করের আওতা ও সম্পদ কর-একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ
সরকার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এবারের বাজেটে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের বেতনের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করা হতে পারে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া কর ফেরত নেওয়ার বিধান বাতিলসহ চালু হতে পারে সম্পদ কর। বর্তমান আইনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা করমুক্ত।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা করের আওতায় আনা হলে দেশের নাগরিকরাও আয়কর দিতে উৎসাহ বোধ করবেন।
দেশের সক্ষম নাগরিকদের করের আওতায় নিয়ে আসা একটি ভালো উদ্যোগ। কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। অধিকসংখ্যক নাগরিককে করের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাগরিকরা যাতে কর দিতে উৎসাহী হন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের নাগরিকরা কর, বিশেষ করে আয়কর দিচ্ছেন। আয়করের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। সেই সীমার দিকটিও দেখতে হবে। প্রতিবছর দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মানুষের আয় বাড়ছে কম। কাজেই কোন অঙ্কের আয়ের নাগরিকদের করের আওতায় আনা হচ্ছে, সেটা ভেবে দেখা দরকার। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে কর আদায় করা হলেও পরে তা ফেরত দেওয়ার বিধান ছিল। সে বিধান যদি না থাকে, তাহলেও ব্যক্তিপর্যায়ে কর দিতে অনেকেই উৎসাহ বোধ করবেন।
কর, বিশেষ করে আয়কর নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। দেশের অনেক নাগরিক আয়কর দিতে ইচ্ছুক, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে অনেকেই আয়কর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এটা ঠিক, দেশের সব নাগরিককেই করের আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু করের আওতায় আনতে হলে আয়কর সম্পর্কে মানুষের ভীতি দূর করতে হবে। কর প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে হবে। আয়কর নিয়ে মানুষের মনে যে ভীতি কাজ করে, সংশ্লিষ্ট বিভাগও যে তার জন্য কিছুটা দায়ী, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আয়কর ব্যবস্থা সহজ করে দিলে দেশের নাগরিকরা আয়কর দিতে আরো উৎসাহী হবেন। আয়করদাতাদের একটি পরিচিতি নম্বর বা টিআইএন নম্বর থাকে। সেই টিআইএন (টিন) নম্বরধারী নাগরিকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা। দেশের নাগরিকরা কর বা আয়কর দেওয়ার বিনিময়ে কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তার একটা বিবরণ থাকা দরকার। একজন আয়করদাতা বা টিআইএন নম্বরধারী গাড়ি কিনতে গেলে, ফ্ল্যাট বা জমি কিনতে গেলে, কী সুবিধা পাবেন, সেটা নিশ্চিত করা দরকার। আয়করদাতা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোনো সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই। সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আয়করদাতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া গেলে অধিকসংখ্যক মানুষ আয়কর দিতে উৎসাহী হতেন বলে মনে করা যেতে পারে।
কেন আয়কর দিতে একজন নাগরিক উৎসাহী হবেন? আয়কর সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করে আয়করদাতাদের বোঝাতে হবে। তাঁদের মনে এই বোধের জন্ম দিতে হবে, আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে তিনি দেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করছেন। একজন আয়করদাতা যখনই আয়কর দিচ্ছেন, তিনি তখন থেকেই দেশের উন্নয়নে কিছু না কিছু করছেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিরা এ দেশেরই নাগরিক। তাঁরাও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আয়কর প্রদানের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন। সম্পদ কর চালু হলে সেটাও দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
দেশের সক্ষম নাগরিকদের করের আওতায় নিয়ে আসা একটি ভালো উদ্যোগ। কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। অধিকসংখ্যক নাগরিককে করের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাগরিকরা যাতে কর দিতে উৎসাহী হন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের নাগরিকরা কর, বিশেষ করে আয়কর দিচ্ছেন। আয়করের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। সেই সীমার দিকটিও দেখতে হবে। প্রতিবছর দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মানুষের আয় বাড়ছে কম। কাজেই কোন অঙ্কের আয়ের নাগরিকদের করের আওতায় আনা হচ্ছে, সেটা ভেবে দেখা দরকার। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে কর আদায় করা হলেও পরে তা ফেরত দেওয়ার বিধান ছিল। সে বিধান যদি না থাকে, তাহলেও ব্যক্তিপর্যায়ে কর দিতে অনেকেই উৎসাহ বোধ করবেন।
কর, বিশেষ করে আয়কর নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। দেশের অনেক নাগরিক আয়কর দিতে ইচ্ছুক, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে অনেকেই আয়কর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এটা ঠিক, দেশের সব নাগরিককেই করের আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু করের আওতায় আনতে হলে আয়কর সম্পর্কে মানুষের ভীতি দূর করতে হবে। কর প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে হবে। আয়কর নিয়ে মানুষের মনে যে ভীতি কাজ করে, সংশ্লিষ্ট বিভাগও যে তার জন্য কিছুটা দায়ী, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আয়কর ব্যবস্থা সহজ করে দিলে দেশের নাগরিকরা আয়কর দিতে আরো উৎসাহী হবেন। আয়করদাতাদের একটি পরিচিতি নম্বর বা টিআইএন নম্বর থাকে। সেই টিআইএন (টিন) নম্বরধারী নাগরিকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা। দেশের নাগরিকরা কর বা আয়কর দেওয়ার বিনিময়ে কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তার একটা বিবরণ থাকা দরকার। একজন আয়করদাতা বা টিআইএন নম্বরধারী গাড়ি কিনতে গেলে, ফ্ল্যাট বা জমি কিনতে গেলে, কী সুবিধা পাবেন, সেটা নিশ্চিত করা দরকার। আয়করদাতা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোনো সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই। সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আয়করদাতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া গেলে অধিকসংখ্যক মানুষ আয়কর দিতে উৎসাহী হতেন বলে মনে করা যেতে পারে।
কেন আয়কর দিতে একজন নাগরিক উৎসাহী হবেন? আয়কর সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করে আয়করদাতাদের বোঝাতে হবে। তাঁদের মনে এই বোধের জন্ম দিতে হবে, আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে তিনি দেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করছেন। একজন আয়করদাতা যখনই আয়কর দিচ্ছেন, তিনি তখন থেকেই দেশের উন্নয়নে কিছু না কিছু করছেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিরা এ দেশেরই নাগরিক। তাঁরাও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আয়কর প্রদানের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন। সম্পদ কর চালু হলে সেটাও দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
No comments