এখনো কি ঢাকার দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়নি?-বসবাসের অনুপযোগী শহর
১৪০টি শহরের একটি তালিকায় ঢাকার স্থান ১৩৯। দীর্ঘদিন এই স্থানটি ধরে রেখেছে বাংলাদেশের রাজধানী। অর্থাৎ বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী শহরের খেতাব থেকে মাত্র এক নম্বর পিছিয়ে আমাদের এই ঢাকা। ছয় মাস পর পর মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হয়। ঢাকা ২০১০ সালের শুরুতে যেখানে ছিল, আজও সেখানেই।
এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়া মানেই সরকার বা নীতিনির্ধারক পর্যায়ে তা প্রত্যাখ্যান করা বাংলাদেশের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকার ব্যাপারেও তা ঘটতে পারে। কিন্তু এই শহরে যাঁরা বাস করেন, এই মূল্যায়ন তাঁদের জন্য বেদনাদায়ক হলেও রূঢ় বাস্তবতাকে অস্বীকার বা অগ্রাহ্য করা যাবে না।
যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট নামের একটি প্রতিষ্ঠান তালিকা তৈরির এই কাজটি করে একটি শহরের নানা কিছু বিবেচনায় নিয়ে; যেমন—বসবাসের সুযোগ-সুবিধা, জনসংখ্যার ঘনত্ব, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা-সুবিধা পাওয়ার সুযোগ, অপরাধের হার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, পরিবেশ, যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামোর গুণগত মান ইত্যাদি। এসব বিষয় যেহেতু পরিবর্তনশীল, মানে এসব ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুযোগ থাকায় তালিকায় পরিবর্তন হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত তালিকায় কানাডার ভ্যানকুভার ছিল বিশ্বের বসবাস উপযোগী শহরের শীর্ষে। দীর্ঘদিন তারা এ স্থানটি ধরে রেখেছিল। এবারের তালিকায় সেই শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।
ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করার চেষ্টা ও উদ্যোগের নানা কথা শোনা যায়; কিন্তু কাজের কাজ যদি কিছু হতো, তবে তালিকায় ঢাকা আরও এগিয়ে আসত। বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অনুপযোগী শহর হচ্ছে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে, আর এর পরই আমাদের ঢাকা! যেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়, তার দু-একটি ক্ষেত্র ধরে পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চালানো হলেও ঢাকার কপাল থেকে এই কলঙ্কের টিপ মোছা যেত। বছরের পর বছর এ ধরনের তালিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে, আমাদের সরকার বা নীতিনির্ধারকদের টনক বলে যদি কিছু থাকত, তবে তা নড়ার কথা ছিল। এই রাজধানী শহরটির মান উন্নয়নে কার্যকর ও পরিকল্পিত কিছু উদ্যোগ দেখা যেত।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এখন সরকার বলে কিছু নেই। যুদ্ধ চলছে সেখানে। অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব কারণে ১০৭ নম্বর স্থান থেকে ১৩৫ নম্বরে চলে এসেছে ত্রিপোলি। সব বিবেচনায় ঢাকার মান এর চেয়েও খারাপ বলেই এর স্থান ১৩৯ নম্বরে। এখনো কি ঢাকার দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়নি নীতিনির্ধারকদের?
যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট নামের একটি প্রতিষ্ঠান তালিকা তৈরির এই কাজটি করে একটি শহরের নানা কিছু বিবেচনায় নিয়ে; যেমন—বসবাসের সুযোগ-সুবিধা, জনসংখ্যার ঘনত্ব, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা-সুবিধা পাওয়ার সুযোগ, অপরাধের হার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, পরিবেশ, যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামোর গুণগত মান ইত্যাদি। এসব বিষয় যেহেতু পরিবর্তনশীল, মানে এসব ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুযোগ থাকায় তালিকায় পরিবর্তন হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত তালিকায় কানাডার ভ্যানকুভার ছিল বিশ্বের বসবাস উপযোগী শহরের শীর্ষে। দীর্ঘদিন তারা এ স্থানটি ধরে রেখেছিল। এবারের তালিকায় সেই শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।
ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করার চেষ্টা ও উদ্যোগের নানা কথা শোনা যায়; কিন্তু কাজের কাজ যদি কিছু হতো, তবে তালিকায় ঢাকা আরও এগিয়ে আসত। বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অনুপযোগী শহর হচ্ছে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে, আর এর পরই আমাদের ঢাকা! যেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়, তার দু-একটি ক্ষেত্র ধরে পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চালানো হলেও ঢাকার কপাল থেকে এই কলঙ্কের টিপ মোছা যেত। বছরের পর বছর এ ধরনের তালিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে, আমাদের সরকার বা নীতিনির্ধারকদের টনক বলে যদি কিছু থাকত, তবে তা নড়ার কথা ছিল। এই রাজধানী শহরটির মান উন্নয়নে কার্যকর ও পরিকল্পিত কিছু উদ্যোগ দেখা যেত।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এখন সরকার বলে কিছু নেই। যুদ্ধ চলছে সেখানে। অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব কারণে ১০৭ নম্বর স্থান থেকে ১৩৫ নম্বরে চলে এসেছে ত্রিপোলি। সব বিবেচনায় ঢাকার মান এর চেয়েও খারাপ বলেই এর স্থান ১৩৯ নম্বরে। এখনো কি ঢাকার দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়নি নীতিনির্ধারকদের?
No comments