প্রতিবন্ধীদের চাকরি-চাই সঠিক বাস্তবায়ন
কর্মসংস্থানের সুযোগ সব নাগরিকের জন্য সমান_এ কথা বলা হলেও কার্যত তেমনটা করা সম্ভব হয় না। সেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা রাষ্ট্রকে ভাবতে হয়। ভাবতে হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা মানুষের কথা।যেমন_মুক্তিযোদ্ধার কথা। পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কথা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে।
আর এখন থেকে কার্যত যোগ হতে যাচ্ছে প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার ১ শতাংশ নিয়োগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ৩০০ পদ। এই পদগুলো পূরণ করা হলে দেশের প্রতিবন্ধীদের বড় একটি অংশ তাদের হতাশাগ্রস্ত জীবন থেকে নিজেদের কিছুটা আলোকিত করার সুযোগ পাবে।
আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জীবন যাপন করতে হয় দুর্বিষহ অবস্থায়। তাঁদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবার এবং সমাজ করুণার চোখে দেখে আসছে। কোথাও কোথাও তাঁদের নামও বিকৃত করে ডাকা হয়। অথচ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া ওই মানুষটির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করেনি। এবং চিকিৎসাশেষে সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা থাকলেও আর্থিক দীনতার কারণে তাঁরা হয়তো চিকিৎসাই করাতে পারেন না। রাষ্ট্রও তাঁদের চিকিৎসার তেমন একটা সুযোগ করে দেয় না।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনধারণ আরো কঠিন। অনেক দেশে প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতার জন্য এবং কর্মক্ষম থাকার সুযোগ সৃষ্টির আইন থাকলেও বাংলাদেশে তাঁদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। আর যে কারণে অনেক প্রতিবন্ধীকে জীবনধারণের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির মতো কাজ করতে হয়। একশ্রেণীর মানুষ আবার তাঁদের ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করে। আমাদের দেশে তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ার কাজটি অনেকদূর পিছিয়ে আছে। কিছু কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে দেখা যায় এখানে। তারা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের চেষ্টাও করে থাকে। কিন্তু সরকারি প্রচেষ্টা আশানুরূপ নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, তারা প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সবই করবে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকারি নিয়োগের ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সরকারের এই উদ্দেশ্য সফল হলে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সেবাও রাষ্ট্র পেতে থাকবে। তাঁদের মধ্যে অন্তত এটুকু অনুভূতি আসতে পারে যে রাষ্ট্র তাঁদের জন্য ভাবছে। রাষ্ট্রীয় এই পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সামাজিকভাবে তাঁদের যদি মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু মানবিক দায়িত্বই পালন করা হবে না, তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো সম্ভব হবে। তবে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা আছে প্রচুর। কোনো দেশেই মূল পদের ৫৫ শতাংশ কোটাভিত্তিক হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে এত কোটা রাখা হয় যে মেধার মূল্যায়ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই কোটাভিত্তিক চাকরির বিষয়টিকে উপেক্ষা করার সুযোগও নেই। সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ-সুবিধা সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানানো যায়। পাশাপাশি এও বলতে হবে, এটি যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।
আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জীবন যাপন করতে হয় দুর্বিষহ অবস্থায়। তাঁদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবার এবং সমাজ করুণার চোখে দেখে আসছে। কোথাও কোথাও তাঁদের নামও বিকৃত করে ডাকা হয়। অথচ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া ওই মানুষটির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করেনি। এবং চিকিৎসাশেষে সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা থাকলেও আর্থিক দীনতার কারণে তাঁরা হয়তো চিকিৎসাই করাতে পারেন না। রাষ্ট্রও তাঁদের চিকিৎসার তেমন একটা সুযোগ করে দেয় না।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনধারণ আরো কঠিন। অনেক দেশে প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতার জন্য এবং কর্মক্ষম থাকার সুযোগ সৃষ্টির আইন থাকলেও বাংলাদেশে তাঁদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। আর যে কারণে অনেক প্রতিবন্ধীকে জীবনধারণের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির মতো কাজ করতে হয়। একশ্রেণীর মানুষ আবার তাঁদের ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করে। আমাদের দেশে তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ার কাজটি অনেকদূর পিছিয়ে আছে। কিছু কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে দেখা যায় এখানে। তারা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের চেষ্টাও করে থাকে। কিন্তু সরকারি প্রচেষ্টা আশানুরূপ নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, তারা প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সবই করবে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকারি নিয়োগের ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সরকারের এই উদ্দেশ্য সফল হলে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সেবাও রাষ্ট্র পেতে থাকবে। তাঁদের মধ্যে অন্তত এটুকু অনুভূতি আসতে পারে যে রাষ্ট্র তাঁদের জন্য ভাবছে। রাষ্ট্রীয় এই পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সামাজিকভাবে তাঁদের যদি মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু মানবিক দায়িত্বই পালন করা হবে না, তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো সম্ভব হবে। তবে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা আছে প্রচুর। কোনো দেশেই মূল পদের ৫৫ শতাংশ কোটাভিত্তিক হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে এত কোটা রাখা হয় যে মেধার মূল্যায়ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই কোটাভিত্তিক চাকরির বিষয়টিকে উপেক্ষা করার সুযোগও নেই। সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ-সুবিধা সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানানো যায়। পাশাপাশি এও বলতে হবে, এটি যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।
জনাব,
ReplyDeleteসালাম নেবেন। "প্রতিবন্ধীদের চাকরির ক্ষেত্রে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।" আমি এজন্য প্রধানমন্ত্রিকে সাধুবাদ জানাই।
কিন্তু, প্রতিবন্ধীদের চাকরির ক্ষেত্রে বয়স কত বছর পর্যন্ত শিথিল করা হবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু শিথিল করা হবে এ বিষয়ে কিছুই পরিস্কার করে বলা হ্য়নি।
তা ছাড়াও, একজন প্রতিবন্ধীকে কোথা থেকে তার প্রতিবন্ধীতা সংক্রান্ত সনদ সংগ্রহ করতে হবে.....বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি । তাই, একজন শ্রবন প্রতিবন্ধীকে কোথা থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে ত না জানার কারনে কোন সনদ সগ্রহ করা যাচ্ছে না।
আমি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
মহসিন খান,
ঢাকা।
email: mohsin_bz@yahoo.com