নারীর ক্ষমতায়নে আরও এক ধাপ অগ্রগতি-ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার
অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ সম্মেলন চলার সময় গত শুক্রবার ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারসংক্রান্ত বিধানে যে পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা যুগান্তকারী ও তাৎপর্যবহ—শুধু যুক্তরাজ্য বা কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের (কমনওয়েলথ রেলম) জন্যই নয়, পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্য।
এত দিন বিধান ছিল, ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবেন রাজদম্পতির প্রথম ছেলেসন্তান; প্রথম সন্তান মেয়ে হলে উত্তরাধিকার হস্তান্তরিত হবে ওই মেয়েসন্তানের ছোট ভাইয়ের হাতে। ৫৯ বছর ধরে সিংহাসনে আসীন বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের কাছ থেকে সিংহাসন পেয়েছিলেন এ কারণে যে তাঁর কোনো ভাই ছিল না। এবং তাঁর বড় ছেলে যুবরাজ চার্লস এবং তারপর চার্লসের বড় ছেলে উইলিয়ামের কাছে সিংহাসন হস্তান্তরিত হবে সেই একই পুরোনো বিধানে। কিন্তু সম্প্রতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয় এবং তারপর তার একটি ভাইয়েরও জন্ম হয়, তবু সে-ই হবে ভবিষ্যতের ব্রিটেনের রানি। নারীত্বের কারণে সমান উত্তরাধিকার থেকে তাকে আর কোনোভাবেই বঞ্চিত করার সুযোগ থাকবে না। প্রথম সন্তানই হবে প্রথম উত্তরাধিকারী—ছেলে ও মেয়েতে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।
‘প্রাইমোজেনিচার’ নামে পরিচিত পুরুষপ্রাধান্যের কয়েক শ বছরের প্রাচীন এই প্রথার আনুষ্ঠানিক বিলোপ নারী অধিকারের পক্ষে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, আধুনিকতার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। যুক্তরাজ্য এক প্রথানিষ্ঠ সমাজ, যেখানে গণতান্ত্রিক বিধিবিধানের যথেষ্ট বিকাশ ঘটার পরও সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়ে গেছে। গত ৩০ বছরে রাজতন্ত্রের অনেক কঠোর বিধান ক্রমশ শিথিল হয়েছে, কিন্তু উত্তরাধিকারের প্রশ্নে ছেলেসন্তানের প্রাধান্যের অবসানের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হলো। ব্রিটিশ সমাজে এর পক্ষে চাপ ছিল, দেশটির আইনপ্রণেতাদের মধ্যেও এর পক্ষে সমর্থন ক্রমশ বেড়েছে। ডেভিড ক্যামেরনের সরকার এর পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে এবং তা কমনওয়েলথ রেলমভুক্ত ১৬টি সার্বভৌম দেশের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করেছে। এই প্রাচীন বিধানটি অবসানের পক্ষে খোদ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথেরও সায় ছিল।
পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে: নারী ও পুরুষে ভেদ নেই, উভয়ে সমান মানুষ; উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেসন্তান ও মেয়েসন্তানের বৈষম্য দূর করে উভয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা সভ্যতার দাবি।
‘প্রাইমোজেনিচার’ নামে পরিচিত পুরুষপ্রাধান্যের কয়েক শ বছরের প্রাচীন এই প্রথার আনুষ্ঠানিক বিলোপ নারী অধিকারের পক্ষে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, আধুনিকতার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। যুক্তরাজ্য এক প্রথানিষ্ঠ সমাজ, যেখানে গণতান্ত্রিক বিধিবিধানের যথেষ্ট বিকাশ ঘটার পরও সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়ে গেছে। গত ৩০ বছরে রাজতন্ত্রের অনেক কঠোর বিধান ক্রমশ শিথিল হয়েছে, কিন্তু উত্তরাধিকারের প্রশ্নে ছেলেসন্তানের প্রাধান্যের অবসানের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হলো। ব্রিটিশ সমাজে এর পক্ষে চাপ ছিল, দেশটির আইনপ্রণেতাদের মধ্যেও এর পক্ষে সমর্থন ক্রমশ বেড়েছে। ডেভিড ক্যামেরনের সরকার এর পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে এবং তা কমনওয়েলথ রেলমভুক্ত ১৬টি সার্বভৌম দেশের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করেছে। এই প্রাচীন বিধানটি অবসানের পক্ষে খোদ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথেরও সায় ছিল।
পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে: নারী ও পুরুষে ভেদ নেই, উভয়ে সমান মানুষ; উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেসন্তান ও মেয়েসন্তানের বৈষম্য দূর করে উভয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা সভ্যতার দাবি।
No comments