এটিএম আজহারুল ইসলামের রায় আজ
জামায়াতে
ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মানবতা বিরোধী
অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের
নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এই রায়
ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও
বিচারপতি আনোয়ারুল হক। চলতি বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর এই মামলার সর্বশেষ ধাপ
যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষাধীন রাখা হয়।
এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন,
আটক, অপহরণ, গুরুতর জখম ও অগ্নিসংযোগসহ ৯ ধরনের ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া, সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগও রয়েছে
তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ই আগস্ট থেকে ২৬শে আগস্ট পর্যন্ত ৬ কার্যদিবসে অভিযোগ ও
আইনি বিষয়ে আজহারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ
আল মালুম, তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আজহারের পক্ষে গত ২৭শে
আগস্ট থেকে ১৪ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ কার্যদিবসে অভিযোগ ও আইনি বিষয়ে
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও শিশির
মোহাম্মদ মুনির। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আজকের রায়ে আজহারের
বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদণ্ড) আশা করছেন। পক্ষান্তরে আসামিপক্ষের
আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি করে তার কোন সাজা হবে না দাবি করে বলেছেন
এটিএম আজহার মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কোন প্রকার মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত
ছিলেন না।
মামলার ধারাবাহিক কার্যক্রম:
গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৬ই জুলাই পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এম ইদ্রিস আলীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ জন সাক্ষী। তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরী ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে গত ৩রা ও ৪ঠা আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন আনোয়ারুল হক নামের একজন ব্যক্তি। গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। এর আগে ১২ই নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৯শে আগস্ট ও ৩রা সেপ্টেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে ২৪শে সেপ্টেম্বর ও ১০ই অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আজহারের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শিশির মোহাম্মদ মুনির ও ইমরান এ সিদ্দিকী। ২৫শে জুলাই এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৮ই জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি দাখিল করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও নুরজাহান বেগম মুক্তা। ৪টি ভলিউমে ৩শ’ পৃষ্ঠায় দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়।
মামলার ধারাবাহিক কার্যক্রম:
গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৬ই জুলাই পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এম ইদ্রিস আলীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ জন সাক্ষী। তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরী ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে গত ৩রা ও ৪ঠা আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন আনোয়ারুল হক নামের একজন ব্যক্তি। গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। এর আগে ১২ই নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৯শে আগস্ট ও ৩রা সেপ্টেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে ২৪শে সেপ্টেম্বর ও ১০ই অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আজহারের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শিশির মোহাম্মদ মুনির ও ইমরান এ সিদ্দিকী। ২৫শে জুলাই এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৮ই জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি দাখিল করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও নুরজাহান বেগম মুক্তা। ৪টি ভলিউমে ৩শ’ পৃষ্ঠায় দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়।
No comments