ঘাঘট নদে বালু ব্যবসায়ীর রাস্তা
(রংপুরে
ঘাঘট নদের ওপর আড়াআড়িভাবে রাস্তা তৈরি করেছেন এক বালু ব্যবসায়ী। শ্যালো
ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে নদ থেকে বালু তুলে সেই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া
হচ্ছে। ছবিটি সম্প্রতি নগরের হাজিরহাট এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো)
রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার উত্তম হাজিপাড়া এলাকায় ঘাঘট নদে মাটি ও বালু
ফেলে আড়াআড়িভাবে রাস্তা বানিয়ে নদ থেকেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাঁচ
মাস ধরে বালু ব্যবসায়ী লাল মিয়া অবৈধভাবে এ কাজ করছেন। ২১ ডিসেম্বর
সরেজমিনে দেখা যায়, মাটি ও বালু ফেলে নদের মধ্যে একটি সড়ক নির্মাণ করা
হয়েছে। এতে করে নদের গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত বড়
একটি যন্ত্র বসিয়ে নদের দক্ষিণ দিকে বালু তোলা হচ্ছে। সেখান থেকে বালু
ট্রাকে করে ওই সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে নদের ভাঙন থেকে রক্ষা
পেতে এলাকাবাসী তাঁদের নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের খুঁটির বেড়া দিয়েছে। এটিও
হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে নদে ওই সড়ক
নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে বালু তোলা চলছে। বালু ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন,
‘আমাদের বাপ-চাচার কিছু জমি ভেঙে গিয়ে নদীতে বিলীন হয়েছে। সেই স্থান থেকেই
এসব বালু তোলা হচ্ছে।’ কিন্তু নদের মধ্যে বাঁধ দিলেন কেন—এমন প্রশ্নের
উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখন তো নদীত তেমন পানি নাই। সেই জন্যে দিছি। বালু
তোলা শেষ হইলে এই বাঁধ কাটি দেওয়া হইবে।’ এদিকে বালু উত্তোলনের ফলে নদের
পাশের আবাদি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেকের কিছু জমি ভাঙনে
বিলীন হয়েছে। কৃষক আবু হোসেন (৫০) বলেন, ‘নদীর ভাঙন থাকি জমি রক্ষা করার
জন্যে হামরাগুলো এই এলাকাত বাঁশের খঁুটি বসাইনো। কিন্তু এই বালু তুলিয়া
তা আর মনে হয় রক্ষা হবার নয়।’
কৃষক জয়নাল হোসেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জমি ইতিমধ্যে নদের ভাঙনে ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, ‘এ জায়গাটা ভালোই ছিল। কিন্তু এবার এ জায়গা থাকি বালু তুলি নিয়া যাওয়ার কারণে কিছু জমি ভাঙি যাইতোছে।’ কৃষক পেয়ারুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী, মমতাজ মিয়াসহ আরও অনেকেই একই কথা বলেন। সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। কিন্তু এখানে আমারই বা কী করার আছে। এটি দেখবে সরকারের ভূমি অফিস।’ সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিলুফা সুলতানা বলেন, দেড় মাস আগে ওই স্থানে বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। এর পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
কৃষক জয়নাল হোসেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জমি ইতিমধ্যে নদের ভাঙনে ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, ‘এ জায়গাটা ভালোই ছিল। কিন্তু এবার এ জায়গা থাকি বালু তুলি নিয়া যাওয়ার কারণে কিছু জমি ভাঙি যাইতোছে।’ কৃষক পেয়ারুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী, মমতাজ মিয়াসহ আরও অনেকেই একই কথা বলেন। সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। কিন্তু এখানে আমারই বা কী করার আছে। এটি দেখবে সরকারের ভূমি অফিস।’ সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিলুফা সুলতানা বলেন, দেড় মাস আগে ওই স্থানে বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। এর পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
No comments