কল্পকথার গল্প-রেগে গেলেই রাবিশ! by আলী হাবিব
আগে গেলে বাঘে খায়-এমন একটা প্রবাদ আমরা শুনে আসছি। কিন্তু রেগে গেলে কী হয়? রেগে গেলে কী যে হয়, সেটা নিয়ে একটু ভাবতে বসা দরকার। ক্রোধ নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা কথায় কথায় রেগে যাচ্ছি। আমাদের ক্রোধের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে। আমাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দিচ্ছে, আমরা রেগে যাচ্ছি বা আমরা রেগে আছি।
ক্রোধ নাকি মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। হয়তো অন্ধ করে ফেলে। কিন্তু বোবা করে না। ফলে আমাদের ক্রোধের প্রকাশ ঘটে যায় মুখ দিয়ে। ক্রোধ নিয়ে একটা চালু গল্প তো আছেই। সেটা এক অফিসের গল্প। অফিসের বড় কর্তা সকালে বউয়ের বকুনি খেয়ে অফিসে এসেছেন। অফিসে এসেই তাঁর এই ক্রোধ গিয়ে পড়ল মেজো কর্তার ওপর। মেজো কর্তাকে ডেকে বেশ করে ঝাড়লেন। অহেতুক বড় কর্তার বকুনি খেয়ে মেজো কর্তার মেজাজ গরম। তিনি অফিসের সেজো কর্তাকে ডেকে রাগটা ঝেড়ে দিলেন তাঁর ওপর। এবার সেজো কর্তার পালা। তিনি ডাকলেন অফিসের ছোট কর্তাকে। ছোট কর্তা নির্বিবাদী মানুষ। কারো সাতে-পাঁচে থাকেন না। তিনি ঝাড়লেন অফিসের কেরানি বাবুকে। কেরানি বাবু সেই রাগটা ঝেড়ে দিলেন অফিসের পিয়নের ওপর। পিয়ন বেচারা কী আর করে? অফিসে তাঁর চেয়ে ছোট চাকুরে কেউ তো আর নেই। অফিসে কাউকে না পেয়ে রাগে গজগজ করতে করতে তিনি এলেন বাড়িতে। রাগটা ঝাড়লেন বউয়ের ওপর। বেচারা ভর সন্ধেবেলা স্বামীর বকুনি খেয়ে তো হতবাক। কিন্তু তিনিও তো মানুষ, তাঁরও রাগ হতে পারে। হলো। কিন্তু তিনি কাকে রাগ দেখাবেন। ঘর থেকে বেরিয়ে সামনে পড়ল বাড়ির পোষা বিড়ালটা। সপাটে একটা লাথি কষে দিলেন বিড়ালটাকে। বিড়ালটা মনিবের লাথি খেয়ে খেয়ে হতবাক। সে তখন কী করে? তারও তো রাগ হতে পারে। একটু দূরে ছিল একটা লবণের বস্তা। সে মহাক্রোধে ওই লবণের বস্তা আঁচড়াতে শুরু করে দিল।
এই হচ্ছে ক্রোধ বা রাগ। একবার রেগে গেলে সেটা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। মুখের কথায় সেটার প্রকাশ ঘটে যায়। কারো কথা পছন্দ হচ্ছে না, রেগে গেলাম। কারো কাজ পছন্দ হচ্ছে না, রেগে গেলাম। আমার স্বার্থ বিঘি্নত হচ্ছে, রেগে গেলাম। ভ্যাট করে 'রাবিশ' বলে দিলাম। সরকারের কাজ পছন্দ হচ্ছে না যাঁদের, তাঁরা রেগে যাচ্ছেন। রেগে গিয়ে হয়তো হরতাল ডাকা হচ্ছে। কর্মীরা রেগে গিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কর্মীদের বাস পোড়ানো দেখে পুলিশ রেগে যাচ্ছে। যেখানে যাকে পাচ্ছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আমদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রতিদিন। ঘরে স্ত্রী মনের মতো বাজার পাচ্ছেন না, রেগে যাচ্ছেন। বাড়ির কর্তা ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারছেন না, তিনি রেগে যাচ্ছেন।
আবারও সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক। কিঞ্চিৎ পড়াশোনার অভ্যেস তাঁর। পড়েন বই, পত্রপত্রিকা এবং শোনেন গান। সময় পেলেই বই নিয়ে বসেন। খিটখিটে মেজাজের স্ত্রীর কান বাঁচিয়ে গান শোনার চেষ্টা করেন। কোনো দিন পারেন, কোনো দিন পারেন না। রোজকার এই একঘেয়ে ঘ্যানঘ্যান বন্ধ করো তো_স্ত্রীর এমন মুখ ঝামটার পর কানের রুচি থাকে না। কিন্তু পড়া যায় নিঃশব্দে। সকাল থেকেই ছাত্রের একাগ্রতায় পাঠে মনোযোগ। রোজ সকালে বাড়িতে খবরের কাগজ আসে। টাটকা কাগজটা সবার আগে তাঁকেই পেতে হবে। কাগজ নিয়ে বসে যান তিনি। আজকাল টেলিভিশন চ্যানেলের কল্যাণে অনেক খবর আগেই পাওয়া যায়। কিন্তু তার পরও সকালের খবরের কাগজের স্বাদই আলাদা। খবর রাখার জন্যই খবরের কাগজ পড়েন তিনি। এককালে আবহাওয়ার খবর খুব পড়তেন। পড়তেন রাজনীতির খবর। আজকাল বাজারদর দেখেন সবার আগে। এই একটা ব্যাপার তাঁকে খুব ভোগাচ্ছে এবং ভাবাচ্ছে। ভদ্রলোক এই ভাবনা থেকে মুক্তি চান। কিন্তু নতুন নতুন ভাবনা তাঁকে পেয়ে বসে। বাজারে নতুন ধান আসার পর চালের দাম কমতে শুরু করেছিল। ভদ্রলোক খুব আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন এবার বুঝি কষ্টের দিন ফুরাল তাঁর।
সেদিন সকালে কাগজটা ভালো করে পড়া হয়নি। স্ত্রী সকালবেলায়ই বাজারের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, সব কিছুই বাড়ন্ত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজার সেরে এসে অফিসের দিকে রওনা হতে হয়েছে তাঁকে। আজকাল সময়মতো অফিসে পেঁৗছানো দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে রাস্তার যানজট তো আছেই। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে রাস্তায় বাস চলছে কম। ফলে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকটা সময়। বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। বাড়তি পাওনা হচ্ছে বাস ধরার হ্যাপা। এভাবেই প্রতিদিন পার করতে হচ্ছে। কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিকারহীন বিরক্তি নিয়ে কত দিন আর পার করা যায়? অন্য দিনের মতো সেদিনও একরাশ বিরক্তি, আর ক্রোধ নিয়ে অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরই তিনি সবার মুখেই তেল শব্দটা শুনতে পেলেন।
এই অফিসে আবার তেলের চল আছে। তাঁর এই অফিসের বড় কর্তা বেশ তেল পছন্দ করেন। অধস্তনরা নিয়মিত বড় কর্তাকে বেশ ভালোই তেল দিতে অভ্যস্ত। অনেক সময় তেল দেওয়ার প্রতিযোগিতা হয়। তেলের গুণে তাঁকে ল্যাং মেরে সেদিনের ছোকরা প্রমোশন নিয়ে ওপরে চলে যায়। তিনি পড়ে থাকেন। কারণ দেওয়ার মতো তেল তাঁর নেই। অথবা তিনি তেল দিতে জানেন না। ওই অফিসে চাকরির সুবাদে এটা তিনি সম্যক বুঝেছেন যে তেল দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। এটা একটা বড় ধরনের শিল্প। তেল শিল্পে ব্যুৎপত্তি অর্জনের জন্য অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। বিসর্জন না দিলে যে বড় কিছু অর্জন করা যায় না, এটাও ভদ্রলোক বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন। এত কিছু জেনে এবং বুঝেও ভদ্রলোক এই শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। কাজেই পিছিয়ে রয়েছেন। ঘরের স্ত্রীকেই প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে বশে রাখতে পারছেন না, অফিসের বড় কর্তা তো কোন ছার_এই বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেন তিনি। নিজের চরকার তেল দেওয়া জাতীয় একটা আপ্তবাক্য অনেক ছোটবেলায়ই শুনেছেন। কিন্তু সেই চরকার সন্ধানই এ জীবনে করতে পারেননি। তেল আর দেবেন কোথায়?
বাড়িতে ফিরে কোনোমতে হাত-মুখ ধুয়ে পত্রিকার পাতায় মুখ গুঁজে দিলেন। হ্যাঁ, খবরটা পেয়ে গেলেন। এই তো খবর। এত বড় খবর কেমন করে দৃষ্টি এড়িয়ে গেল তাঁর! বিস্মিত হলেন ভদ্রলোক। ব্যবসায়ীরা আবার তেলের দাম বাড়িয়ে দেবেন। তেলের দাম লিটারে পনেরো টাকা বাড়াবেন। কেমন করে চলবে তবে? ভদ্রলোক হিসাব করতে বসবেন, এমন সময় আরেকটি খবরে চোখ আটকে গেল তাঁর। মিলগেটে চিনির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেজিতে আট টাকা বাড়ছে চিনির দাম। তার মানে, ভোক্তাপর্যায়ে সেটার দামও বাড়বে। এত দিন তেল নিয়ে নানা তেলেসমাতি হয়েছে। এবার চিনি নিয়েও ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়ে গেল। চিনির দাম বাড়বে_এমন খবরে মুখটা তেতো হয়ে গেল তাঁর। এবার চিনি ছাড়া চা অভ্যেস করতেই হবে। পায়েসের আয়েশও গেল। খবর পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তাঁর। রেগে গেলেন তিনি। রাগের মাথায় কাগজটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে মনে মনে বললেন, রাবিশ।
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
এই হচ্ছে ক্রোধ বা রাগ। একবার রেগে গেলে সেটা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। মুখের কথায় সেটার প্রকাশ ঘটে যায়। কারো কথা পছন্দ হচ্ছে না, রেগে গেলাম। কারো কাজ পছন্দ হচ্ছে না, রেগে গেলাম। আমার স্বার্থ বিঘি্নত হচ্ছে, রেগে গেলাম। ভ্যাট করে 'রাবিশ' বলে দিলাম। সরকারের কাজ পছন্দ হচ্ছে না যাঁদের, তাঁরা রেগে যাচ্ছেন। রেগে গিয়ে হয়তো হরতাল ডাকা হচ্ছে। কর্মীরা রেগে গিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কর্মীদের বাস পোড়ানো দেখে পুলিশ রেগে যাচ্ছে। যেখানে যাকে পাচ্ছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আমদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রতিদিন। ঘরে স্ত্রী মনের মতো বাজার পাচ্ছেন না, রেগে যাচ্ছেন। বাড়ির কর্তা ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারছেন না, তিনি রেগে যাচ্ছেন।
আবারও সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক। কিঞ্চিৎ পড়াশোনার অভ্যেস তাঁর। পড়েন বই, পত্রপত্রিকা এবং শোনেন গান। সময় পেলেই বই নিয়ে বসেন। খিটখিটে মেজাজের স্ত্রীর কান বাঁচিয়ে গান শোনার চেষ্টা করেন। কোনো দিন পারেন, কোনো দিন পারেন না। রোজকার এই একঘেয়ে ঘ্যানঘ্যান বন্ধ করো তো_স্ত্রীর এমন মুখ ঝামটার পর কানের রুচি থাকে না। কিন্তু পড়া যায় নিঃশব্দে। সকাল থেকেই ছাত্রের একাগ্রতায় পাঠে মনোযোগ। রোজ সকালে বাড়িতে খবরের কাগজ আসে। টাটকা কাগজটা সবার আগে তাঁকেই পেতে হবে। কাগজ নিয়ে বসে যান তিনি। আজকাল টেলিভিশন চ্যানেলের কল্যাণে অনেক খবর আগেই পাওয়া যায়। কিন্তু তার পরও সকালের খবরের কাগজের স্বাদই আলাদা। খবর রাখার জন্যই খবরের কাগজ পড়েন তিনি। এককালে আবহাওয়ার খবর খুব পড়তেন। পড়তেন রাজনীতির খবর। আজকাল বাজারদর দেখেন সবার আগে। এই একটা ব্যাপার তাঁকে খুব ভোগাচ্ছে এবং ভাবাচ্ছে। ভদ্রলোক এই ভাবনা থেকে মুক্তি চান। কিন্তু নতুন নতুন ভাবনা তাঁকে পেয়ে বসে। বাজারে নতুন ধান আসার পর চালের দাম কমতে শুরু করেছিল। ভদ্রলোক খুব আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন এবার বুঝি কষ্টের দিন ফুরাল তাঁর।
সেদিন সকালে কাগজটা ভালো করে পড়া হয়নি। স্ত্রী সকালবেলায়ই বাজারের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, সব কিছুই বাড়ন্ত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজার সেরে এসে অফিসের দিকে রওনা হতে হয়েছে তাঁকে। আজকাল সময়মতো অফিসে পেঁৗছানো দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে রাস্তার যানজট তো আছেই। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে রাস্তায় বাস চলছে কম। ফলে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকটা সময়। বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। বাড়তি পাওনা হচ্ছে বাস ধরার হ্যাপা। এভাবেই প্রতিদিন পার করতে হচ্ছে। কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিকারহীন বিরক্তি নিয়ে কত দিন আর পার করা যায়? অন্য দিনের মতো সেদিনও একরাশ বিরক্তি, আর ক্রোধ নিয়ে অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরই তিনি সবার মুখেই তেল শব্দটা শুনতে পেলেন।
এই অফিসে আবার তেলের চল আছে। তাঁর এই অফিসের বড় কর্তা বেশ তেল পছন্দ করেন। অধস্তনরা নিয়মিত বড় কর্তাকে বেশ ভালোই তেল দিতে অভ্যস্ত। অনেক সময় তেল দেওয়ার প্রতিযোগিতা হয়। তেলের গুণে তাঁকে ল্যাং মেরে সেদিনের ছোকরা প্রমোশন নিয়ে ওপরে চলে যায়। তিনি পড়ে থাকেন। কারণ দেওয়ার মতো তেল তাঁর নেই। অথবা তিনি তেল দিতে জানেন না। ওই অফিসে চাকরির সুবাদে এটা তিনি সম্যক বুঝেছেন যে তেল দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। এটা একটা বড় ধরনের শিল্প। তেল শিল্পে ব্যুৎপত্তি অর্জনের জন্য অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। বিসর্জন না দিলে যে বড় কিছু অর্জন করা যায় না, এটাও ভদ্রলোক বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন। এত কিছু জেনে এবং বুঝেও ভদ্রলোক এই শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। কাজেই পিছিয়ে রয়েছেন। ঘরের স্ত্রীকেই প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে বশে রাখতে পারছেন না, অফিসের বড় কর্তা তো কোন ছার_এই বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেন তিনি। নিজের চরকার তেল দেওয়া জাতীয় একটা আপ্তবাক্য অনেক ছোটবেলায়ই শুনেছেন। কিন্তু সেই চরকার সন্ধানই এ জীবনে করতে পারেননি। তেল আর দেবেন কোথায়?
বাড়িতে ফিরে কোনোমতে হাত-মুখ ধুয়ে পত্রিকার পাতায় মুখ গুঁজে দিলেন। হ্যাঁ, খবরটা পেয়ে গেলেন। এই তো খবর। এত বড় খবর কেমন করে দৃষ্টি এড়িয়ে গেল তাঁর! বিস্মিত হলেন ভদ্রলোক। ব্যবসায়ীরা আবার তেলের দাম বাড়িয়ে দেবেন। তেলের দাম লিটারে পনেরো টাকা বাড়াবেন। কেমন করে চলবে তবে? ভদ্রলোক হিসাব করতে বসবেন, এমন সময় আরেকটি খবরে চোখ আটকে গেল তাঁর। মিলগেটে চিনির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেজিতে আট টাকা বাড়ছে চিনির দাম। তার মানে, ভোক্তাপর্যায়ে সেটার দামও বাড়বে। এত দিন তেল নিয়ে নানা তেলেসমাতি হয়েছে। এবার চিনি নিয়েও ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়ে গেল। চিনির দাম বাড়বে_এমন খবরে মুখটা তেতো হয়ে গেল তাঁর। এবার চিনি ছাড়া চা অভ্যেস করতেই হবে। পায়েসের আয়েশও গেল। খবর পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তাঁর। রেগে গেলেন তিনি। রাগের মাথায় কাগজটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে মনে মনে বললেন, রাবিশ।
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
No comments