ফিরে দেখা- হায়রে ব্যবসা!

বিভাষ বাড়ৈ ॥ দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম পাঠ্যবইয়ের মতো শিক্ষার্থীদের সহায়ক বাংলা ব্যাকরণ ও ইংলিশ গ্রামার বই বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। তবে শিক্ষাক্রম তৈরি করে বই ছাপায় একটু দেরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছতে।
তাই বলে অসাধু বই সিন্ডিকেট তো বসে থাকার পাত্র নয়। কাজটি যে অবৈধ বা অপরাধ তাই যখন মনে করেন না ব্যবসায়ীরা তখন বিব্রতকর অবস্থায়ই পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। গেল সপ্তাহে বই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি)। এক কর্মকর্তার কক্ষে যেতেই দেখি দুই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি চলছে। ঐ কর্মকর্তা বললেন, আপনারা অপরাধ করেছেন। সরকারের বই নকল করে বিক্রি করছেন। পুলিশ আপনাদের ধরছে, কিছু করার নেই। এবার উত্তেজিত হয়ে ব্যবসায়ীদের উত্তর, কিসের অপরাধ? কথা শুনে একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম, সরকারের বিনামূল্যের বই নকল করে বিক্রি করছেন এটা অপরাধ নয়? কর্মকর্তাও বললেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে আপনারা কেন এসব করেন? এবার ঐ অসাধু ব্যবসায়ীদের উত্তর, আরে ভাই। দেশের স্বার্থের কথা ভাবি বলেই তো এটা করেছি। সরকার বই দিতে দেরি করছে বলেই তো শিশুদের কথা ভেবে বই বানিয়ে বাজারে দিয়েছি! এ কথা বলেই বের হয়ে গেলেন তাঁরা। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে হতাশ হয়ে এবার কর্মকর্তা বললেন, দেখলেন দাদা? এই হলো দেশের স্বার্থের চেহারা। হায়রে ব্যবসা !

অফ দ্য রেকর্ড
তৌহিদুর রহমান ॥ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী গত সপ্তাহে তাঁর নিজ দফতরে কয়েকজন সংবাদিকের কাছে একটি প্রেস ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে তিনি প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্মায় পালাতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে তিনি পালাতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিফিং শেষে কৃষিমন্ত্রী বিএনপির রাজনীতি ও নেতাদের নিয়ে আরও কয়েকটি মন্তব্য করেন। তবে সে বক্তব্য তিনি দেন, অফ দ্যা রেকর্ড হিসেবে। বলেন, এগুলো অফ দ্যা রেকর্ড, এসব কথা লেখা যাবে না। কৃষিমন্ত্রীর সেসব কথা উপস্থিত সাংবাদিকরা কেউই লেখেননি।

খালেদা জিয়া আসেনি তাই ...
শরীফুল ইসলাম ॥ ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১টা। রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে ১৮ দলীয় জোটের মানবপ্রাচীরে অংশ নেয়া এক বিএনপি কর্মী ওয়ার্ড পর্যায়ের এক দলীয় নেতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন। কাছে গিয়ে জানা গেল, বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টার জন্য মানবপ্রাচীরে অংশ নিতে তাকে খিলগাঁও এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া না আসায় দুপুর ১টা বাজার পরও তাকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। আরও জানা যায়, ওয়ার্ড পর্যায়ের যে নেতা তাকে মানবপ্রাচীরে নিয়ে এসেছেন তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অনুসারী। খালেদা জিয়ার আগমনের অপেক্ষায় সেখানে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন মির্জা আব্বাস। তাই কোন কর্মীকে সেখান থেকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.