যে খবর নাড়া দেয়-ভালোবেসে চলে যেতে নেই
ভালোবাসা দিবসের ঠিক পরের দিনে প্রকাশিত খবরটি শরীর অবশ করে দেওয়ার মতো। যদিও আজকাল খুব কম খবরই আমাদের নাড়া দেয়। নিত্যদিনকার অঘটনের ভিড়ে গোপালগঞ্জে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার খবর বিশেষ দ্রষ্টব্য হয়ে ওঠে সম্ভবত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হওয়ার কারণে।
সাউদ শেখ (১৬) ও মিতু খানম (১৬) নামের প্রেমিক যুগল আত্মাহুতির জন্য বেছে নিয়েছিল ভালোবাসা দিবসটিকেই। রাতের অন্ধকারে তারা উঠে গেছে একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের টাওয়ারে। ওড়না দিয়ে বেঁধেছে দুই হাত, চোখ। তারপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিচে।
(সূত্র: প্রথম আলো, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২)।
‘মনের জানালা’ ছুটির দিনের জনপ্রিয় একটি বিভাগ। প্রতি সপ্তাহে কত শত চিঠি আসে এই বিভাগে। এসব চিঠির লেখকেরা সিংহভাগই তরুণ। তাদের মানসিক সমস্যাগুলোর একটি বড় অংশই হয় হূদয়ঘটিত। সঙ্গী ছেড়ে গেছে। সেই গ্লানি আর হূদয়ভঙ্গের যন্ত্রণা সইতে গিয়ে হিমশিম। পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। লজ্জায়-হতাশায়-দ্বিধায় কাউকে বলাও যাচ্ছে না সব কথা। ড. মেহতাব খানম খুব অল্প কথায় এই তরুণদের খুব কার্যকর কিছু পরামর্শ দেন। কাউকে কাউকে কাউন্সেলিং নেওয়ার সুপারিশ করেন। বাবা-মায়ের প্রতিও পরামর্শ থাকে সন্তানদের ‘বন্ধু’ হওয়ার। সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর সাউদের বাবা বলেছেন, ‘যদি একবার জানতে পারতাম, তাহলে সব মেনে নিতাম।’ হ্যাঁ, তাঁরা জানতেন না। সন্তানের মনের খবর জানতেন না বলেই তো আজ আর অশ্রু রাখার জায়গা নেই।
হয়তো একটু বেশিই আশা করা। তবুও মনের মধ্যে একটা দুঃখ শুধু বারবার মাথাচাড়া দেয়—আহারে, ছেলে-মেয়ে দুটো যদি অন্তত একটা চিঠি ‘মনের জানালা’ বিভাগে লিখত! একবার যদি শুধু ওদের কাছে ডেকে বলা যেত জীবন কত দামি! টাওয়ারের ওপর উঠে অমন অবহেলায় ছুড়ে ফেলতে নেই রে, বোকা!
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
(সূত্র: প্রথম আলো, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২)।
‘মনের জানালা’ ছুটির দিনের জনপ্রিয় একটি বিভাগ। প্রতি সপ্তাহে কত শত চিঠি আসে এই বিভাগে। এসব চিঠির লেখকেরা সিংহভাগই তরুণ। তাদের মানসিক সমস্যাগুলোর একটি বড় অংশই হয় হূদয়ঘটিত। সঙ্গী ছেড়ে গেছে। সেই গ্লানি আর হূদয়ভঙ্গের যন্ত্রণা সইতে গিয়ে হিমশিম। পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। লজ্জায়-হতাশায়-দ্বিধায় কাউকে বলাও যাচ্ছে না সব কথা। ড. মেহতাব খানম খুব অল্প কথায় এই তরুণদের খুব কার্যকর কিছু পরামর্শ দেন। কাউকে কাউকে কাউন্সেলিং নেওয়ার সুপারিশ করেন। বাবা-মায়ের প্রতিও পরামর্শ থাকে সন্তানদের ‘বন্ধু’ হওয়ার। সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর সাউদের বাবা বলেছেন, ‘যদি একবার জানতে পারতাম, তাহলে সব মেনে নিতাম।’ হ্যাঁ, তাঁরা জানতেন না। সন্তানের মনের খবর জানতেন না বলেই তো আজ আর অশ্রু রাখার জায়গা নেই।
হয়তো একটু বেশিই আশা করা। তবুও মনের মধ্যে একটা দুঃখ শুধু বারবার মাথাচাড়া দেয়—আহারে, ছেলে-মেয়ে দুটো যদি অন্তত একটা চিঠি ‘মনের জানালা’ বিভাগে লিখত! একবার যদি শুধু ওদের কাছে ডেকে বলা যেত জীবন কত দামি! টাওয়ারের ওপর উঠে অমন অবহেলায় ছুড়ে ফেলতে নেই রে, বোকা!
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
No comments