হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি- রাজশাহী মেডিকেলে পাঁচ বছরে চার নবজাতক চুরি
রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে
হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এই হাসপাতাল থেকে গত পাঁচ বছরে এ
নিয়ে চারটি নবজাতক চুরি হলো। চুরির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
করা হয়েছে। নবজাতকের মায়ের নাম রুবিনা খাতুন (২২)। তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী
উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার সুরশুনিপাড়ায়। স্বামী তরিকুল ইসলাম একজন
দরিদ্র কৃষক। তরিকুল ইসলাম জানান, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে গতকালই
হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বেলা দুইটার দিকে তাঁর অস্ত্রোপচারের পর
একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এটি ছিল তাঁদের প্রথম সন্তান। অস্ত্রোপচারের
পর স্ত্রীকে ‘পোস্ট অপারেটিভ’ কক্ষে রাখা হয়। তখন তিনি স্ত্রীর সঙ্গেই
ছিলেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর নানি শাশুড়ি রহিমা বেগম বাচ্চাকে ওয়ার্ডে নিয়ে
এসে গায়ে তেল মাখানো শুরু করেন।
নানি রহিমা বেগম বলেন, তিনি বাচ্চাকে তেল মাখাচ্ছিলেন। এ সময় বোরকা পরা একটি মেয়ে এসে বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ধরার পরামর্শ দেন। সাহায্য করার কথা বলে মেয়েটি তাঁর হাত থেকে বাচ্চাটিকে নিয়ে কাপড় আনতে বলেন। একই স্থানে পেছন ফিরে তিনি ব্যাগ থেকে একটি কাপড় বের করে মুহূর্তের মধ্যেই ঘুরে দেখেন, মেয়েটি নেই। তিনি বলেন, এ সময় তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না কাকে জানাবেন, কী করবেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রহিমা বেগম দুই হাতে বাচ্চার কাপড়চোপড় নিয়ে আহাজারি করছেন। আর তরিকুল শুধু ছোটাছুটি করছেন। তরিকুলের স্ত্রী তখনো পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে ছিলেন। তিনি তখনো ঘটনা জানতেন না। সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি তুলতে গেলে তখন তিনি ঘটনা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরির খবর পেয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মচারীরা হাসপাতালের সব গেটসহ পুরো হাসপাতালে তল্লাশি চালান। মেয়েটি নিশ্চয়ই এর আগেই শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পরিচালক জানান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এর আগে ২০১১ সালের ২১ মে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি নবজাতককে চুরি করে চার হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। শিশুটির মায়ের নাম শিখন বেগম। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে নাটোর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছিল। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আরও একটি শিশু চুরি হয়। তবে ওই শিশুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
একই ওয়ার্ড থেকে একটি নবজাতক চুরি হয় ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি। ওই শিশুটি ছিল দুই দিন আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুর একটি। শিশুটির মায়ের নাম হাজেরা বেগম। বাবার নাম একরামুল ইসলাম। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।
সূত্র জানায়, রোগীর অভিভাবক ওই দিন ওষুধ কিনতে বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় চিকিৎসক এসে রোগীকে পা মেলে বসতে বলেন। তখন পাশে দাঁড়ানো একজন নারী তাঁর পা মেলার সুবিধার্থে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। মা মুহূর্তের জন্য পেছন ফিরে তাকালে ওই নারী বাচ্চাটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু শিশুটি আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে নবজাতক চুরির ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান আবদুল মোমেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নানি রহিমা বেগম বলেন, তিনি বাচ্চাকে তেল মাখাচ্ছিলেন। এ সময় বোরকা পরা একটি মেয়ে এসে বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ধরার পরামর্শ দেন। সাহায্য করার কথা বলে মেয়েটি তাঁর হাত থেকে বাচ্চাটিকে নিয়ে কাপড় আনতে বলেন। একই স্থানে পেছন ফিরে তিনি ব্যাগ থেকে একটি কাপড় বের করে মুহূর্তের মধ্যেই ঘুরে দেখেন, মেয়েটি নেই। তিনি বলেন, এ সময় তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না কাকে জানাবেন, কী করবেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রহিমা বেগম দুই হাতে বাচ্চার কাপড়চোপড় নিয়ে আহাজারি করছেন। আর তরিকুল শুধু ছোটাছুটি করছেন। তরিকুলের স্ত্রী তখনো পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে ছিলেন। তিনি তখনো ঘটনা জানতেন না। সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি তুলতে গেলে তখন তিনি ঘটনা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরির খবর পেয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মচারীরা হাসপাতালের সব গেটসহ পুরো হাসপাতালে তল্লাশি চালান। মেয়েটি নিশ্চয়ই এর আগেই শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পরিচালক জানান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এর আগে ২০১১ সালের ২১ মে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি নবজাতককে চুরি করে চার হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। শিশুটির মায়ের নাম শিখন বেগম। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে নাটোর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছিল। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আরও একটি শিশু চুরি হয়। তবে ওই শিশুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
একই ওয়ার্ড থেকে একটি নবজাতক চুরি হয় ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি। ওই শিশুটি ছিল দুই দিন আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুর একটি। শিশুটির মায়ের নাম হাজেরা বেগম। বাবার নাম একরামুল ইসলাম। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।
সূত্র জানায়, রোগীর অভিভাবক ওই দিন ওষুধ কিনতে বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় চিকিৎসক এসে রোগীকে পা মেলে বসতে বলেন। তখন পাশে দাঁড়ানো একজন নারী তাঁর পা মেলার সুবিধার্থে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। মা মুহূর্তের জন্য পেছন ফিরে তাকালে ওই নারী বাচ্চাটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু শিশুটি আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে নবজাতক চুরির ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান আবদুল মোমেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
No comments