দুই দুর্ঘটনা এক রকম নয়
দক্ষিণ-পূর্ব
এশিয়ায় গত নয়মাসে মধ্য আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে দুটি বিমান- এমএইচ ৩৭০ ও
কিউজেড ৮৫০১। দুটি বিমানই উড্ডয়নের এক ঘণ্টার মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে
যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। তারপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সামনে শুধু প্রশ্ন
আর সমুদ্রের সীমাহীন পানি। মেলেনি কোনো ধ্বংসাবশেষ বা কোনো প্রশ্নের উত্তর।
আপাতদৃষ্টিতে দুটি দুর্ঘটনা একই রকম মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেক ফারাক
আছে এই দুই বিমান হারানোর ঘটনায়। চক্রান্তের সম্ভাবনা : ৮ মার্চ
কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী এমএইচ ৩৭০ ফ্লাইটের রেডিও ট্রান্সমিশন
ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। হারানোর আগেই পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণের সব মাধ্যম অকার্যকর করে বিমানটি রহস্যজনক
রুটে মোড় নিয়েছিল। এটা কোনো ছিনতাইকারী বা সন্ত্রাসীর কবলে পড়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। কিন্তু কিউজেড ৮৫০১ বিমানটি স্বাভাবিক গতিতে প্রত্যাশিত রুটেই
যাচ্ছিল। এখানে পাইলট নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আপডেট জানাচ্ছিলেন। খারাপ
আবহাওয়া ও মেঘের কথা বলেছিলেন। এমনটি জানালেন, বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ পিটার
গোয়েলজ।
রুটের অবস্থান : এমএইচ ৩৭০ বিমান যেখান থেকে হারিয়ে গেছে বা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত দুর্গম। ভারত মহাসাগরের ওই জায়গায় পানির গভীরতা অনেক এবং তা রহস্যময়। সে কারণে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। অন্যদিকে এয়ার এশিয়ার বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার স্থান ভ্রমণযোগ্য। পানির গভীরতাও খুব বেশি নয়। তাই এখানে ধ্বংস হলে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। পূর্বশিক্ষা :আগের বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ও সংশয় দেখা দিয়েছিল। সরকার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রদত্ত তথ্যে গরমিল ছিল। একেক সময় একেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। যথাসময়ে অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়নি।
কিন্তু এক্ষেত্রে আগের একটি অভিজ্ঞতা সামনে ছিল। বিমান চলাচলে অধিক সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছিল। নিখোঁজের পর প্রাপ্ত তথ্যে সবাই প্রায় একই সুরে কথা বলছে এবং হারানোর পরপরই অনুসন্ধান জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে ১০ মাস লাগবে না : এমএইচ ৩৭০ বিমানের মতো এই বিমানের অনুসন্ধানে ১০ মাস সময় লাগবে না। দু-একদিনের মধ্যেই একটা নিশ্চিত ফল পাওয়ার আশা করছেন সাবেক বিমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্টিভেন ওয়ালেস। তিনি বলেন, এখানকার পানির গভীরতা ১৫০ ফুট। কিন্তু ভারত মহাসাগরের ১০-২০ হাজার ফুট।
রুটের অবস্থান : এমএইচ ৩৭০ বিমান যেখান থেকে হারিয়ে গেছে বা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত দুর্গম। ভারত মহাসাগরের ওই জায়গায় পানির গভীরতা অনেক এবং তা রহস্যময়। সে কারণে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। অন্যদিকে এয়ার এশিয়ার বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার স্থান ভ্রমণযোগ্য। পানির গভীরতাও খুব বেশি নয়। তাই এখানে ধ্বংস হলে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। পূর্বশিক্ষা :আগের বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ও সংশয় দেখা দিয়েছিল। সরকার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রদত্ত তথ্যে গরমিল ছিল। একেক সময় একেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। যথাসময়ে অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়নি।
কিন্তু এক্ষেত্রে আগের একটি অভিজ্ঞতা সামনে ছিল। বিমান চলাচলে অধিক সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছিল। নিখোঁজের পর প্রাপ্ত তথ্যে সবাই প্রায় একই সুরে কথা বলছে এবং হারানোর পরপরই অনুসন্ধান জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে ১০ মাস লাগবে না : এমএইচ ৩৭০ বিমানের মতো এই বিমানের অনুসন্ধানে ১০ মাস সময় লাগবে না। দু-একদিনের মধ্যেই একটা নিশ্চিত ফল পাওয়ার আশা করছেন সাবেক বিমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্টিভেন ওয়ালেস। তিনি বলেন, এখানকার পানির গভীরতা ১৫০ ফুট। কিন্তু ভারত মহাসাগরের ১০-২০ হাজার ফুট।
No comments