২ দিনের হরতাল ডেকেছে জামায়াত
দলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-ের আদেশের পর দুই দিনের হরতাল ডেকেছে জামায়াত। আজহারকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জামায়াত। এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল ভোর ছয়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হরতাল চলবে। একইভাবে পরের দিন ভোর ছয়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হরতাল থাকবে। এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের শিকার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম। সরকার মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে নিজেদের দলীয় লোকদের দ্বারা আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষ্য প্রদান করে। আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায়, সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে আজ তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের যে রায় ঘোষণা করেছেন তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। এ রায়ে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলে তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি।
সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে, দেশে-বিদেশে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের বক্তব্যে প্রতীয়মান হয় যে, আদালতের বিচার কার্যক্রম সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচী সরকারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে। আর সরকারের যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত বিচার কার্যক্রমকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করছে তা জনগণ নিরবে মেনে নিতে পারে না।
সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে, দেশে-বিদেশে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের বক্তব্যে প্রতীয়মান হয় যে, আদালতের বিচার কার্যক্রম সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচী সরকারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে। আর সরকারের যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত বিচার কার্যক্রমকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করছে তা জনগণ নিরবে মেনে নিতে পারে না।
No comments