বিচার বাধাগ্রস্ত’ বলতে ছয়টি বিষয় উল্লেখ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী-ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কথা বললেই ব্যবস্থা! by তানভীর সোহেল
আইনমন্ত্রী বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেওয়াও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল। আবার আইন প্রতিমন্ত্রী ‘বিচার বাধাগ্রস্ত’ বলতে ছয়টি বিষয় উল্লেখ করেছেন। যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধাদানকারীদের বিচারের আওতায় আনতে সংসদে একটি সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরদিন তাঁরা এই অভিমত জানালেন।
তবে এ বিষয়ে নতুন আইন করা না-করা নিয়ে সরকারি দলের মধ্যে দুই রকম মত রয়েছে। এ ধরনের আইন করার উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বিচার ‘বাধাগ্রস্ত’ বলতে কী বোঝানো হবে—জানতে চাইলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে বিচারকে ব্যাহত করা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো, বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, বিচার ঠেকাতে গোপন কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করা, ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কথা বলা, নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা—বাধাগ্রস্ত বলতে এ সবই বোঝাবে।
গত বৃহস্পতিবার সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি ছিল, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিবিধান করা হোক।’ সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ প্রস্তাবটি এনেছিলেন।
গতকাল এশিয়াটিক সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা অকারণে ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করবেন, তাঁদের বিচার করা হবে। কোনো কারণ ছাড়া ‘বিচার মানি না’, ‘ট্রাইব্যুনাল মানি না’—এ ধরনের বক্তব্য বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল।
গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ সংসদে সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের সব সাংসদ সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে নোটিশদাতা সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার বিষয়টি ভোটে দিলে অল্প কয়েকজন সাংসদ প্রস্তাব প্রত্যাহারের পক্ষে মৃদুস্বরে ‘হ্যাঁ’ উচ্চারণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন অন্য সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়। প্রথমে বিরোধিতাকারী আইন প্রতিমন্ত্রীও সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
যোগাযোগ করা হলে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহ্দীন মালিক বলেন, বিচার বাধাগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইন আছে। ফৌজদারি ও আদালত অবমাননা আইনে বিচার সম্ভব। সরকার যেসব বিষয়কে বাধাগ্রস্ত বলছে, তা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ নিয়ে নতুন করে আইন করা হলে তা হবে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা কমবে, এটা কারও কাম্য হতে পারে না।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদে যে সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে আইন করতেই হবে। এরপর তা প্রয়োগ করা যাবে। তবে তার আগে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা’র সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। তবে নতুন আইনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী। আবার সরকারদলীয় সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব অনুযায়ী সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বিচার বাধাগ্রস্ত বলতে কী বোঝানো হবে, সেটা সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন করা অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। কেননা, কীভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে অপরাধের সংজ্ঞায়ন করা সম্ভব নয়।
সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর বিএনপির কয়েকজন নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে কাজটি করেছে। ট্রাইব্যুনাল বাতিল দাবি করায় বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। হয়রানি করে বিএনপির নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই এর উদ্দেশ্য। তবে কোনো কোনো নেতা বলেছেন, বিএনপিকে চাপে রাখতে এটি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সমালোচনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন করা মানুষের বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী। সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছেন। ঢালাওভাবে বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য এবং তা পাস হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালেদা জিয়া কীভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন, তা তো বোধগম্য হচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, কোনো কিছুর বিষয়ে মতামত প্রকাশ করলে যদি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা হবে দুঃখজনক। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় এটা মোটেও কাম্য নয়।
হঠাৎ করে সংসদে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় বিভিন্ন মহল বিস্মিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাও হয়নি। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর গতকাল বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিচার ‘বাধাগ্রস্ত’ বলতে সরকার কী বোঝাবে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা আলাপ-আলোচনা করছেন। আজ এ বিষয়ে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব উত্থাপনকারী সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই এই বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিএনপি-জামায়াত নানাভাবে এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ থেকেই প্রস্তাবটি উত্থাপন জরুরি বলে মনে করেছি। সাংসদেরা এটা গ্রহণ করেছেন।’
বিচার ‘বাধাগ্রস্ত’ বলতে কী বোঝানো হবে—জানতে চাইলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে বিচারকে ব্যাহত করা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো, বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, বিচার ঠেকাতে গোপন কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করা, ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কথা বলা, নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা—বাধাগ্রস্ত বলতে এ সবই বোঝাবে।
গত বৃহস্পতিবার সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি ছিল, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিবিধান করা হোক।’ সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ প্রস্তাবটি এনেছিলেন।
গতকাল এশিয়াটিক সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা অকারণে ট্রাইব্যুনালের বিরোধিতা করবেন, তাঁদের বিচার করা হবে। কোনো কারণ ছাড়া ‘বিচার মানি না’, ‘ট্রাইব্যুনাল মানি না’—এ ধরনের বক্তব্য বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল।
গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ সংসদে সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের সব সাংসদ সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে নোটিশদাতা সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার বিষয়টি ভোটে দিলে অল্প কয়েকজন সাংসদ প্রস্তাব প্রত্যাহারের পক্ষে মৃদুস্বরে ‘হ্যাঁ’ উচ্চারণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন অন্য সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়। প্রথমে বিরোধিতাকারী আইন প্রতিমন্ত্রীও সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
যোগাযোগ করা হলে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহ্দীন মালিক বলেন, বিচার বাধাগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইন আছে। ফৌজদারি ও আদালত অবমাননা আইনে বিচার সম্ভব। সরকার যেসব বিষয়কে বাধাগ্রস্ত বলছে, তা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ নিয়ে নতুন করে আইন করা হলে তা হবে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা কমবে, এটা কারও কাম্য হতে পারে না।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদে যে সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে আইন করতেই হবে। এরপর তা প্রয়োগ করা যাবে। তবে তার আগে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা’র সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। তবে নতুন আইনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী। আবার সরকারদলীয় সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব অনুযায়ী সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বিচার বাধাগ্রস্ত বলতে কী বোঝানো হবে, সেটা সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন করা অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। কেননা, কীভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে অপরাধের সংজ্ঞায়ন করা সম্ভব নয়।
সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর বিএনপির কয়েকজন নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে কাজটি করেছে। ট্রাইব্যুনাল বাতিল দাবি করায় বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। হয়রানি করে বিএনপির নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই এর উদ্দেশ্য। তবে কোনো কোনো নেতা বলেছেন, বিএনপিকে চাপে রাখতে এটি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সমালোচনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন করা মানুষের বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী। সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছেন। ঢালাওভাবে বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য এবং তা পাস হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালেদা জিয়া কীভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন, তা তো বোধগম্য হচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, কোনো কিছুর বিষয়ে মতামত প্রকাশ করলে যদি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা হবে দুঃখজনক। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় এটা মোটেও কাম্য নয়।
হঠাৎ করে সংসদে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় বিভিন্ন মহল বিস্মিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাও হয়নি। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর গতকাল বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিচার ‘বাধাগ্রস্ত’ বলতে সরকার কী বোঝাবে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা আলাপ-আলোচনা করছেন। আজ এ বিষয়ে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব উত্থাপনকারী সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই এই বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিএনপি-জামায়াত নানাভাবে এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ থেকেই প্রস্তাবটি উত্থাপন জরুরি বলে মনে করেছি। সাংসদেরা এটা গ্রহণ করেছেন।’
No comments