প্রধানমন্ত্রীর অন্যরকম একটি দিন
দিন-রাত কানত্মিহীন পরিশ্রম। সরকার পরিচালনার গুরম্নভার মাথায় নিয়ে এতটুকু বিশ্রামের ফুরসত নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর গৃহীত সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞ বাসত্মবে রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও গত একটি বছর আনন্দ-উৎসবে শামিল হওয়ার ফুরসত হয়নি।
কিন্তু শনিবার তাঁদের জন্য ছিল সত্যিই একটি অন্য দিন। নিজের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বনভোজনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন পর নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও দুঃসময়ে পাশে থাকা অন্যদের সঙ্গে বনভোজনে শামিল হয়ে প্রধানমন্ত্রী কানত্মি থেকে নিজেকে কিছুটা মুক্ত করার চেষ্টা করেন।জানা গেছে, বনভোজনে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি শিশু সনত্মানদের সঙ্গে এক অন্যরকম আড্ডায় মেতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছোট ছোট শিশুদের কাউকে কোলে নিয়ে, কাউকে পাশে নিয়ে আদর করেন, ছবি তোলেন এবং সবাইকে নানারকম চকলেট উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ ছাড়াও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এমপিসহ অন্য শিল্পীদের গান উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) একে খোন্দকার বীরউত্তম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, স্থানীয় এমপি তৌহিদ জং মুরাদসহ অন্যরা।
সাভার মিলিটারি ফার্মের 'অরণ্যলয়'-এ আয়োজন করা হয় এই ব্যতিক্রমী বনভোজনের। সাভার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের পাশেই এই পিকনিক স্পটটি। সরকারী কিছু কাজ সেরে দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছলে তাঁর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে এক অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশু সনত্মানরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের আনন্দে শরিক হওয়ার জন্য স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমেই শিশুদের কাছে নিয়ে আদর করেন এবং পুরো বনভোজনস্থল ঘুরে ফিরে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তাঁদের স্ত্রী-সনত্মানদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। জানা গেছে, বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রী বনভোজনস্থল ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে আসেন।
No comments