বিশেষ সাক্ষাৎকার : এম হাফিজউদ্দিন খান-ঋণ করে ঘি খাওয়ার মানসিকতা দূর করতে হবে

সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বিশেষ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ ও জাতীয় বাজেট ২০১১-১২ বিষয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তফা হোসেইন
কালের কণ্ঠ : সংবিধান সংশোধনবিষয়ক সংসদীয় বিশেষ কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।


তাদের সুপারিশে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের মূল চার নীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা আছে। আবার বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও থাকছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এম হাফিজউদ্দিন খান : সরাসরি ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশের পক্ষে অবাস্তব। যেমন ওই সংবিধানে মূল চার নীতির একটি ছিল সমাজতন্ত্র। এখন এই সমাজতন্ত্র কোথাও আছে? অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আমাদের এখানে সমাজতন্ত্র নেই। সর্বত্র চলছে ক্যাপিটালিজম। ফলে সমাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব হবে? ধরুন ধর্মনিরপেক্ষতার কথা। আমাদের এখানে সামরিক আইন জারি করে কিছু অপকর্ম করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি তারা ঘটিয়েছে। তারা সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ঢুকিয়েছে। তারা রাষ্ট্রধর্মকেও ঢুকিয়েছে। আরেকটা বিষয় দেখেন, সেই সময় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুক্রবার দিন সাপ্তাহিক ছুটি করার। এগুলোর একটার জন্যও কিন্তু কোনো জনদাবি ছিল না। পাকিস্তান আমলে যখন রাষ্ট্রীয় পরিচয় ছিল ইসলামী রাষ্ট্র, তখনো সাপ্তাহিক ছুটি ছিল রবিবার আর বাংলাদেশে তা করা হলো শুক্রবার। এত দিন পর এসে এগুলো বাদ দেওয়ার বিষয়টি খুবই কঠিন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রেখে ধর্মনিরপেক্ষতা কি থাকতে পারে? এটা নিশ্চয়ই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন তাহলে সেটা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী।
কালের কণ্ঠ : এর থেকে সংবিধানকে মুক্ত রাখার উপায় কী?
এম হাফিজউদ্দিন খান : বাংলাদেশের মানুষের যে বোধ সে কারণে এ মুহূর্তে সেগুলো বাদ দেওয়াও সম্ভব নয়। আবার সাধারণ মানুষের মন জয় করে তাদের বুঝিয়ে অযৌক্তিক বিষয়গুলোকে সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার মতো নেতৃত্বও আমাদের এখানে নেই। একটা উদাহরণ দিই। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচনা হলো। সেই সময় প্রচণ্ড বিতর্ক তৈরি হলো, মুসলিম ও অমুসলিম এই দুই ধারায় নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে হবে। বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন সিদ্ধান্ত হলো পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তখন নেতৃত্ব নিলেন সোহরাওয়ার্দী সাহেব। তিনি মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হলেন, ধর্মভিত্তিক বিভাজন ঠিক নয়। এক দেশের নাগরিক, তাই এক রকম নির্বাচনই হওয়া উচিত। তাই হলো। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো সে রকম নেতা যদি এখন থাকতেন তাহলে হয়তো এ থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।
কালের কণ্ঠ : সংসদীয় কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সুপারিশ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
এম হাফিজউদ্দিন খান : তাত্তি্বকভাবে বলতে গেলে গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক ধ্যানধারণার বিষয়টি ভিন্নতর। আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি সেখানে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সে প্রশ্নটি কিন্তু আসতেই পারে। আগে কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার ব্যাপারে কিছু বলেনি। যে মুহূর্তে আদালতে রায় হলো ঠিক ওই সময় বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে গেল আর আওয়ামী লীগ গেল তার বিপক্ষে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে যাই বলুন না কেন, সাহাবুদ্দীন আহমদসহ যে নির্বাচন হয়েছে বাংলাদেশে সেগুলো কিন্তু জনগণ গ্রহণ করেছে। বলতে গেলে এই নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। তাই নয় কি?
কালের কণ্ঠ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সংবিধানে সনি্নবেশিত হবে। এ বিষয়ে আপনার মত কী?
এম হাফিজউদ্দিন খান : আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক এটা সংবিধানে সনি্নবেশিত করার প্রয়োজন পড়ে না। সংবিধানেই ১৭ এপ্রিলের স্বাধীনতার ইশতেহারটি রয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে। তার পরও যদি কিছু বলতে চান, ৭ মার্চকে বাদ দেবেন কিভাবে? সেখানেও স্পষ্টই বলা আছে, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার পরও কেউ কেউ এটা অস্বীকার করতে চায়; এটা নিতান্তই রাজনৈতিক বক্তব্য। তাই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে সংবিধানে সনি্নবেশিত করার কি প্রয়োজন আছে?
কালের কণ্ঠ : পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী নাগরিকদের বিষয়ে সংবিধানে নিশ্চয়তা প্রদানের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
এম হাফিজউদ্দিন খান : পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। তাদের মেইন স্ট্রিমে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিতে হবে। তাদের উপেক্ষা করা ঠিক নয়। তারা এ দেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী তারা।
কালের কণ্ঠ : সংসদে বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে। বলা হয়েছিল, ২০১০-২০১১ অর্থবছরের বাজেট হবে দারিদ্র্য মোচনের বাজেট। কতটা সফল হয়েছে বলে মনে করেন?
এম হাফিজউদ্দিন খান : আসলে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি প্রয়োজন। আমাদের এখানে যেসব বাজেট হয় সেগুলোতে ওই ধরনের সুচিন্তিত কর্মসূচি অনুপস্থিত থাকে। আর যদি কিছু থাকেও, তাও আবার বাস্তবায়নে ঘাটতি থেকে যায়। এর জন্য একবার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাদ দিয়ে পিআরএসপি করা হলো। আবার পিআরএসপি বাদ দিয়ে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ফিরে যাচ্ছে। আসলে আমাদের এখানে পরিকল্পনাগুলো কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সে রকম যাচাই কিংবা জরিপ কাজ কিন্তু হয় না। তবে বিগত বাজেটের আলোকে কিছু অ্যাডহক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেমন কিছু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী চালু করা হয়েছিল। এগুলো বাস্তবায়নে অনেক বিপত্তি আসে। বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সঠিকভাবে হচ্ছে কি? কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই। ৪০০ থেকে ৫০০ কারখানা হয়ে আছে। সেগুলো রান করতে পারছে না বিদ্যুতের অভাবে। সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। বেসরকারি খাতগুলোকে সহজভাবে চলার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ প্রাইভেট সেক্টরেই কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। হয়রানিও বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের জন্য সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু ঘাটতি তার পরও রয়ে গেছে। এর জন্য প্রচুর ফার্নেস ও ডিজেল তেল আমদানি করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে জ্বালানি তেল আমদানি করতে গিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে। রিজার্ভে গিয়ে চাপ পড়বে। এক হাজার কোটি ডলার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে যাবে।
কালের কণ্ঠ : পিপিপি বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
এম হাফিজউদ্দিন খান : গত দুই বাজেটেই পিপিপিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কই, কোনো টাকাই তো খরচ করতে পারেনি।
কালের কণ্ঠ : মূল্যস্ফীতির বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
এম হাফিজউদ্দিন খান : নির্দিষ্ট আয়ের সাধারণ মানুষের রিলিফ আসবে কি? তাদের যে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে হবে। এবারের বাজেটে তাদের বিষয়টি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা উল্লেখ থাকতে হবে। বাজেট সম্পর্কে যতটা জানা গেছে তাতে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় এখনো। দেশে আমদানি বেড়েছে। রপ্তানিও বেড়েছে। কিন্তু আমদানি বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো করা না গেলে দারিদ্র্য বিমোচন কতটা সম্ভব হবে তা বলা মুশকিল। আবারও বলতে হবে দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে কি না, হলেও কতটা হয়েছে তার কোনো যাচাই আমাদের এখানে হয় না। যা কিছু হয় তাও বেসরকারিভাবে হয়। সেগুলোর ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না। সরকারিভাবেও করা দরকার আছে।
কালের কণ্ঠ : ব্যক্তি পর্যায়ে করসীমা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন কর সুবিধা আরো বাড়ানোর জন্য। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
এম হাফিজউদ্দিন খান : আমাদের চাকরির শুরুতে বার্ষিক ছয় হাজার টাকা আয় হলেই কর দিতে হতো। এখন তো পরিপ্রেক্ষিত পরিবর্তিত হয়েছে। মানুষের আয় ও ব্যয় দুটিই বেড়েছে। মুদ্রার মানও পরিবর্তিত হয়েছে। এমন অবস্থায় এক লাখ ৬৫ হাজার টাকার ওপর কর দেওয়ার বিধান পরিবর্তন হওয়া দরকার। এই সীমা অন্তত আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত হওয়া উচিত। করের হার কমিয়ে আনার প্রয়োজন আছে। এতে কর আদায় বাড়বে। মানুষের মধ্যে কর দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। এখন ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। এটা তো খুবই বেশি। এর জন্য কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যদিকে আমি যে করটা দেব তা কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটাও আমার জানার অধিকার আছে। আমার দেওয়া করের টাকা নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলা না হয় সেই বিষয়টি দেখা দরকার। আবার করদাতার ওপর যে হয়রানি তা কিন্তু বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা-গবেষণা অনেক হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না। কর ন্যায়পালের একটা পদ করা হয়েছিল। কর ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োজিত কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পর দেখা গেল ওই বিভাগটিও বিলুপ্ত হয়ে গেল। করদাতারা এখন কোথাও গিয়ে নিজের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না।
কালের কণ্ঠ : সশস্ত্র বাহিনীর বাজেট নিয়ে কথা হয়। এ ব্যাপারে যদি কিছু বলেন।
এম হাফিজউদ্দিন খান : আমাদের দেশের সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। আর্মড ফোর্স ডিভিশনের অধীনে। এটা ঠিক নয়। সংসদে তাদের জন্য যে বাজেট ঘোষণা করা হয় সেখানে সব কিছুই উহ্য রাখা হয়। অতি সংক্ষেপে তাদের বাজেট শেষ করে দেওয়া হয়। ডিফেন্স পলিসি সম্পর্কে মানুষের জানার প্রয়োজন আছে। তবে কিছু বিষয় আছে যা অত্যন্ত গোপনীয়। সেই বিষয়গুলো গোপন রেখে বাকিগুলো সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন আছে। সংসদকে জানতে দিতে হবে। দেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখা ঠিক নয়।
কালের কণ্ঠ : শোনা যাচ্ছে, বড় অঙ্কের বাজেট ঘোষণা হচ্ছে এবার, যা বৈদেশিক ঋণনির্ভর হবে বলেও জানা গেছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
এম হাফিজউদ্দিন খান : আমার মনে হচ্ছে এবারও একটা উচ্চাভিলাষী বাজেট আসছে আমাদের জন্য। আমাদের এডিপি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ৪৫ শতাংশ নির্ভর করতে হয় বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। মাত্র ৫৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে। এতেই বোঝা যায়, আমাদের ওপর ঋণের দায়টা কেমন। প্রতিবছরই বিরাট অঙ্কের টাকা চলে যায় বৈদেশিক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে। যদি এই ঋণ নিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারা যায় তাহলে বাজেটের দরকার কী? বাজেট জিডিপিতে সুপ্রভাব ফেলতে হবে। ঋণ নেওয়ার সময় ভাবতে হবে ঋণ দিয়ে আমি কী করব। অপ্রয়োজনীয় খাতের জন্য ঋণ নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। কী জন্য ঋণ নিতে হবে তা দেখতে হবে। এখন পদ্মা ব্রিজের জন্য যে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার প্রয়োজন আছে। যেমন যমুনা ব্রিজের জন্য নেওয়া ঋণের টাকা এরই মধ্যে আয় হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি যদি ভাঙ্গায় বিমানবন্দর করার জন্য ঋণ গ্রহণ করি তাহলে সেই ঋণ আমার জন্য কতটা প্রয়োজন তা ভেবে দেখতে হবে। আমাদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে ঋণ তো করতেই হবে। তবে ঋণ করে ঘি খাওয়ার মানসিকতা যেন না হয়। কারণ মানুষের কথা আমাদের ভাবতে হবে। এই মানসিকতা বাদ দিতে হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এম হাফিজউদ্দিন খান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.