অপরাধে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-রাজনীতি যখন অপরাধের সখা
রাজনীতির সঙ্গে যখন অপরাধ ও অনিয়ম মিশে যায়, তখন সাধারণ মানুষের জীবনে যে অসহায়ত্ব নেমে আসে, তা আঁচ করতে পারছেন যশোরের কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার জনগণ। সেখানে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা যেমন চাঁদাবাজিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ রূপ দিয়েছেন, তেমনি অপরাধ সংঘটনে হাতুড়ি ও গামছার ‘সৃজনশীল’ ব্যবহার করে
চলেছেন; আর সাংসদের উন্নয়ন বরাদ্দের বড় অংশ যাচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীদের পকেটে। প্রথম আলোর সরেজমিন প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে এসেছে।
কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ পেতে হলে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ দলীয় তহবিলে দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে কিংবা ডিলারশিপ পেতে আওয়ামী লীগের হুইপ শেখ আবদুল ওহাবের ঘনিষ্ঠজনদের অর্থ দিতে হয়। আর সাধারণ মানুষের কাছে নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী। অন্যদিকে, মনিরামপুর উপজেলায় সাংসদ খান টিপু সুলতানের বিশেষ উন্নয়ন তহবিলের অর্ধেক বিভিন্ন ভুয়া সংগঠনের নামে আওয়ামী লীগের নেতারা কবজা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ারই লক্ষণ।
দেশের রাজনীতিতে অপরাধী অথবা অপরাধের পৃষ্ঠপোষকদের দৌরাত্ম্য যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। রাজনীতি ও নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার কৃৎকৌশল বুঝে নিয়ে নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার দাবিদার হয়ে উঠেছে। অতীতেও রাজনীতিকেরা এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখতে পেশিশক্তি কাজে লাগাতেন। তবে বর্তমানে এমন প্রবণতা সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে।
অপরাধীরা অবাধে রাজনীতিতে বিচরণ করলে গণতন্ত্র তথা আইনের শাসনের মূল ভিত্তিগুলোই বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই যাদের বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে, তাদের দলের কোনো পর্যায়েই জায়গা করে দেওয়া উচিত নয়। এই দুষ্ট ক্ষত থেকে রাজনীতিকে বের করে নিয়ে আসতে প্রয়োজন নেতৃত্বের সদিচ্ছা ও দৃঢ়তা। যশোরের তিনটি উপজেলার যেসব অনিয়ম ও অপকর্মের তথ্য উঠে এসেছে, সেগুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি। কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্মের বিচার করেই সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে বিশ্বাসী।
কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ পেতে হলে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ দলীয় তহবিলে দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে কিংবা ডিলারশিপ পেতে আওয়ামী লীগের হুইপ শেখ আবদুল ওহাবের ঘনিষ্ঠজনদের অর্থ দিতে হয়। আর সাধারণ মানুষের কাছে নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী। অন্যদিকে, মনিরামপুর উপজেলায় সাংসদ খান টিপু সুলতানের বিশেষ উন্নয়ন তহবিলের অর্ধেক বিভিন্ন ভুয়া সংগঠনের নামে আওয়ামী লীগের নেতারা কবজা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ারই লক্ষণ।
দেশের রাজনীতিতে অপরাধী অথবা অপরাধের পৃষ্ঠপোষকদের দৌরাত্ম্য যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। রাজনীতি ও নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার কৃৎকৌশল বুঝে নিয়ে নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার দাবিদার হয়ে উঠেছে। অতীতেও রাজনীতিকেরা এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখতে পেশিশক্তি কাজে লাগাতেন। তবে বর্তমানে এমন প্রবণতা সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে।
অপরাধীরা অবাধে রাজনীতিতে বিচরণ করলে গণতন্ত্র তথা আইনের শাসনের মূল ভিত্তিগুলোই বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই যাদের বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে, তাদের দলের কোনো পর্যায়েই জায়গা করে দেওয়া উচিত নয়। এই দুষ্ট ক্ষত থেকে রাজনীতিকে বের করে নিয়ে আসতে প্রয়োজন নেতৃত্বের সদিচ্ছা ও দৃঢ়তা। যশোরের তিনটি উপজেলার যেসব অনিয়ম ও অপকর্মের তথ্য উঠে এসেছে, সেগুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি। কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্মের বিচার করেই সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে বিশ্বাসী।
No comments