ডা. শাহরিয়ার গ্রেপ্তার সিলেটে হরতাল আজ
বাসা
থেকে বের হয়েই গ্রেপ্তার হলেন সিলেট মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার
হোসেন চৌধুরী। হরতালের কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় নগরীর চৌহাট্টা থেকে পুলিশ
তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সাথে থাকা সুমন চক্রবর্তী ও জুবের আহমদ
নামের দুই ছাত্রদল কর্মীকেও গ্রেপ্তার করেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি
আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে তাদেরকে আটক করা হয়। এদিকে, মহানগর বিএনপি’র
আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট
এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের মুক্তির দাবিতে আজ সিলেট জেলায় আধাবেলা হরতালের
ডাক দিয়েছে সিলেটের ২০ দলীয় জোট। হরতাল চলাকালে সোমবার সকাল ৯টার দিকে
নগরীর আম্বরখান থেকে সিলেট মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন
চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর বিএনপি নেতা এমদাদ হোসেন চ
চৌধুরী ও মাহবুব চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী কোর্ট পয়েন্টের দিকে
আসছিলেন। ৯টা ১০ মিনিটের সময় নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে আসামাত্র পুলিশ তাদের
বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে
কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বিএনপি নেতা শাহরিয়ার ও ছাত্রদলের দুই
কর্মীকে আটক করেন। আর বাকিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যান। সিলেটের কোতোয়ালি থানার
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে হরতাল সমর্থকরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে
বোমাবাজি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়েছে। সিলেট
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহর নেতৃত্বে
নয়াসড়ক এলাকায় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাজীটুলায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ওই
এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একই সময় শিবিরের একটি মিছিল বের
করা হয়। মিছিলটিতেও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিকে, মহানগর
আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও
প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ। সোমবার
হরতাল চলাকালে নগরীর আদালত সংলগ্ন জেলা বার হলে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক এক
প্রেস ব্রিফিংয়ে নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এবং
মহানগর জামায়াত আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের-এর মুক্তির দাবিতে আজ
সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেট জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণ অর্ধদিবস
হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোট নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে ২০ দলীয় জোট
সিলেট জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক
সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, অবৈধ ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আওয়ামী
বাকশালী সরকার দেশপ্রেমিক জনতার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত
করতে জোট নেতাদের গ্রেপ্তার ও পুলিশি নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। এ সময়
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও
সিলেট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাহ্হের চৌধুরী শামীম, মহানগর
বিএনপি’র সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুল
গাফ্ফার ও আলী আহমদ, মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মো. ফখরুল ইসলাম,
সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট আবদুর রব, আইন
বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন নাদের, মহানগর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি
আবদুল হান্নান তাপাদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মহানগর
জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ
আবদুর রহমান সিদ্দিকী, জাগপা সিলেট জেলা সভাপতি মকসুদ হোসেন, মহানগর লেবার
পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, জাতীয় পার্টি (বিজেপি-আন্দালিব
পার্থ) সিলেট জেলা আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন লিটন, এলডিপি সিলেট জেলা সভাপতি
সায়েদুর রহমান চৌধুরী রুপা, মহানগর বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল
বখ্ত চৌধুরী সাদেক, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহমদ চৌধুরী,
মহানগর বিএনপি নেতা এডভোকেট হাবীবুর রহমান হাবীব, এডভোকেট আশিক উদ্দিন
আসুক, মামুনুর রশীদ মামুন, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম হাদী, এডভোকেট
হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, মুফতি নেহাল উদ্দিন, মুকুল মোর্শেদ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের মিছিল: ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে বিএনপি মাঠে না থাকলেও সিলেটের রাজপথ কাঁপালো আওয়ামী লীগ। সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টায় কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আহমদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রাজউদ্দিন, জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক এমরুল হক প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিল বলেই আজ দেশে গণতন্ত্র আছে। যারা স্বৈরাচার লালন-পালন করেছে স্বৈরাচারের মদতে দেশকে পিছনের দিকে নিয়েছিল, তারাই ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন না হওয়ার জন্য দেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল। বিএনপি-জামায়াত দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে জামায়াত-শিবিরকে দাতভাঙা জবাব দিয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ করে।
আওয়ামী লীগের মিছিল: ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে বিএনপি মাঠে না থাকলেও সিলেটের রাজপথ কাঁপালো আওয়ামী লীগ। সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টায় কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আহমদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রাজউদ্দিন, জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক এমরুল হক প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিল বলেই আজ দেশে গণতন্ত্র আছে। যারা স্বৈরাচার লালন-পালন করেছে স্বৈরাচারের মদতে দেশকে পিছনের দিকে নিয়েছিল, তারাই ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন না হওয়ার জন্য দেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল। বিএনপি-জামায়াত দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে জামায়াত-শিবিরকে দাতভাঙা জবাব দিয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ করে।
No comments