সাংবাদিক দম্পতি হত্যা-খুনি শনাক্ত হয়নি, আলামত অস্পষ্ট

এক সপ্তাহেও সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগে আছে নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার। গতকালও মামলার উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র।গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত


উপকমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আঙুলের ছাপ বিশ্লেষণ করে সিআইডির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলামত অস্পষ্ট। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদনটি ডিবির হাতে আসে। তিনি বলেন, এখনো আলামত সংগ্রহ চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ওই ভবনের তিনজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
অস্পষ্ট আলামতের বিষয়ে সিআইডির অভিজ্ঞ একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের অপরাধস্থলগুলোর ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অপরাধস্থলে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার লোকেরা এসে আলামত সংগ্রহ করার আগে সবাই সেখানে বাধাহীনভাবে ঢুকে পড়ে। সরওয়ার-মেহেরুন হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও ওই ঘরটি থেকে আলামত সংগ্রহের আগে প্রচুর লোক সেখানে ঢুকেছিল। একজনের হাতের ছাপের ওপর আরেকজনের হাতের ছাপ পড়লে সেটা স্পষ্ট পাওয়া যাবে না। এ রকম অনেক আলামতই নষ্ট হয়।
এদিকে গতকাল মেহেরুনের মা নুরুন্নাহার মির্জা গণমাধ্যমকে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে ইন্দিরা রোডের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে অচিরেই তিনি অনশনে যাবেন। ঘটনার কারণ (মোটিভ) যা-ই হোক না কেন, তা উদ্ঘাটন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান নুরুন্নাহার।
নুরুন্নাহার বলেন, তদন্তে গাফিলতি আছে বলে পরিবার মনে করছে না। কিন্তু এক সপ্তাহেও খুনি শনাক্ত না হওয়ায় পরিবার উদ্বিগ্ন। কান্নায় ভেঙে পড়ে নুরুন্নাহার বলেন, ‘আমি তো চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিন ধরে নিহত দম্পতির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘকে বিভিন্ন পার্কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কাজে তাকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।
১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.