আগে মাশুল নির্ধারণ ও অবকাঠামো তৈরি হোক -ট্রানজিট
ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। অবকাঠামো গড়ে না ওঠা পর্যন্ত এবং ট্রানজিট ফি বা মাশুল নির্ধারণের আগে এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। প্রথম আলো এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ অভিমত ছাড়াও সরেজমিন ও বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
শেষ পর্যন্ত সরকার অবস্থান পাল্টালে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে বলে আমরা মনে করি।
বর্তমান দুনিয়ায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে আঞ্চলিক ও আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘ সময় নানা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার মতো রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বর্তমান বাস্তবতায় অনেক সহজ হয়েছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত দিক নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
অবকাঠামো গড়ে তোলা ও ট্রানজিট ফি বা মাশুল নির্ধারণের আগে ট্রানজিট নয়—বিশেষজ্ঞদের এই অবস্থানের পরও নৌ-প্রটোকলের আওতায় পরীক্ষামূলক ট্রানজিট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরনের বিতর্ক এড়াতে সরকারের উচিত ছিল স্বচ্ছতার সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়া।
সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দিতে মাশুল নির্ধারণের জন্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছিল, তারা এরই মধ্যে ১৭টি পথের পৃথক মাশুল নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে অবকাঠামো না থাকায় আগামী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেওয়া সম্ভব নয়। যে আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ভারতে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছিল, সেটিও ট্রানজিটের জন্য উপযোগী করে তুলতে দুই থেকে তিন বছর লাগবে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের এসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে এগোতে হবে।
আমরা মনে করি, বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি কাজটি হচ্ছে ট্রানজিট ফি বা মাশুল নির্ধারণের বিষয়টি। বিশেষ কমিটি যে প্রস্তাব করেছে, তা বিবেচনায় নিয়েই সরকারকে এগোতে হবে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হতে হবে যে এ ধরনের ট্রানজিট দেওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করায় ভারতের যে আর্থিক সাশ্রয় হবে, তা ভাগাভাগি করার যে প্রস্তাব রয়েছে, তাও ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। একই সঙ্গে অবকাঠামো গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিশ্রুত সহায়তার অর্থ দ্রুত ছাড় করে কাজ শুরুর বিকল্প নেই। এই দুটি কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, ভারত, ভুটান ও নেপালকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার কাজটিও তত শিগগিরই শুরু করা যাবে।
বর্তমান দুনিয়ায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে আঞ্চলিক ও আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘ সময় নানা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার মতো রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বর্তমান বাস্তবতায় অনেক সহজ হয়েছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত দিক নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
অবকাঠামো গড়ে তোলা ও ট্রানজিট ফি বা মাশুল নির্ধারণের আগে ট্রানজিট নয়—বিশেষজ্ঞদের এই অবস্থানের পরও নৌ-প্রটোকলের আওতায় পরীক্ষামূলক ট্রানজিট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরনের বিতর্ক এড়াতে সরকারের উচিত ছিল স্বচ্ছতার সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়া।
সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দিতে মাশুল নির্ধারণের জন্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছিল, তারা এরই মধ্যে ১৭টি পথের পৃথক মাশুল নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে অবকাঠামো না থাকায় আগামী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেওয়া সম্ভব নয়। যে আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ভারতে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছিল, সেটিও ট্রানজিটের জন্য উপযোগী করে তুলতে দুই থেকে তিন বছর লাগবে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের এসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে এগোতে হবে।
আমরা মনে করি, বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি কাজটি হচ্ছে ট্রানজিট ফি বা মাশুল নির্ধারণের বিষয়টি। বিশেষ কমিটি যে প্রস্তাব করেছে, তা বিবেচনায় নিয়েই সরকারকে এগোতে হবে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হতে হবে যে এ ধরনের ট্রানজিট দেওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করায় ভারতের যে আর্থিক সাশ্রয় হবে, তা ভাগাভাগি করার যে প্রস্তাব রয়েছে, তাও ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। একই সঙ্গে অবকাঠামো গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিশ্রুত সহায়তার অর্থ দ্রুত ছাড় করে কাজ শুরুর বিকল্প নেই। এই দুটি কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, ভারত, ভুটান ও নেপালকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার কাজটিও তত শিগগিরই শুরু করা যাবে।
No comments