১১ হাজার ১০৫ কোটি টাকার ঋণ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই এখন ঝুঁকিতে-শেয়ারবাজার, নাকি ঋণের বাজার by সুজয় মহাজন
দেশের শেয়ারবাজারে আটকে আছে মুদ্রাবাজারের প্রায় ১১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। শেয়ারের বিপরীতে ঋণ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের এই অর্থ বিতরণ করেছে ঋণদাতা ৫৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস। বিপুল অঙ্কের এই ঋণের টাকার জোগান দিয়েছে মুদ্রাবাজারের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
ঋণের চক্রে আটকা পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। একে অন্যের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করায় শেয়ারবাজার এখন কার্যত ঋণের বাজারেই পরিণত হয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত থাকায় বিতরণ করা ঋণ আদায়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজারে শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ঋণগ্রস্ত বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী অনেক আগেই নিজের মূলধন হারিয়ে ফেলেছেন। আর এখন দরপতনে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে।
মুদ্রাবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে টাকা ধার নিয়ে তা বাড়তি সুদে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো। কখনো বিনিয়োগকারীর ১০০ টাকার বিপরীতে ২০০ টাকা (১: ২), কখনো ১০০ টাকার বিপরীতে ১০০ টাকা (১: ১) হারে বা একেক সময় একেক হারে এসব ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির সহজলভ্যতা একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের ঋণ গ্রহণে প্রলুব্ধ করেছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ব্যবসার নামে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ বিতরণ করেছে।
যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে টাকা ধার দিয়েছে, তার বিপরীতে সুদের হিসাব করে চলেছে। একইভাবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে ঋণ বিতরণ করেছে, তার বিপরীতেও সুদের হিসাব করছে। তাই প্রতিদিনই সুদের পরিমাণ বাড়লেও আদায় বাড়ছে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের মৌখিক নির্দেশের কারণে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলও বন্ধ রয়েছে। এতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষে ঋণ সমন্বয়ও জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এতে আপাতত স্বস্তিতে আছেন অসংখ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী।
সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী জানান, বাজারে মন্দাবস্থা চলতে থাকলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই ঋণখেলাপি হতে শুরু করবে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি বলে আসছি, আমাদের শেয়ারবাজার ঋণের বাজারে পরিণত হয়েছে। বাজারের ঊর্ধ্বগতির সময় বহু লোক শেয়ারবাজার সম্পর্কে না জেনে না বুঝে লাভের আশায় ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। একইভাবে বাজারের ঊর্ধ্বগতির সময় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন ছিল না। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণঝুঁকি-ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কোনো পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে বাজারে দরপতন ঘটায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, ধারাবাহিক দরপতনের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বর্তমানে ঋণ সমন্বয়ে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজারে আটকে গেছে। মুদ্রাবাজারের সাম্প্রতিক তারল্য সংকটের জন্য এটিও একটি কারণ।
এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে মন্দাভাব অব্যাহত থাকায় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আদায়-প্রক্রিয়া ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এই ঝুঁকি কমানোর স্বল্পমেয়াদি কোনো সমাধানও নেই। বাজার ভালো না হলে এই ঝুঁকিও কমবে না। তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে যখন ধস নেমেছিল, তখন বাজার খুব বেশি ঋণনির্ভর ছিল না। ফলে ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন শেয়ার ধরে রেখে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাজার এত বেশি ঋণনির্ভর হয়ে গেছে যে ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করাও কঠিন। কারণ, বিনিয়োগকারীরা যত বেশি ধৈর্য ধরবেন, ঋণের খরচও তত বাড়তে থাকবে। এমন এক অবস্থায় ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অবস্থা সত্যিই করুণ। তা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতির আশু সমাধানের কোনো পথ আছে বলে আমার মনে হয় না। বাজার ভালো হলেই কেবল বিনিয়োগকারীরা ঋণের এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন।’
গত জানুয়ারি মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে ঋণদাতা ২৬টি মার্চেন্ট ব্যাংকের বিতরণ করা অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। আর ২৭টি ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক ডিলারের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। এসইসি সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে ঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস। জানুয়ারি মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে থাকা এনবিএল সিকিউরিটিজের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৩৮ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পিএফআই সিকিউরিটিজের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৬৭ কোটি টাকা।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, তাদের বিতরণ করা ঋণ প্রায় ৫৬২ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরও কেউ যদি জেনে-বুঝে এই বাজারে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে তাঁকে সঞ্চিত অর্থের একটি অংশ নিয়েই বাজারে আসা উচিত। সেটি হলে যদি কোনো বিনিয়োগকারী স্বল্পমেয়াদি ক্ষতিগ্রস্তও হন, তার পরও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁর ঝুঁকি কম। কিন্তু ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যায়।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত থাকায় বিতরণ করা ঋণ আদায়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজারে শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ঋণগ্রস্ত বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী অনেক আগেই নিজের মূলধন হারিয়ে ফেলেছেন। আর এখন দরপতনে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে।
মুদ্রাবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে টাকা ধার নিয়ে তা বাড়তি সুদে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো। কখনো বিনিয়োগকারীর ১০০ টাকার বিপরীতে ২০০ টাকা (১: ২), কখনো ১০০ টাকার বিপরীতে ১০০ টাকা (১: ১) হারে বা একেক সময় একেক হারে এসব ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির সহজলভ্যতা একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের ঋণ গ্রহণে প্রলুব্ধ করেছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ব্যবসার নামে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ বিতরণ করেছে।
যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে টাকা ধার দিয়েছে, তার বিপরীতে সুদের হিসাব করে চলেছে। একইভাবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে ঋণ বিতরণ করেছে, তার বিপরীতেও সুদের হিসাব করছে। তাই প্রতিদিনই সুদের পরিমাণ বাড়লেও আদায় বাড়ছে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের মৌখিক নির্দেশের কারণে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলও বন্ধ রয়েছে। এতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষে ঋণ সমন্বয়ও জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এতে আপাতত স্বস্তিতে আছেন অসংখ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী।
সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী জানান, বাজারে মন্দাবস্থা চলতে থাকলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই ঋণখেলাপি হতে শুরু করবে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি বলে আসছি, আমাদের শেয়ারবাজার ঋণের বাজারে পরিণত হয়েছে। বাজারের ঊর্ধ্বগতির সময় বহু লোক শেয়ারবাজার সম্পর্কে না জেনে না বুঝে লাভের আশায় ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। একইভাবে বাজারের ঊর্ধ্বগতির সময় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন ছিল না। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণঝুঁকি-ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কোনো পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে বাজারে দরপতন ঘটায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, ধারাবাহিক দরপতনের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বর্তমানে ঋণ সমন্বয়ে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজারে আটকে গেছে। মুদ্রাবাজারের সাম্প্রতিক তারল্য সংকটের জন্য এটিও একটি কারণ।
এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে মন্দাভাব অব্যাহত থাকায় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আদায়-প্রক্রিয়া ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এই ঝুঁকি কমানোর স্বল্পমেয়াদি কোনো সমাধানও নেই। বাজার ভালো না হলে এই ঝুঁকিও কমবে না। তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে যখন ধস নেমেছিল, তখন বাজার খুব বেশি ঋণনির্ভর ছিল না। ফলে ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন শেয়ার ধরে রেখে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাজার এত বেশি ঋণনির্ভর হয়ে গেছে যে ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করাও কঠিন। কারণ, বিনিয়োগকারীরা যত বেশি ধৈর্য ধরবেন, ঋণের খরচও তত বাড়তে থাকবে। এমন এক অবস্থায় ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অবস্থা সত্যিই করুণ। তা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতির আশু সমাধানের কোনো পথ আছে বলে আমার মনে হয় না। বাজার ভালো হলেই কেবল বিনিয়োগকারীরা ঋণের এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন।’
গত জানুয়ারি মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে ঋণদাতা ২৬টি মার্চেন্ট ব্যাংকের বিতরণ করা অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। আর ২৭টি ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক ডিলারের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। এসইসি সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে ঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস। জানুয়ারি মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে থাকা এনবিএল সিকিউরিটিজের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৩৮ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পিএফআই সিকিউরিটিজের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৬৭ কোটি টাকা।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, তাদের বিতরণ করা ঋণ প্রায় ৫৬২ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরও কেউ যদি জেনে-বুঝে এই বাজারে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে তাঁকে সঞ্চিত অর্থের একটি অংশ নিয়েই বাজারে আসা উচিত। সেটি হলে যদি কোনো বিনিয়োগকারী স্বল্পমেয়াদি ক্ষতিগ্রস্তও হন, তার পরও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁর ঝুঁকি কম। কিন্তু ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যায়।
No comments