কালান্তরের কড়চা-হুংকার কখনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না, তাকে সাফল্যও দেয় না by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা সরকারপ্রধানের পেছনে যদি জনসমর্থন থাকে এবং তাঁর ভূমিকা গণবিরোধী না হয়, তাহলে তিনি নরম ভাষায়, রাজনীতির সব শিষ্টতা বজায় রেখে কথা বলেন, কিন্তু শক্তভাবে অ্যাকশনে বা আন্দোলনে যান। তাঁদের মুখে হুংকার ও তর্জন-গর্জন তখনই শোনা যায়, যখন তাঁদের বাহুতে শক্তি থাকে না, পেছনে জনসমর্থন থাকে না,


অ্যাকশন অথবা আন্দোলনেরও সঠিক কোনো ভিত্তি থাকে না। নিজেদের দুর্বলতার কথা জেনেই তখন তাঁরা অসারের তর্জন-গর্জন শুরু করেন।
কথাটা বলেছিলেন চলি্লশের দশকে অবিভক্ত ভারতের সমাজতন্ত্রী নেতা রামমনোহর লোহিয়া। কিন্তু তাঁর এ মন্তব্য করার কিছুদিন আগেই কংগ্রেসের কুইট ইন্ডিয়া (ভারত ছাড়ো) দাবির জবাবে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, 'আমি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে নিলামে তোলার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হইনি।' এই হুংকার প্রদানের কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে চার্চিল প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতেই বন্দি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের আপস-আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। চার্চিল জীবিত থাকতেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নিলামে ওঠে (ভারত স্বাধীন হয়ে যায়) এবং কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরুর পাশে তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকেই দাঁড়াতে হয়েছিল। লোহিয়ার কথা কতটা সঠিক, তা সেদিন প্রমাণ হয়েছিল।
আরো উদাহরণ আছে। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে যখন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন শুরু করেন, তখন পাকিস্তানের ফৌজি প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, 'আমি অস্ত্রের ভাষায় মুজিবের ছয় দফার জবাব দেব।' তিনি ছয় দফা আন্দোলন দমনের জন্য অস্ত্রের ভাষা (প্রচণ্ড দমননীতি) প্রয়োগও করেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ঝুলিয়েছিলেন শেখ মুজিব এবং তাঁর সহযোগী ও সমর্থকদের। কিছুদিনের মধ্যে দেখা গেল, গণ-অভ্যুত্থানের ধাক্কায় সেই মুজিবকে মুক্তি দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে তাঁকে নিয়ে আপস-আলোচনায় তিনি গোলটেবিল বৈঠক করছেন।
কমিউনিস্টদের হাতে পরাজিত এবং চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত চিয়াং কাইসেক যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন প্রতিবছর একবার করে হুংকার ছাড়তেন, ওই বছরই তিনি চীনের মূল ভূখণ্ড পুনর্দখল করবেন। কমিউনিস্ট সরকারের নেতাদের তিনি পরামর্শ দিতেন, তাঁরা যেন চিয়াং বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগে রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এই হুংকার ও তর্জন-গর্জনের মধ্য দিয়েই চিয়াং কাইসেকের জীবনাবসান হয়েছে। চীনে কমিউনিস্ট রাজত্ব বহাল রয়েছে।
আজ সোমবার, ৬ জুন, সাতসকালে কালান্তরের কড়চা লিখতে বসে হুংকার ও তর্জন-গর্জনের রাজনীতি নিয়ে যে এত কথা লিখলাম, এর কারণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দিন দুই আগে (৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে হুংকার দিয়ে বলেছেন, এই সরকার ব্যর্থ, তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। নইলে আন্দোলন। তাঁর হুংকার শুনে মনে হলো, প্রয়াত চীনা নেতা চিয়াং কাইসেকের মতো তিনি দৃঢ় নিশ্চিত যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তাঁদের হুমকির ঠেলায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে এবং অচিরেই তিনি ক্ষমতার তখ্তে তাউসে গিয়ে বসবেন।
মনে মনে তিনি হয়তো এও আশা করছেন, যা সাংবাদিকদের কাছে মুখ ফুটে বলতে পারেননি, ক্ষমতায় গিয়ে তিনি কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধীদের কারামুক্ত করে আবার মন্ত্রী পদে বসাবেন। তাদের গাড়িতে আবার স্বাধীন বাংলার পতাকা পতপত করে উড়বে। তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি পুনর্দখল করবেন। মইন-ফখরুদ্দীনদের পারলে চ্যাংদোলা করে বেঁধে এনে এমনভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবেন, যা দেখে বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হবে। একই সঙ্গে শাহজাদা তারেক ও কোকোকে সব দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্ত করে দেশে এনে তিনি নতুন হাওয়া ভবনের অধীশ্বর হওয়ার সুযোগ দেবেন। জেলে আটক সন্ত্রাসীরাও 'জিয়া-সৈনিক', 'বিএনপির নিবেদিত কর্মী' ছাপ নিয়ে দলে দলে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। মুফতি আমিনীকে হয়তো নারী অধিকার-সংক্রান্ত মন্ত্রী দপ্তর খুলে তার মন্ত্রী করে দেবেন। আর ২০০১ সালের কায়দায় আওয়ামী লীগের, সংখ্যালঘুদের, নারী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর এমন নির্যাতন শুরু করবেন যে তাঁরা আবার হাজারে হাজারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাশের বাড়িতে মমতা ব্যানার্জির অনাহূত অতিথি হতে বাধ্য হবেন। পূর্ণিমা শীলরা আর কথা বলার সুযোগ পাবে না।
দৃশ্যটা কল্পনা করা হয়তো বিএনপির নেতা-নেত্রীদের জন্য অত্যন্ত সুখকর। কিন্তু বাস্তবে তা আবার সম্ভব হবে কি? দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বেগম জিয়া ৪ জুনের সংবাদ সম্মেলনে হুংকার দিয়ে যা বলেছেন, তাতে মনে হয়, তাঁদের হুংকারে সরকার পদত্যাগ করে ফেলেছে অথবা ফেলবে। এরপর সব দলমতের নেতাদের ডেকে এনে সবার পরামর্শ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত ইত্যাদি করা হবে। প্রশ্ন হলো, এ ব্যবস্থাগুলো কে করবেন? বিএনপি দলটি কী? সরকারকে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কি বিএনপির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে? না রাষ্ট্রপতির হাতে? বর্তমান রাষ্ট্রপতিকেও বিএনপি মানে কি, না মানবে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলও হুংকার দিয়ে বলেছেন, এসব দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলন (দৈনিক ১৪টি বাস পোড়ানো?) চলবে; সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তাঁর নেত্রীর কথা শুনে মনে হয়, সরকার ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করে ফেলেছে। ক্ষমতা এখন তাঁদের হাতে। এখন তাঁদের পরিকল্পনামতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা ইত্যাদি হবে। এর আগে বিএনপি নেত্রী বলেছেন, 'ঠিক আগের মতো আগের ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।' আগের ব্যবস্থায় আছে, সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হবেন। এ ক্ষেত্রে আবার বর্তমান অবসর গ্রহণকারী প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়া বিএনপি মানবে না। তাদের মতে, এই প্রধান বিচারপতি আওয়ামীপন্থী।
বাংলাদেশের সব পেশার মানুষকে জাতীয়তাবাদী ও আওয়ামীপন্থী_এ দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলায় অভিশপ্ত ব্যবস্থাটির প্রবর্তন বিএনপির হাতে। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল_কোনো আমলেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক, কৃষক এভাবে সব পেশার মানুষকে বিভক্ত করা হয়নি। সব পেশার মানুষেরই নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত ছিল। কিন্তু পেশার ক্ষেত্রে ছিল তাঁদের অভিন্ন পরিচয়। বিএনপি প্রথম এই পরিচয়কে বিভক্ত করে। কেবল জাতীয়তাবাদী ব্যুরোক্রেসি ও জাতীয়তাবাদী আর্মি নামে দেশের সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনকে এখনো প্রকাশ্যে বিভক্ত করা হয়নি, এই যা রক্ষা। এই বিভক্তিটাও প্রকাশ্য হয়ে গেলে বাংলাদেশের সংহতি ও স্বাধীনতাকেও বিপদমুক্ত রাখা যাবে না।
আগের কথায় ফিরে আসি। ৪ জুনের সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া যে কথাগুলো বলেছেন, তার সঙ্গে হুংকার-হুমকি যুক্ত করার কোনোই প্রয়োজন ছিল না। আর দেশের ছোট-বড় কোনো সমস্যার আলোচনার জন্য সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে_এটা হাস্যকর দাবি। প্রথমত, এই সরকার এক বিরাট গণ-ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিপুলভাবে পরাজিত দলের নেত্রীর দাবিতে সেই সরকার পদত্যাগ করতে যাবে কেন? এটা তো মামার বাড়ির আবদার! দেশের শাসন-সংস্কার প্রশ্নে ব্রিটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বহু আলোচনা-বৈঠক হয়েছে। সরকার তো পদত্যাগ করে আলোচনায় বসেনি, কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোও আলোচনার জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করেনি।
সাবেক পাকিস্তানে ছয় দফা আন্দোলনের সময় আইয়ুব সরকার গোলটেবিল বৈঠক থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। আলোচনার জন্য তাদের পদত্যাগ করতে হয়নি, বর্তমান বাংলাদেশের ছোট-বড় কোনো সমস্যার ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের আস্থাভাজন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে কেন? একটি পরাজিত-বিধ্বস্ত বিরোধী দল হুমকি দিলেই কি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে? যারা হুমকি ও হুংকার দিচ্ছেন, তাঁদের পেছনে কত ভাগ জনসমর্থন আছে? জনসমর্থন না থাকলেই কোনো দল বা নেতা-নেত্রী হুংকারের আশ্রয় গ্রহণ করেন। এর পরিণতি কী হয়, তা এ আলোচনার শুরুতেই তুলে ধরেছি।
তবে দেশের মানুষের হয়ে দাবি-দাওয়া তুলে ধরার অধিকার ছোট-বড় যেকোনো রাজনৈতিক দলের আছে, বিএনপিরও আছে। সেই দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামার আগে সরকারের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনায় বসতে হবে। সরকার আলোচনার দুয়ার বন্ধ রাখলে তবেই আন্দোলন। তবে সেই আন্দোলনের পেছনে জনসমর্থন থাকতে হবে। বিএনপির কোনো আন্দোলনের পেছনে জনসমর্থন থাকলে তারা এত ভাঙচুর ও নিরীহ মানুষকে হয়রানির পথে যেত না। দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে পেপার টাইগার সেজে এত হুংকার দিত না।
যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি রাখার জন্য বিএনপির এখন এত তর্জন-গর্জন, একসময় এ ব্যবস্থার তারাই ঘোর বিরোধিতা করেছে। এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যুতেই জনসমর্থন আদায় করতে না পেরে এ ব্যবস্থারই ঘোর সমর্থক সেজে তাকে আন্দোলনের ইস্যু করতে চাইছে। প্রথম কথা, অতীতে বিএনপি তাদের দুই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুুর রহমান বিশ্বাস ও ইয়াজউদ্দিন আহমদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাটিকে যেভাবে কলুষিত করেছে, তাতে এ ব্যবস্থাটির ওপর অনেকেই আস্থা হারিয়েছেন। সম্ভবত এসব কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এ ব্যবস্থাটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। বর্তমান সরকার এ রায়কে কার্যকর করবেন বলেছে মাত্র।
এখন বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে চায়, তাহলে এ আন্দোলন করা হবে কার বিরুদ্ধে, সরকারের, না সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে? বিএনপি তাহলে প্রকাশ্যে বলুক, তারা দেশের আইন-আদালত কিছুই মানে না। যদি সেই হিম্মত তাদের থাকে, তাহলে দেশের বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করুক। দেখুক দেশের মানুষের সমর্থন তারা পায় কি না।
তারা তা পাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমস্যার যদি একটা যুক্তিসংগত সমাধান বিএনপি চায়, তাহলে আদালত অবমাননায় না গিয়ে, সরকারকে পদত্যাগ করার হুমকি-ধমকি না দিয়ে সংসদে ফিরে যাক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কী জন্য, কিভাবে রাখা যায়, নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে শক্তিশালী করে দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে যৌক্তিক প্রস্তাব জোরালোভাবে তুলে ধরুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সম্পর্কে তাঁদের কোনো অনড় অবস্থান নেই। তাঁরা বিরোধী দলের যেকোনো ভালো প্রস্তাব বিবেচনা করতে প্রস্তুত।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সুযোগটা নেয় না কেন? যদি তারা সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব তোলে, তাহলে সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সরাসরি আলোচনার দুয়ার খুলে যেতে পারে। আলাপ-আলোচনায় যদি দেখা যায় সরকার বিরোধী দলের কোনো পরামর্শ শুনতেই রাজি নয়, তখন আন্দোলনে নামার দরজা তো খোলাই থাকবে। দেশের মানুষও বুঝবে, সরকার আলোচনার দ্বারা বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি মানতে রাজি নয়। তখন স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলের আন্দোলনে তারা সমর্থন জানাবে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতির এই স্বাভাবিক ও সুস্থ পথটি অনুসরণ না করে যা করছে, যা বলছে, তাতে মনে হয়, তারা দেশের কোনো সমস্যারই শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় না। চায় সমস্যাগুলো অমীমাংসিত রেখে আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশি-বিদেশি অশুভ শক্তির সমর্থনে রাতারাতি ক্ষমতায় যেতে। আমার মতো এক নগণ্য কলমজীবীর ধারণা, তাদের এ আশা এবার পূর্ণ হবে না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানুষের মনে অনেক ক্ষোভ জমা হচ্ছে, কিন্তু তা বিএনপির প্রতি সমর্থন বাড়াচ্ছে না। বিএনপি নীতি ও চরিত্র না বদলালে সে সমর্থন কোনো দিন ফিরে পাবে না। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা আন্দোলন নয়, আর অরাজকতা সৃষ্টি করে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

লন্ডন, ৬ জুন, সোমবার, ২০১১

No comments

Powered by Blogger.