নলকূপের সঙ্গে সঙ্গে কি প্রশাসনও অকেজো?-আমতলীর অকেজো নলকূপ
ঘটনাটি বরগুনার আমতলীর। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে ৩০০ নলকূপ। যাহা নলকূপ তাহাই টিউবওয়েল এবং গ্রামদেশে এখন এটাই খাবার পানির প্রধান উৎস। এহেন নলকূপগুলো অকেজো হওয়ার পরই বোঝা গেল এলাকার পানি-পরিস্থিতি কতটা নাজুক।
নলকূপের পানি না পেয়ে পুকুর-জলাশয়ের পানি খেতে হচ্ছে মানুষজনকে, গোসল করতে হচ্ছে পুকুর বা স্থানীয় নদীতে। ফলে পেটের পীড়া ও চর্মরোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নজুড়ে। পানির দেশে সামান্য নলকূপ নষ্ট হওয়া থেকে কত বড় সংকটের জন্ম হতে পারে, এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
সমস্যার একটা দিক প্রশাসনিক—১০টি উপজেলার প্রায় সব নলকূপ দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে থাকে কী করে? দেখার কি কেউ নেই? উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাহলে কাজ কী? গত শুক্রবারের প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে’ জানানো কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া একটা প্রশাসনিক অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য কিছু নলকূপের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জড়িত করা প্রশাসনিক স্থবিরতা কিংবা দায় এড়ানো ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। স্থানীয় সরকার রয়েছে, প্রশাসন রয়েছে, এলাকার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁরা সবাই নলকূপগুলোর সঙ্গে একযোগে অকেজো হয়ে গেলেন কীভাবে?
সমস্যার অন্যদিকটিও কম ভয়াবহ নয়। ভুল পানি-ব্যবস্থাপনা, দূষণ ইত্যাদি কারণে অনেক অঞ্চলেই ভূপৃষ্ঠের পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। পুকুর-জলাশয়ে যেটুকুই বা পাওয়া যায়, সেগুলো দূষিত বা মনুষ্য ব্যবহারের অযোগ্য । অথচ এই দক্ষিণাঞ্চলই একদা ছিল পানিসমৃদ্ধ। কেবল দক্ষিণাঞ্চলই নয়, সারা বাংলাদেশে বিশেষ দুর্যোগ ছাড়া একসময় সুপেয় ও ব্যবহার্য পানির কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু অযত্ন, অবহেলা আর প্রকৃতিবিরোধী সরকারি পানিশাসন কার্যক্রম এবং বাণিজ্যিক দূষণ ও কীটনাশকের প্রভাবে মাটির ওপরের জলদেহগুলো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমতলীর ঘটনা এ পরিস্থিতিকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল।
শুকনো মৌসুমে দেশের অনেক অঞ্চলেই পানির সমস্যা হবে। সরকারি তদারকি ও সেবামানসিকতার অভাবে অনেক স্থানেই মানুষ সুপেয় পানির কষ্টে ভুগবেন ও ভুগছেন। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হবে এবং মানুষের প্রয়োজন মেটাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পানি-ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অতীতের ভুলগুলো সংশোধনের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করবে।
সমস্যার একটা দিক প্রশাসনিক—১০টি উপজেলার প্রায় সব নলকূপ দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে থাকে কী করে? দেখার কি কেউ নেই? উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাহলে কাজ কী? গত শুক্রবারের প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে’ জানানো কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া একটা প্রশাসনিক অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য কিছু নলকূপের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জড়িত করা প্রশাসনিক স্থবিরতা কিংবা দায় এড়ানো ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। স্থানীয় সরকার রয়েছে, প্রশাসন রয়েছে, এলাকার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁরা সবাই নলকূপগুলোর সঙ্গে একযোগে অকেজো হয়ে গেলেন কীভাবে?
সমস্যার অন্যদিকটিও কম ভয়াবহ নয়। ভুল পানি-ব্যবস্থাপনা, দূষণ ইত্যাদি কারণে অনেক অঞ্চলেই ভূপৃষ্ঠের পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। পুকুর-জলাশয়ে যেটুকুই বা পাওয়া যায়, সেগুলো দূষিত বা মনুষ্য ব্যবহারের অযোগ্য । অথচ এই দক্ষিণাঞ্চলই একদা ছিল পানিসমৃদ্ধ। কেবল দক্ষিণাঞ্চলই নয়, সারা বাংলাদেশে বিশেষ দুর্যোগ ছাড়া একসময় সুপেয় ও ব্যবহার্য পানির কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু অযত্ন, অবহেলা আর প্রকৃতিবিরোধী সরকারি পানিশাসন কার্যক্রম এবং বাণিজ্যিক দূষণ ও কীটনাশকের প্রভাবে মাটির ওপরের জলদেহগুলো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমতলীর ঘটনা এ পরিস্থিতিকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল।
শুকনো মৌসুমে দেশের অনেক অঞ্চলেই পানির সমস্যা হবে। সরকারি তদারকি ও সেবামানসিকতার অভাবে অনেক স্থানেই মানুষ সুপেয় পানির কষ্টে ভুগবেন ও ভুগছেন। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হবে এবং মানুষের প্রয়োজন মেটাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পানি-ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অতীতের ভুলগুলো সংশোধনের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করবে।
No comments