তৈরি হয়নি। এ জন্য যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। ফসিহর এ কথায় অসন্তুষ্ট হন আদালত। বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে আদালতের নির্দেশ ঝুলে আছে। আদালতের নির্দেশ কেন বাস্তবায়ন করা হলো না_এনএবি কর্তৃপক্ষকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন, কেবল প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেননি।
গতকাল আরপিপি মামলাসংক্রান্ত সব নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এনএবির চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে লিখিত দিতে আদালতকে অনুরোধ করেন। তবে মৌখিক নির্দেশনাকে আদালতের আদেশ বিবেচনা করতে বলেন আদালত। এ পর্যায়ে সব নথিপত্র জমা দিতে আবারও ফসিহকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র : ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, রয়টার্স।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশসহ প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা তাহির-উল কাদরির সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতটা 'কোলাহলপূর্ণ' মনে করা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি তা নয় বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক সফররত হিনা বলেন, 'পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ বা অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। নিজেদের ক্ষেত্র প্রসারিত করছে সেগুলো।' গত জুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা, আশরাফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে কি মনে হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট 'মাত্রা ছাড়িয়ে' যাচ্ছেন_এমন প্রশ্নের জবাবে হিনা বলেন, 'এ ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব অভিমত আছে, তবে এখনই তা প্রকাশ করছি না।' সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।
দুর্নীতির দায়ে গত বছরের ৩০ মার্চ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরপিপি) অধীনে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে চুক্তিগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে এনএবির প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী ছিলেন আশরাফ। চুক্তিগুলো ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সই হয়। অভিযোগ রয়েছে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বরাদ্দে ঘুষ নিয়েছেন আশরাফ।
আদালতে নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে এনএবি। প্রতিবেদন দুটি পর্যালোচনা শেষে আদালত মঙ্গলবার আশরাফসহ ১৬ জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তবে এনএবির চেয়ারম্যান ফসিহ গতকাল আদালতকে বলেন, প্রতিবেদন দুটিতে মামলার সব তথ্য নেই। তিনি দাবি করেন, তাড়াহুড়া করে তদন্ত করায় এতে তথ্য-ঘাটতি থেকে গেছে। ফলে আরপিপির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন এখনো তৈরি হয়নি। এ জন্য যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। ফসিহর এ কথায় অসন্তুষ্ট হন আদালত। বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে আদালতের নির্দেশ ঝুলে আছে। আদালতের নির্দেশ কেন বাস্তবায়ন করা হলো না_এনএবি কর্তৃপক্ষকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন, কেবল প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেননি।
গতকাল আরপিপি মামলাসংক্রান্ত সব নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এনএবির চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে লিখিত দিতে আদালতকে অনুরোধ করেন। তবে মৌখিক নির্দেশনাকে আদালতের আদেশ বিবেচনা করতে বলেন আদালত। এ পর্যায়ে সব নথিপত্র জমা দিতে আবারও ফসিহকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র : ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, রয়টার্স।
No comments