ম্যানচেস্টারে হামলা : প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
ব্রিটেনের পুলিশ ম্যানচেস্টার এরিনাতে সোমবারের হামলার ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী হামলা' বলেই মনে করছে। যদিও এ ঘটনায় এখনো কোন গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করা হয়নি। তবে এটা যে সন্ত্রাসী হামলা তা যদি নিশ্চিত হওয়া যায়, তবে এটা হবে ব্রিটেনে ২০০৫ সালের লন্ডন বোমা হামলার পর ঘটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা। সেভেন/সেভেন ব্লাস্ট হিসেবে পরিচিত ২০০৫ সালের জুলাই মাসের ওই বোমা হামলায় ৫৬ জন নিহত হয়েছিলেন। ম্যানচেস্টারে মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্ট শেষ হতে না হতেই বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। আর আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ জনে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মাত্রা "তীব্র" পর্যায়ে রয়েছে । এর মানে যে কোন সময় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা : ওই হামলার ঘটনার সময়কার বিবরণ দিয়ে বিবিসি রেডিও ম্যানচেস্টারে টোরি নামে একজন বলেন, কনসার্টে তার সাথে তার ১২ বছরের বোনও ছিল। তিনি বলেন, ''আমরা এরিনা থেকে বেরিয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ। লোকজন সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামতে লাগলো। আমি আমার বোনের মাথা শক্ত করে চেপে ধরলাম এবং মাথা নামিয়ে চেয়ারের নিচে ঢুকিয়ে দিলাম। কারণ দেখতে পেলাম শত শত মেয়েরা দৌড়ে আসছে এবং যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।" এরপর তিনি বাইরে স্বজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বলে জানান। "আমি আমার বন্ধুকে ফোন করে বলি, কি ঘটতে যাচ্ছে জানি না এবং কি করবো তাও বুঝতে পারছি না। সে তখন আমাদের যত দ্রুত সম্ভব বের হওয়ার চেষ্টা করতে বলে।" তিনি জানান, তখন চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন এবং পচা গ্যাসের গন্ধ নাকে আসছিল। এরপর যখন তারা বাইরে এলেন তখন অনেককে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বহু মানুষকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এবং অনেককে দেখে 'মৃত' বলে মনে হচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা : ওই হামলার ঘটনার সময়কার বিবরণ দিয়ে বিবিসি রেডিও ম্যানচেস্টারে টোরি নামে একজন বলেন, কনসার্টে তার সাথে তার ১২ বছরের বোনও ছিল। তিনি বলেন, ''আমরা এরিনা থেকে বেরিয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ। লোকজন সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামতে লাগলো। আমি আমার বোনের মাথা শক্ত করে চেপে ধরলাম এবং মাথা নামিয়ে চেয়ারের নিচে ঢুকিয়ে দিলাম। কারণ দেখতে পেলাম শত শত মেয়েরা দৌড়ে আসছে এবং যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।" এরপর তিনি বাইরে স্বজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বলে জানান। "আমি আমার বন্ধুকে ফোন করে বলি, কি ঘটতে যাচ্ছে জানি না এবং কি করবো তাও বুঝতে পারছি না। সে তখন আমাদের যত দ্রুত সম্ভব বের হওয়ার চেষ্টা করতে বলে।" তিনি জানান, তখন চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন এবং পচা গ্যাসের গন্ধ নাকে আসছিল। এরপর যখন তারা বাইরে এলেন তখন অনেককে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বহু মানুষকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এবং অনেককে দেখে 'মৃত' বলে মনে হচ্ছিল।
No comments