জনসচেতনতা ও আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ চাই-ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনা
ঈদের আগে ও পরে গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে বলে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। তবে সব দুর্ঘটনার খবর যে পত্রিকায় এসেছে, তা বলা যাবে না। বিড়ম্বনার ভয়ে অনেকে থানা-পুলিশকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করে না।
সে ক্ষেত্রে অনেক দুর্ঘটনার খবর অজানাই থেকে যায়। তার পরও বলব, সড়কপথের বেহাল অবস্থা ও চালকদের বেপরোয়া যান চালনার বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় এবং নাগরিক সমাজের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টরা কিছুটা সজাগ ছিল বলে ধারণা করা যায়। তাই ঈদের ছুটিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। কিন্তু দুর্ঘটনা বড় হোক বা ছোট হোক, এর ক্ষতি অপূরণীয়।
আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত দুর্ঘটনার কারণ সড়কপথের সার্বিক অব্যবস্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ ও বেহাল সড়ক, অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক এবং বেপরোয়া যান চালনা। এ ছাড়া পথচারীদের সচেতনতার অভাবের কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এবারের দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন। এরপর আছেন ট্রাকচালক বা আরোহীরা। মোটরসাইকেলের চালকদের মধ্যে বেপরোয়া ভাব লক্ষ করা যায়। একটু ফাঁক পেলেই তাঁরা ভারী যানবাহন অতিক্রম করেন, যা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে।
দ্বিতীয়ত, ট্রাকে যাত্রী পরিবহন বেআইনি হলেও অনেক সময় দরিদ্র মানুষ আর্থিক সাশ্রয়ের কারণে ট্রাকে ভ্রমণ করে থাকে। তাদের কাছে জীবনের চেয়ে অর্থের মূল্য বেশি। এই শ্রেণীর লোকদের জন্য সাশ্রয়ী ভাড়ায় ট্রেনে যাত্রার ব্যবস্থা করলে তারা ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে উঠবে না। মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা মেনে চলাসহ আইনের যথাযথ প্রয়োগও দুর্ঘটনা কমাতে পারে।
সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ। সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ট্রাফিক পুলিশ, যাত্রী, চালক, পথচারী—দুর্ঘটনা রোধে সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক নির্মাণ যেমন ত্রুটিমুক্ত হতে হবে, তেমনি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না তো বটেই, কখনো কখনো তা সারা দেশেরও কান্না হয়ে ওঠে—সম্প্রতি মানিকগঞ্জের দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যু সে কথাটিই আমাদের জানান দিয়ে গেল।
আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত দুর্ঘটনার কারণ সড়কপথের সার্বিক অব্যবস্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ ও বেহাল সড়ক, অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক এবং বেপরোয়া যান চালনা। এ ছাড়া পথচারীদের সচেতনতার অভাবের কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এবারের দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন। এরপর আছেন ট্রাকচালক বা আরোহীরা। মোটরসাইকেলের চালকদের মধ্যে বেপরোয়া ভাব লক্ষ করা যায়। একটু ফাঁক পেলেই তাঁরা ভারী যানবাহন অতিক্রম করেন, যা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে।
দ্বিতীয়ত, ট্রাকে যাত্রী পরিবহন বেআইনি হলেও অনেক সময় দরিদ্র মানুষ আর্থিক সাশ্রয়ের কারণে ট্রাকে ভ্রমণ করে থাকে। তাদের কাছে জীবনের চেয়ে অর্থের মূল্য বেশি। এই শ্রেণীর লোকদের জন্য সাশ্রয়ী ভাড়ায় ট্রেনে যাত্রার ব্যবস্থা করলে তারা ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে উঠবে না। মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা মেনে চলাসহ আইনের যথাযথ প্রয়োগও দুর্ঘটনা কমাতে পারে।
সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ। সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ট্রাফিক পুলিশ, যাত্রী, চালক, পথচারী—দুর্ঘটনা রোধে সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক নির্মাণ যেমন ত্রুটিমুক্ত হতে হবে, তেমনি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না তো বটেই, কখনো কখনো তা সারা দেশেরও কান্না হয়ে ওঠে—সম্প্রতি মানিকগঞ্জের দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যু সে কথাটিই আমাদের জানান দিয়ে গেল।
No comments